Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

পাশা নূর

৯ বছর আগে

বাংলাদেশের ভ্রমণ গাইড

খুলনা বিভাগ
বাংলাদেশের দণি-পশ্চিমপ্রান্তে বঙ্গোপসাগরের কাছেই খুলনার অবস্থান। খুলনার পরিচিতি সবার কাছে সুন্দরবনের জন্য। 
খুলনার দর্শনীয় স্থান
খুলনাতে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর অন্যতম। রয়েছে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন “সুন্দরবন”। 
বিখ্যাত খাবারের নামখুলনার চুই-রাজ হাঁসের মাংস 
নদী সমূহ 
কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। এছাড়া খুলনায় ট্রেনে যাওয়া যাবে। 
কোথায় থাকবেন : শহর খুলনায় থাকা-খাওয়ার জন্য হোটেল রয়েল, হোটেল টাইগার গার্ডেন, হোটেল ক্যাসল সালামসহ বেশ কয়েকটি ভালো মানের হোটেল রয়েছে। 

বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থান
এই জেলায় রয়েছে খানজাহান আলীর মাজার ও তার দীঘি, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ জামে মসজিদ, ষাটগম্বুজ জাদুঘর, প্রতœতত্ত্বের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন নিদর্শন। খানজাহানের মাজারের পাশে আরও আছে অনেকগুলো মসজিদ ও দীঘি।
নদী সমূহ 
কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। খুলনা নেমে লোকাল বাসে বাগেরহাট যাবে।
কোথায় থাকবেন : থাকা-খাওয়ার জন্য বাগেরহাট সদরে আছে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল।

যশোরের দর্শনীয় স্থান
শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি। ক্ষণিকা পিকনিক কর্নার (খানজাহান আলী কর্তৃক খননকৃত) ও মির্জানগর।প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে চাঁচড়া রাজবাড়ি, কালী মন্দির, গাজী কালুর দরগা, সিদ্দিরপাশার দীঘি ও মন্দির, রাজা মুকুট রায়ের রাজবাড়ির 
বিখ্যাত খাবারের নাম যশোরের জামতলার মিষ্টি,যশোরের খেজুরের নোলন গুড়ের প্যারা সন্দেশ
যশোরের খেজুর রসের ভিজা পিঠা
নদী সমূহ ভৈরব, কপোতাক্ষ, মুক্তেশ্বরী, বেতনা, চিত্রা, হরিহর, শ্রীনদী , টেকানদী, কোদলী নদী, ভদ্রা নদী এবং ইছামতি নদী
কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস যশোরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। 
কোথায় থাকবেন : যশোর শহরে থাকা ও খাওয়ার জন্য মোটামুটি মানের কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। 
নড়াইলের দর্শনীয় স্থান 
নড়াইল গিয়ে সবার আগেই হাজির হতে পারেন বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের বাড়ি। বর্তমানে তার বাড়িতে একটি জাদুঘর আছে। 
বিখ্যাত খাবারের নাম নড়াইলের নলেন গুড়ের সন্দেশ 
নদী সমূহ চিত্রা, নবগঙ্গা, মধুমতি, ভৈরব, আফরা, কাজলা নদী
কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে প্রতিদিন সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন এসি, নন এসি বাস নড়াইলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
কোথায় থাকবেন : নড়াইল শহরে থাকার জন্য মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। 
মাগুরার দর্শনীয় স্থান
রাজা সীতারাম রায়-এর রাজবাড়ী (মোহম্মদপুর), কবি কাজী কাদের নওয়াজ-এর বাড়ী (শ্রীপুর), বিড়াট রাজার বাড়ী (শ্রীপুর), পীর তোয়াজউদ্দিন (র) এর মাজার ও দরবার শরীফ (শ্রীপুর)দের চাঁদের হাট, আঠার খাদার সিদ্ধেশ্বরীর মঠ, গরিব শাহের মাজার,হাজী আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব কেবলা রহঃ) এর দরগাহ ও মাজার শরীফ(মাগুরা ভায়না মোড়)।
সীতারাম রায়ের রাজবাড়িমহম্মদপুর
ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত রাজা সীতারাম এখানে ভূষণা রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন। কিছু নিদর্শন এখনো বর্তমান; যেমন_ কাছারিবাড়ি, দোল মন্দির, ঘোড়াশাল, রামসাগর দিঘি, দুধসাগর দিঘি ইত্যাদি। জেলা সদর থেকে মহম্মদপুর সদর ২৫ কিলোমিটার, লোকাল বাসে ভাড়া ৩০ টাকা।
কবি ফররুখ আহমেদের বাড়িমাঝাইল
শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে কবি ফররুখ আহমেদের বাড়ি। কবির বিখ্যাত 'পাঞ্জেরী' কবিতার কয়েকটি চরণ উৎকীর্ণ আছে বাড়ির সামনের একটি স্মৃতিফলকে। আছে কবির জীর্ণ কুটির। ঢাকার গাবতলী থেকে খুলনাগামী সোহাগ, ঈগল বা হানিফ পরিবহনের বাসে চড়ে শ্রীপুরের ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। ভাড়া চেয়ার কোচ ৪০০ টাকা। সেখান থেকে ভ্যানযোগে পাঁচ টাকা ভাড়ায় কবির বাড়ি যাওয়া যায়।
রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দিরকেচুয়াডুবি
মাগুরা সদর উপজেলার মঘি ইউনিয়নের কেচুয়াডুবি গ্রামে অবস্থিত মন্দিরটি ৮০০ বছরের পুরনো। কাছেই আছে ফটকি নদী। এখন পুরনোটির পাশে বৃন্দাবনের কোনো একটি রাধাগোবিন্দ মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে বড় আরেকটি মন্দির। প্রতিবছর ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে বারুণী পূজা ও গঙ্গাস্নান হয়। ঢাকার গাবতলী থেকে আড়পাড়া হয়ে খুলনাগামী ঈগল, হানিফ, সোহাগসহ বেশ কিছু পরিবহনের বাসে আড়পাড়া বাজারে নামা যায়।  
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
নদের চাঁদের ঘাট, সীতারাম রায়ের রাজবাড়ি, দেবল রাজার গড়, সিদ্ধেশ্বরী মঠ ইত্যাদি
বিখ্যাত খাবারের নামমাগুরায় বিখ্যাত খামারপাড়ার দই।
নদী সমূহ গড়াই/মধুমতি, কুমার, চিত্রা, নবগঙ্গা, ফটকী ও মুচিখালী জেলার প্রধান নদ নদী।

কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থান
কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় দেখার স্থান হল শিলাইদহের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। এখানে রয়েছে ফকির লালন শাহের মাজার। এছাড়াও দেখতে পাবেন মীর মশাররফ হোসেনের বাড়ি, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। 
কুষ্টিয়ায় মহিষের দুধের দই।:কুষ্টিয়ার স্পেশাল চমচম
কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন এসি/নন এসি বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত।
নদী সমূহ গড়াই,মাথাভাঙ্গা ,মধুমতি, কুমার
কোথায় থাকবেন : কুষ্টিয়া শহরে থাকা ও খাওয়ার জন্য মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় এসব হোটেলে প্রতি রাত থাকা খাওয়া যায়।
ঝিনাইদাহ দর্শনীয় স্থান
মিয়ার দালান : জেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নবগঙ্গা নদীর তীরে মুরারীদহ গ্রামে প্রাচীন জমিদার বাড়ি মিয়ার দালান অবস্থিত। 
নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী মন্দির : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের দুই কিলোমিটার পশ্চিমে নলডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। 

বারোবাজার : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপনা। ধারণা করা হয়, বহুকাল আগে এখানে সমৃদ্ধ একটি শহরের অস্তিত্ব ছিল। 
গোরাই মসজিদ : ১৯৮৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ মসজিদটির সংস্কার করে। 
গলাকাটা মসজিদ : বারোবাজার-তাহিরপুর সড়কের পাশে অবস্থিত পোড়ামাটির কারুকাজ-সমৃদ্ধ প্রাচীন মসজিদ। 
জোড়বাংলা মসজিদ : ১৯৯২-৯৩ সালে খননের ফলে বারোবাজারের এ মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। পাতলা ইটে নির্মিত এ মসজিদটি উঁচু একটি বেদির ওপরে নির্মিত। 
সাতগাছিয়া মসজিদ : বারোবাজার থেকে এ মসজিদের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। এ মসজিদটি ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম স্থানীয় জনগণ আবিষ্কার করে। 
কালু ও চম্পাবতীর সমাধি : বারোবাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজী-কালু ও চম্পাবতীর সমাধি। গাজী-কালু ও চম্পাবতীর সমাধি নিয়ে নানান লোককাহিনি প্রচলিত আছে। 
শৈলকুপা শাহী মসজিদ : জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে শৈলকুপা বাজারের পাশেই অবস্থিত প্রাচীন স্থাপনা শৈলকুপা শাহী মসজিদ। 
মলিস্নকপুরের বটবৃক্ষ : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে দশ কিলোমিটার পূর্বে মলিস্নকপুরে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি বটবৃক্ষ। 
নবগঙ্গার সেই রূপ নেই। নেই ঝিনুকেরও সমাহার। তারপর নবগঙ্গা নদী ছাড়া দর্শনীয় স্থানের তালিকায় রয়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় কুমার নদের তীরে দরগা পাড়ার প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি উত্তরে ৩১ ফুট ও দক্ষিণে ২১ ফুট লম্বা। এর পূর্ব দেয়ালে ৩টি ও উত্তর-দক্ষিণ দেয়ালে ২টি করে দরজা আছে। এর ৬টি গম্বুজ আছে। এ মসজিদটি সুলতান নাসির উদ্দিন শাহ ১৫১৯-১৫৩১ সালের মধ্যে কোন এক সময় তৈরি করেন। এর কারুকাজ এখনো শিল্পবোদ্ধাদের কৌতূহলের উদ্রেগ করে। 
ঐতিহাসিক গোরাই মসজিদ।: ঝিনাইদহ থেকে বারবাজারের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এখানে আছে ঐতিহাসিক গোরাই মসজিদ। বারবাজারে ১২৬টি দিঘি ও পুকুর আছে। স্থানীয়দের ভাষায় এ মসজিদটি গোরাই গাজীর মসজিদ। এ মসজিদের গম্বুজ ১টি হলে এর কারুকাজ কিন্তু সৌন্দর্যে কোন অংশে কম নয়। ঝিনাইদহ শহরের পাশেই পাগলা কানাইয়ের মাজার। মুরারিদহে কুমার নদের পাশে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীলকুঠিয়ালদের বাড়ি।
নীলকুঠি : ঝিনাইদহে যাবেন আর নীলকুঠি দেখবেন না তা কিন্তু হয় না। বাংলার নীলচাষ ও নীলবিদ্রোহ সম্পর্কে জানার জন্য কৌতূহল আপনাকে তাড়া করে ফিরবে।
মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনকালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ 
আর দুই বছর পর, মানে ২০১২ সালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটির বয়স ১০০ বছর হবে। 
নদী সমূহ বেগবতী, ইছামতী, কোদলা, কপোতাক্ষ, নবগঙ্গা, চিত্রা ও কুমার নদী
০ Likes ০ Comments ০ Share ১০৯৮ Views

Comments (0)

  • - সুলতানা সাদিয়া

    কথাগুলো তো বেশ। ভাল লাগা রইল।

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    খুব সুন্দর হয়েছে

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    কেমন আছেন? সাহিত্য প্রতিযোগিতাবর্ষার গল্প কবিতা২০১৪ বিভাগ-- কবিতা আমার কবিতা …..'দুইটি নৈর্ব্যক্তিক নূপুর’ .....নির্বাচিত হয়েছে ভোটের জন্য যদি আমার কবিতা আপনাদে ভালো লাগে কিম্বা ভোট পাবার যোগ্য হয় তবে আপনার মূল্য বান ভোট চাইভালো থাকবেন শুভ কামনা রইল http://www.nokkhotro.com/post/140379-097653-ac2680-152ca0-.16629-481

    Load more comments...