Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বাঙালি পন্ডিত এবং শিক্ষক বেণী মাধব দাসের ১২৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

দেশপ্রেমিক বাঙালি পন্ডিত এবং শিক্ষক বেণী মাধব দাস। দেশপ্রেম ও শিক্ষকতায় নিবেদিত প্রাণ বেণী মাধব ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। দর্শন ছাড়াও তিনি অর্থনীতি ও ইতিহাসে পন্ডিত ছিলেন। তিনি শরৎ চন্দ্র বোস সহ আরও অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির শিক্ষাগুরু ছিলেন। দর্শন শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা লাভ করার পর তিনি চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। তাঁর হাতে এটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। চট্টগ্রামের পর তিনি ঢাকা, কটক, কৃষ্ণ নগর, ও কলকাতার স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। আজ এই মহান শিক্ষকের জন্মবার্ষিকী। ১৮৮৬ সালের আজকের দিনে তিনি চট্টগ্রাম জেলার শেওড়াতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাঙালি পন্ডিত এবং শিক্ষক বেণী মাধব দাসের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

বেণী মাধব দাস ১৮৮৬ সালের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া (বর্তমান বোয়ালখালী) থানার শারওয়াতলী ( কোথাও কোথাও শেওরাতলী উল্লেখ আছে) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম কৃষ্ণ চন্দ্র দাস। বেণী মাধব দাস বেড়ে ওঠেন পরাধীন ভারতে। কর্মজীবনে তিনি একজন সৎ-নিষ্ঠবান শিক্ষক ছিলেন। দর্শন, অর্থনীতি ও ইতিহাসে হেড মাস্টার বেণী মাবধবের ছিল অগাধ পান্ডিত্য। কখনো স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কখনো কলেজের প্রভাষক পদে তিনি চট্টগ্রাম, ঢাকা, কলকাতা, কটক, কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষকতা করেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু স্কুল জীবনে তাঁর ছাত্র ছিলেন। বালক সুভাষের মনোজগতে গভীর রেখাপাত করেন বেণী মাধব। বলা যায় সুভাষ বসুর দেশপ্রেমের বীজ বোপন হয় বেণী মাধবের হাতে। সুভাষ তাঁর ভারত পথিক গ্রন্থে বেণী মাধব দাসের কথা উল্লেখ করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরো জোরদার করতে দেশান্তরের পূর্বে সুভাষ বোস তাঁর প্রিয় শিক্ষকের কাছে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন। কটক ও কৃষ্ণ নগরে বেণী মাধবের সংস্পর্শে আসা আরেকজন পন্ডিত, নিরঞ্জন নিয়োগী লিখেছেনঃ Here was no harshness in his administration, no pompous display surrounding it – His cool and charming behavior used to have a remarkable impact on his students. Even those who were turbulent calmed down, became respectful towards him and were endeared to his affections.

বীণা দাস ও তার স্বামী স্বাধীনতা সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ যতীশ ভৌমিকের সাথে পিতা বেনী মাধব দাস)
বেণী মাধব দাস তাঁর সারা জীবন ব্রাহ্ম সমাজের কল্যাণে নিবেদন করেন।বেণী মাধব বিয়ে করেন তৎকালীন কলকাতার সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের সাধারণ সম্পাদকের কন্যা সরলা দেবীকে। সরলা দেবীও সমাজসেবায় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তিনি অসহায় ও দুস্থ নারীদের সহায়তায় ‘সরলা পুন্যাশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করেন। বেনী মাধব এবং সরলা দেবীর ঘরে জন্ম নেন অগ্নিযুগের দুই বিপ্লবী কল্যানী দাস (১৯০৭-৮৩) ও বীণা দাস (১৯১১-৮৬)।পরবর্তীকালে আমরা দুজনকেই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিকন্যা রূপে পাই। কল্যাণী দাস সমাজ সেবা ও বিপ্লবী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন এবং বীণা দাস ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবে সক্রিয় ছিলেন।

বেনী মাধব ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কাকিনাদায় (বর্তমানে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ) অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া থেইস্টিক কনফারেন্সের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫২ সালের ২রা সেপ্টেম্বর কলকাতায় মৃত্যু বরণ করেন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে খ্যাত পিণ্ডিত বেনী মাধব দাস । আজ তাঁর ১২৮তম জন্মবার্ষিকী। আদর্শবান শিক্ষক, দেশ প্রেমিক ও সমাজ সেবক বেণী মাধব দাসের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা ।

 

০ Likes ১ Comments ০ Share ৫০৬ Views