Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

nushrika mahdeen

১০ বছর আগে

বারিধারায় জলকন্যা পরশে খাবার!

সম্প্রতি ঢাকায় চালু হল মারমেইড গ্যালারি ক্যাফের নতুন শাখা। বারিধারার প্রগতি স্মরণীর এই ক্যাফেতে মিলবে কক্সবাজার মারমেইডের আমেজ। জেনে নেয়া যাক রাজধানীর মারমেইডের ভিন্নরকম আয়োজন আর পরিবেশের কথা।

প্রধান রাস্তার পাশেই মারমেইডের ভবনের দিকে গেলে দেখা যাবে সিঁড়ির শুরুটা রং-বেরংয়ের বাতি  আর বেশ কিছু লন্ঠন দিয়ে সাজানো। ভবনের নবম তলা জুড়েই পাওয়া যাবে এ রকম ব্যতিক্রম সাজ। কোনো কোনো সময় হাঁটতে হবে কাঠের সিঁড়ি ধরে। তবে চাইলে লিফটও ব্যবহার করা যায়। সিঁড়ি ধরে হেঁটে ভিতরে গেলে দেখা যাবে কাঠ, দড়ি ও বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছে বসার মতো আসবাব। দেয়ালের চিত্রকর্মগুলো সৌন্দর্যে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা।

ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টমতলার মেঝে তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। সপ্তমতলার বিশেষ বৈশিষ্ট হল এর এক পাশে বাচ্চাদের খেলার মতো জায়গা ও কিছু খেলার সরঞ্জাম রাখা হয়েছে। অষ্টম তলায় করা হয়েছে ব্যালকনির ব্যবস্থা। যেখানে খোলা আকাশের নিচে ২০ থেকে ২৫ জন একসঙ্গে আড্ডা দিতে পারে। এখানে মোম রাখা হয়েছে বাঁশের তৈরি মোমদানিতে। রাজধানীর কাঁঠাল বাগান আসা মানিক বলেন, “সন্ধ্যার চুরি যাওয়া আলোতে এখানের পরিবেশটা স্মৃতিতে ধরে রাখার মত।                                                                      
ক্যাফের পঞ্চম তলা সাজানো হয়েছে চিত্রকর্ম দিয়ে। এখানে পাওয়া যাবে অনেক ধরনের চিত্রকর্ম। চাইলে সেখান থেকে কিনেও নিতে পারবেন পছন্দের শিল্পটি। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলা জুড়ে মারমেইড ক্যাফের রান্নাঘর। যেকোনো তলায় বসতে পারেন। আয়েশ করে বসে জিরিয়ে নিয়ে পছন্দের খাবারের ফরমায়েশ দিতে পারেন। ষষ্ঠ তলার চমক হচ্ছে, এখানে ক্রেতাদের সামনেই তৈরি করা হয় খাবার।

মারমেইডের বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা ডমেনিক গোমেজ বলেন, “সচরাচর কিচেনগুলো থাকে একটু ভিতরের দিকে। এখানে আমরা পুরো রন্ধন প্রক্রিয়া দেখানোর ব্যাবস্থা করেছি। এটিও আমাদের বিশেষত্ব।” একসঙ্গে ১৩০ জন বসে মারমেইড কিচেনে বসে খাওয়া যায়।

বিচ ক্যাফেতে পাওয়া যাবে সমুদ্রের আবেশ। ছুঁয়ে যেতে পারে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আবহ। বিচ ক্যাফের মেঝে ইট সিমেন্টের বদলে তৈরি করা হয়েছে বালু দিয়ে। সমুদ্র সৈকত থেকে আনা বালু পায়ের নিচে চিকচিক করবে। আর এখানেই মিলবে জুসের বাহার। এখানে একসঙ্গে ২৫ জনের পার্টি করার মতো ব্যবস্থাও আছে।

ক্যাফেতে পাওয়া যাবে নানান স্বাদের খাবার। জাপানিজ, ইটালিয়ান, অ্যারাবিয়ান খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে দেরি না করে ঘুরে আসতে পারেন মারমেইড ক্যাফেতে। বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা রেক্সি ডোমেনিক গোমেজ কাছ থেকে এখানকার বিশেষ কিছু খাবারের নাম ও দাম জানা গেল। জাপানিজ সুশি বার, বাহারি রকমের পিত্জা ও পাস্তা। পিত্জা খেতে গেলে রকম ভেদে দাম ৪৫০  থেকে ১ হাজার ৮’শ টাকা গুনতে হবে।

সালাদের দাম পড়বে ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫’শ টাকা। পাস্তার দাম রকম ভেদে ৫২০ থেকে ৯৯০ টাকা। বেকারি এবং পেস্ট্রি সপে মিলবে বিশেষ কফি। সামুদ্রিক খাবারের দাম পড়বে ২৪০ টাকা থেকে ১ হাজার ২’শ টাকা। কফিতে বিভিন্ন রকমের ফ্লেভার পেতে পারেন। এসব ছাড়াও ডমেনিক আরও বিশেষ কয়েকটি খাবারের দাম জানান।

গ্রিল্ড কালামারি ৩০০ টাকা। বাটার কারিসস দাম ১,১২০ টাকা। র‌্যাক অফ ল্যাম্ব ১,১৭০ টাকা। ডাক আ লো’রাঞ্জ ১,৮০০ টাকা। কোয়েল রোস্ট ৯৫০ টাকা। স্যামন সালাদ দাম ১,৫০০ টাকা।

ঢাকার যেকোন স্থান থেকে নতুন বাজার নেমে ১০ টাকা রিকসা ভাড়ায় সহজেই যাওয়া যাবে মারমেইড ক্যাফে। প্রধান সড়কের পাশে ‘জে’ ব্লকের ৩২ নম্বর বাড়িটিই মারমেইড ক্যাফে। খোলা থাকে সপ্তাহের প্রতিদিন, বেলা ১১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।

ছবি সৌজন্যে : মারমেইড ক্যাফে, মলয় গাঙ্গুলী,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

 

০ Likes ১১ Comments ০ Share ৫০২ Views

Comments (11)

  • - তাহমিদুর রহমান

     এই বিজয় দিবসের প্রত্যয় হোক সুখী,সমৃদ্ধ,স্বর্নিভর বাংলাদেশ গড়ার ।  বিজয় দিবসে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরন করছি তাদের, যাদের আত্মত্যাগে পেয়েছি মহান স্বাধীনতা।সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

    • - নীল সাধু

    - মাসুম বাদল

    বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ...

    • - নীল সাধু

    - sheikh akm jakaria

    বেশ ভাল লাগল ........ বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ।

    • - নীল সাধু

    Load more comments...