Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বিংশ শতাব্দীর অন্যতম মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি


বিংশ শতাব্দীর অন্যতম মার্কিন উদ্ভাবক এবং বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। যার তাঁর আবিষ্কারেই প্রথম আলোকিত হয়েছিল গোটা পৃথিবী। এডিসন গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাতি (বাল্ব) সহ বহু যন্ত্র তৈরি করে বিংশ শতাব্দীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিলেন। গণযোগাযোগ খাতে বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাতে তার বহু উদ্ভাবনের মাধ্যমে তার অবদানের জন্য তিনি সর্বস্বীকৃত। যার মধ্যে একটি স্টক টিকার, ভোট ধারনকারী যন্ত্র, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারী, বৈদ্যুতিক শক্তি, ধারনযোগ্য সংগীত এবং ছবি। এসব ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনকারী তাঁর কাজগুলো তাঁকে জীবনের শুরুর দিকে একজন টেলিগ্রাফ অপারেটর হিসেবে গড়ে তোলে। বাসস্থান, ব্যবসায়-বানিজ্য বা কারখানায় বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন ও বন্টনের ধারনা এবং প্রয়োগ দুটিই এডিসনের হাত ধরে শুরু হয় যা আধুনিক শিল্পায়নের একটি যুগান্তকারী উন্নতি। নিউইয়র্কের ম্যানহাটন দ্বীপে তাঁর প্রথম বিদ্যুত কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীদের অন্যতম বলে বিবেচিত এডিসন নিজের নামে ১,০৯৩টি মার্কিন পেটেন্টসহ যুক্তরাজ্যে, ফ্রান্স এবং জার্মানিতে পেটেন্ট রয়েছে। আজ এই বিজ্ঞানীর ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৩১ সালের আজকের দিনে তিনি যুক্তরাষ্টের নিউ জার্সিতে মৃত্যুবরণ করেন। মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন ১৮৪৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও, মিলানে জন্ম গ্রহন করেন। ডাক নাম অ্যাল। তার পিতা স্যামুয়েল অগডেন এডিসন এবং মা ন্যন্সি ম্যাথিউস এলিয়ট। তাঁর পিতা ছিলেন ওলন্দাজ বংশোদ্ভুত। তিনি একজন ভাল বিপণন জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। এ সময় তাঁর পিতার আর্থিক সচ্ছলতা ছিল। ফলে এডিসনের ছেলেবেলার দিনগুলো ছিল আনন্দদায়ক। তবে তিনি তিনি ম্যাকেনজি বিদ্রোহে অংশ নেবার কারণে তাকে কানাডা থেকে পালিয়ে যেতে হয়। এডিসনের সাত বছর বয়সে তার পিতা মিশিগানের অন্তর্গত পোর্ট হুরন নামে একটা শহরে এসে নতুন করে বসবাস শুরু করলেন। সে কারণে এডিসন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও, মিলানে জন্ম গ্রহন করলেও বড় হন মিশিগান রাজ্যের পোর্ট হুরনে। এখানে এডিসন স্কুলে ভর্তি হলেন। কিন্তু স্কুলের গন্ডিবাঁধা পড়াশুনা তাঁর নিকট একঘেঁয়েমি মনে হত। তবে অসম্ভব মেধার অধিকারী ছিলেন এডিসন। অন্যদের মতো পৃথিবীর সবকিছু সম্পর্কে একচোখ প্রশ্ন তাঁরও ছিল; মাতা পিতাকে অনবরত কেন কি ইত্যাদি প্রশ্ন করে জ্বালিয়েছেন। কিন্তু অন্য শিশুদের মতো পিতামাতার মনগড়া উত্তরে তিনি সন্তুষ্ট থাকেননি। স্কুলের শিক্ষকরাও তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন না। রেভেরেন্ড অ্যাঙ্গল নামের এক শিক্ষককে একদিন পেছন হতে 'বোকা' বলেছিলেন এডিসন। এতে ভীষণ ক্ষেপে যান তিনি। ফলস্বরূপ তিন মাসেই স্কুলজীবনের সমাপ্তি ঘটে এডিসনের। আর কোনদিন স্কুলে যাননি এডিসন। বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ফ্যারাডের মতো এডিসন পড়াশোনায় বিশেষ করে অংকে খুবই কাঁচা ছিলেন। স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্ররা এনিয়ে তাঁকে পরিহাস করলে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে মায়ের বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতেন। এবার মায়ের নিকট তাঁর পড়াশুনা শুরু হল।

এডিসনের বাবা চাইতেন ছেলে সাহিত্যিক হোক। তাই সেকালের বিভিন্ন রুচিশীল সাহিত্যের বই তিনি নিয়মিত ছেলের জন্য নিয়ে আসতেন। অতটুকু ছেলের সাথে সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করতেন। তবে এডিসনের সবচেয়ে ভালোলাগার বিষয় ছিল বিজ্ঞান বিশেষ করে রসায়ন। দশ বছর বয়সেই তিনি বাড়ির সেলারে (মাটির নীচের ঘর) তৈরি করেছিলেন। সেখানে বসে রাজ্যের জিনিস নিয়ে অনবরত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যেতেন। একবার একটি মুরগীকে ডিমে তা দিতে দেখে এডিসন ভাবলেন তিনিও ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটাতে পারবেন। হঠাৎ একদিন এডিসন উধাও হয়ে গেলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া গেল গোয়াল ঘরের একপাশে। সেখানে তিনি অনেকগুলো ডিমের ওপর বসেতা দিচ্ছিলেন। এমনি মজার কিন্তু অনুসন্ধিৎসু গবেষণা নিয়েই এডিসন ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছিলেন। রসায়ন শাস্ত্রের প্রতি এডিসনের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা ছিল। হাতে-কলমে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কিনে ফেললেন। তাঁর ল্যাবরেটরিতে দুইশরও বেশি বোতলে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ভরা ছিল, প্রত্যেকটার গায়ে এডিসন সযতনে কাগজে নাম লিখে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এ সময় তার বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি স্থির করলেন কাজ করে অর্থ সংগ্রহ করবেন।

তেরো বছরের ছেলে কাজ করবে! তাঁর বাবা-মা দুজনে রীতিমত অবাক। এডিসনের জেদ চাকরি করবে। অগত্যা আর কি করা, বাবা-মা দুজনে রাজি হলেন। এডিসন অনেক খোঁজাখুঁজির পর খবরের কাগজ ফেরি করার কাজ পেলেন। আরো বেশকিছু আয় করার জন্য তিনি খবরের কাগজের সাথে চকলেট বাদামও রেখে দিতেন। এভাবে কয়েক মাসের মধ্যে বেশকিছু অর্থ সংগ্রহ হল। এ সময় এডিসন জানতে পেলেন একটি ছোট ছাপাখানা যন্ত্র কম দামে বিক্রি হবে। তিনি যে সামান্য অর্থ জমিয়েছিলেন তাই দিয়ে ছাপাখানার যন্ত্রপাতি কিনে ফেললেন। এবার নিজেই একটি পত্রিকা বের করলেন। নাম দিলেন হেরাল্ড। একইসঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করা, সম্পাদনা করা, ছাপানো, বিক্রি করা, সমস্ত কাজ করতেন। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি এই কাজ শুরু করেন। সে কাগজে দুচারটি বানান ভুল, বাক্য ভুল থাকলেও কাগজটি খুব বিক্রি হচ্ছিল। যুদ্ধের তাজা খবর, স্থানীয় খবর, গুজব ইত্যাদি প্রকাশ করতেন তিনি। তাই অল্পদিনেই তাঁর কাগজের বিক্রির সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। রেলে খবরের কাগজ বিক্রি করতে গিয়ে তিনি দেখলেন একটি খালি কামরা অব্যবহৃত পড়ে আছে। তখন সেটাকেই তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নিজের ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর করলেন। এখানে কাজ করতে করতেই তিনি বিদ্যুৎ শক্তি সম্পর্কে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেন। বিদ্যুৎ সম্পর্কে কৌতুহল তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায়।

অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন এডিসন। একবার স্টাফোর্ড জংশনে রাত্রিবেলায় ট্রেন ছাড়ার সিগনাল দেওয়ার কাজ পেলেন। এ সময় তিনি একটি ঘড়ি তৈরি করলেন যেটি আপনা থেকেই নির্দিষ্ট সময়ে সিগনাল দিত। এর পরে বোস্টন শহরে কাজ করার সময় দেখলেন, অফিস জুড়ে ভীষণ ইঁদুরের উৎপাত। তিনি হঠাৎ করে একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করলেন যা সহজেই ইঁদুর ধ্বংস করতে সক্ষম। ১৮৬৯ সালে বোস্টনে চাকরিরত অবস্থায় একটি যন্ত্র আবিষ্কার করলেন যা দিয়ে ভোল্ট গণনা করা যায়। এই যন্ত্রের গুণাগুণ বিবেচনা করে উদ্ভাবক হিসেবে তাঁকে পেটেন্ট দেওয়া হল। আর এই পেটেন্ট এডিসনের জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এরপর বোস্টন শহর ছেড়ে চলে এলেন নিউইয়র্কে। হাতে মোটেও পয়সা নেই। খাওয়া হয়নি দুদিন ধরে। এক টেলিগ্রাফ অপারেটরের সাথে পরিচয় ঘটল। সে এডিসনকে এক ডলার ধার দিয়ে গোল্ড ইনডিকেটর কোম্পানির ব্যাটারি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। সেখানে দুদিন কেটে গেল। তৃতীয় দিন তিনি খেয়াল করলেন ট্রান্সমিটারটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। ম্যানেজারের অনুমতিক্রমে তিনি অল্পক্ষণের মধ্যেই ট্রান্সমিটারটি মেরামত করে ফেললেন। এর ফলে তিনি কারখানার ফোরম্যান হিসেবে চাকরি পেলেন। তাঁর মাইনে ছিল ৩০০ ডলার। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি নিজের যোগ্যতা বলে ম্যানেজার পদে উন্নীত হলেন। একুশ বছর বয়সে এডিসন একটি ভোট রেকর্ডার যন্ত্র আবিষ্কার করেন। এতে ভোটাভোটি নিজে থেকেই লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।

এডিসনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিষ্কার হল বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার। আকাশের বিদ্যুতকে মানুষ তখন ব্যাটারিতে আটকাতে পেরেছিলো। তারপরও কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি যে তা থেকে আলো পাওয়া সম্ভব। এডিসন নিজ মেধা ও প্রচেষ্টায় সেই অলৌকিকতাকে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে অক্টোবর মাসে তিনি স্থানীয় পার্ক বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন। আধুনিক যুগের সিনেমার আবিষ্কারকও ছিলেন তিনি। ১৮৯৭ সালের ২৭ এপ্রিল নিউইয়ের্কে হাজার হাজার দর্শকের সামনে এডিসন তাঁর ‘কাইনেটোস্টোপ’ নামক যন্ত্রের সাহায্যে চলমান ছবি দেখিয়েছিলেন। শিল্প জগতে জন্ম দিয়েছেন নতুন একটি যুগের। পেটেন্ট অফিস থেকে জানা যায় এডিসন তাঁর সারাজীবনে মোট ১৪০০ যন্ত্রের জন্য পেটেন্ট নিয়েছেন। এ থেকেই তাঁর প্রতিভার বিস্তৃতির পরিমাপ আন্দাজ করা যায়।তিনি অনেক আবিস্কারের পথপ্রদর্শন করে গেছেন। নিজে চেষ্টা করে যদিও তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন, তবুও পরবর্তীতে তাঁর ধারণাকে পুঁজি করেই এসব তৈরি করা হয়। নিচে সেরকম কতগুলো চেষ্টার কথাই তুলে ধরা হলোঃ
১। ১৮৭৬ সালে এডিসনের আবিষ্কৃত একটি যন্ত্রকে বলা যায় আধুনিক উল্কিযন্ত্রের পূর্বসূরি।
২। ১৮৯০ সালের দিকে খনি থেকে নিষ্কাশন করা লোহার মূল্য ধাই ধাই করে বাড়ছিল। চুম্বক ব্যবহার করে অপদ্রব্য থেকে লোহা আলাদা করার কথা ভাবলেন এডিসন।
৩। বিদ্যুতের মিটার কোথায় নেই! আর ওটাও এসেছে এডিসনের মাথা থেকে। বিদ্যুতের যথেচ্ছ ব্যবহার ঠেকাতে এডিসনই প্রথম তৈরি করেন মিটার।
৪। বাতি আবিষ্কারের পথে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন করেছিলেন এডিসন তা হলে ফল সংরক্ষন।
৫। গাড়ির চাকা ঘোরাতে এডিসন ব্যাটারির শক্তি ব্যবহারের কথা ভেবেছিলেন। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ব্যাটারিও বানিয়ে ছিলেন।
৬। আলো ঝলমলে জীবনের পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে উপহার দিতে চেয়েছিলেন কম দামে নিরাপদ ঘর। উপাদান হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কনক্রিট, গড়ে তুললেন এডিসন সিমেন্ট কম্পানি।
৭। গ্রামোফোনের পেটেন্ট নেওয়ার পর এর বহুমুখী ব্যবহারের চিন্তা করেছিলেন। এরপর বানালেন কথা বলা পুতুল। পুতুলের শরীরে বসানো হতো খুদে গ্রামোফোন, হাত-পা জোড়া হতো আলাদাভাবে।

এডিসন পড়া ও পড়ার বাইরে পছন্দ করতেন থিয়েটার দেখা ও দেশ ভ্রমণ। অল্প বয়স থেকেই এডিসন পড়ার প্রতি যে আগ্রহ নিজের ভেতরে বোধ করেছেন তা থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। কিন্তু এ কারণে তাঁকে অনেকে হিংসা করতো। এডিসন অল্পবয়সেই মেধা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার যে চিত্র তুলে ধরেছিলেন তা অনেকেই ঈর্ষাবশত সহ্য করতে পারেননি। তাঁর নামে একটি শহর, তিনটি কলেজ, কয়েকটি উচ্চ বিদ্যালয়, তিনটি সেতু এবং একটি হোটেলও রয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কয়েক জায়গায় তাঁর নামে জাদুঘর এবং স্মৃতিস্তম্ভ আছে। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনন্য অবদানের জন্য দেওয়া হয় এডিসন মেডেল। নেদারল্যান্ডসে সঙ্গীতের জন্য রয়েছে 'এডিসন অ্যাওয়ার্ড'। এই পরিশ্রমী বিজ্ঞানী অবশেষে ১৯৩১ সালের ১৮ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করলেন। তাঁর মৃত্যুর পর নিউইয়র্ক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল মানুষের ইতিহাসে এডিসনের মাথার দাম সবচেয়ে বেশি। কারণ এমন সৃজনীশক্তি অন্য কোনো মানুষের মধ্যে দেখা যায় নি। তাঁর শেষ নিঃশ্বাসটুকু একটি টেস্টটিউবে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে হেনরি ফোর্ড জাদুঘরে। তার মৃত্যুতে সমাপ্ত ঘটে একটি নিরলস প্রচেষ্টায় গাঁথা কর্মবহুল জীবনের। তবে তি্নি পৃথিবীতে রেখে যান অসংখ্য আবিষ্কার যা তাঁকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।পৃথিবীর অগ্রগতিতে তার অবদান বেঁচে থাকবে মানুষের বয়সে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

০ Likes ১ Comments ০ Share ৭৯০ Views