Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বাংলাদেশী লিজেন্ড গানের রাজা সঙ্গীত শিল্পী মাহমুদুন্নবীর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি


আমাদের আধুনিক গান গুলো যারা অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠ শিল্পী প্রয়াত মাহমুদুন্নবী। বাংলাদেশী সঙ্গীতে শিল্পী মাহমুদুন্নবির নাম টি শোনেন নি এমন লোক পাওয়া সত্যি বিরল। অসংখ্য আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মনের মণিকোঠায়। সুরের ভুবনে আমি আজও পথচারী, ক্ষমা করে দিও যদি না তোমায় মনের মত গান শুনাতে পারি”। ৭০ এর দশকে গাজী মাজহারুল আনোয়ার এর লেখা আর সত্য সাহার সুরে কালজয়ী এ গানের শিল্পী বাংলাদেশী লিজেন্ড মাহমুদুন্নবী। একটা শিল্পীর কণ্ঠে কত দরদ আর কতটা আবেগ থাকলে এমন একটি গান গাওয়া সম্ভব তা সহজেই অনুমেয়। পরিষ্কার উচ্চারণ, আবেগ আর মেলোডি এই তিনের মিশেলে একজন শিল্পী যে জাত শিল্পীতে রূপান্তরিত হয়ে যান সেটি সুবল দাসের সুরে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখায় “ গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে বল কি হবে?”- গানটি শুনলে স্পষ্ট অনুধাবন করা সম্ভব যে মাহমুদুন্নবী কতটা লিজেন্ড ছিলেন। আমাদের দেশে মূলত ৭০ এর দশকে বাংলা ব্যান্ডের যে গন জোয়ার শুরু হয়েছিল তার অনেক আগ থেকেই আধুনিক গান তার নিজ স্বকীয়তায় আপন মহিমায় ভাস্বর ছিল। আধুনিক আর চলচ্চিত্রের সেই সব কালজয়ী গানগুলো আজও আমাদের নস্টালজিক করে তোলে। গান ভালোবাসেন না এমন মানব মানবী হয়তো খুঁজে পাওয়া যেতেও পারে। তবে আমাদের বাংলাদেশী সঙ্গীতে শিল্পী মাহমুদুন্নবির নাম টি শোনেন নি এমন লোক পাওয়া সত্যি বিরল। অসংখ্য আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মনের মণিকোঠায়। কালজয়ী এই সঙ্গীত শিল্পী বিজয়ের মাসে জন্মগ্রহণ করেন মৃত্যুবরণও করেন ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসের আজকের দিনে। আজ তার ২৪তম প্রয়াণ দিবস। বাংলাদেশী লিজেণ্ড সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতেরর বর্ধমান জেলার কেতু নামক এক অজ পাড়া গায়ে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কেবল গান ই লালন করতেন তার হৃদয়ে।মেলোডিয়াস গানের কণ্ঠ শিল্পী মাহামুদুন্নবী। মাহমুদুন্নবী ছিলেন গানের রাজা। সেই রাজার ছিলো তিন কন্যা নুমা (ফাহমিদা নবী), নোভা (সামিনা চৌধুরি) ও অন্তরা (তানজিদা নবী)। আর ছিলো এক পুত্র পঞ্চম (রেদয়ান চৌধুরী)। তাদের প্রাসাদ ছিলো ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে। মাহমুদুন্নবীর দুই কণ্যাই (ফাহমিদা নবী ও তার ছোট বোন সামিনা চৌধুরি) এখন খ্যতিমান শিল্পী। তার উল্লেখযোগ্য গান গুলোর মধ্যে তুমি যে আমার কবিতা, আমারও বাঁশি রাগিণী, তুমি কখন এসে দাড়িয়ে আছো আমার অজান্তে, ও গো মোর মধুমিতা, গীতিময় সেই দিন চিরদিন, সালাম পৃথিবী তোমাকে সালাম দুনিয়া কে করেছো টাকার গোলাম, খোলা জানালার পাশে একা বসে আছি, আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পড়ে আছিসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান। 

বাংলার এই মেলোডি কিং ছিলেন সহজ-সরল, মিষ্টভাষী এবং চরম অভিমানী এক মানুষ। কিংবদন্তি এই শিল্পিকে এক সময় গানের জগত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সত্য সাহার সুরে গাজী মাজহারুল আনোয়ার এর লেখায় তার কণ্ঠে গীত" আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পড়ে আছি" গানটির জন্য একুশে পদক ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে সেই পুরস্কার দেওয়া হয়নি। আর এই অভিমানে তিনি বাকি জীবন গান থেকে নির্বাসনে ছিলেন মাহহমুদুন্নবী। কেন তাকে ২১ শে পদক দেওয়া হবে এই ঘোষণা দিয়ে এবং লিস্ট করেও দেওয়া হলনা তা এখনো রহস্যাবৃত।

মাহমুদুন্নবী আমাদের সঙ্গীত আকাশের এক জ্বলন্ত উজ্জ্বল নক্ষত্র। নক্ষত্র যেমন আলোকিত করে বিশ্ব ভ্রমান্ড, আলোকিত করে চার পাশ, তেমনি মাহমুদুন্নবি ও তার সুরের আকাশকে আলোকিত করেছিলেন। কালজয়ী সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। কালজীয় সঙ্গীত শিল্পী সুরের যাদুকর মাহমুদুন্নবীর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুন্নবীর মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
০ Likes ০ Comments ০ Share ৭৩৬ Views

Comments (0)

  • - ফাতেমা সুমিন

    আপনার লেখা আমি নিয়মিত লক্ষ্য করেছি। আপনি অনেক ভাল লিখেন। 

    - মামুন

    ধন্যবাদ আপনাকে। অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো। শুভসন্ধ্যা।emoticons

    - সাইফুল ইসলাম

    সুন্দর গল্প, উচ্চ মনের কল্পনা ।
    খণ্ড ৪ এর ৯ নাম্বার লাইন এর "ফিলিং" শব্দ তা কি ইচ্ছাকৃত ব্যবহার করেছেন ? সব জায়গায় অনুভুতি লিখেছেন তো ...

    • - মামুন

      ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি রেখে যাবার জন্য। হ্যা, এই ইংরেজী শব্দটি লিখবার সময়ে ইচ্ছেকৃত লিখে ফেলেছিলাম। শুভকামনা রইলো।