বাঁশী কেন বাঁশের হয় গো ©
বাঁশী কেন বাঁশের হয় গো
সুর কেন কালা
রাঁধা রাঁধা ডাকে বাঁশী
তাতেও রাঁধার জ্বালা।
বুঝে নাতো ব্রজের রাখাল
বাঁজায় দুপুর বেলা।
লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে
বসে কদম ডালে
এক নিরিক্ষে চেয়ে থাকে
রাঁধা আসবে বলে।
রাঈ বিহনে ভেবে ভেবে
মন যে তার উতালা।
বাঁশী কেন বাঁশের হয় গো
সুর কেন কালা।
বৃন্দাবনের তরু লতায়
ধন্য হয় যার পায়ে
বাঁশের বাঁশী নিয়ে কানাই
কেন থাকে চেয়ে।
বাঁশীর সুরে কি বিষ মাখানো
কেন ধরায় জ্বালা।
বাঁশী কেন বাঁশের হয় গো
সুর কেন কালা।
বাঁশীর সুরটা না থাকিতো
সুক সারি কি চোখ খুলিতো
কেঁদে কেঁদে জীবন দিতো
কৃষ্ণ নামে করে খেলা।
জ্বলে জ্বলে অংগার হয়ে
গাঁথতো না মালা।
বাঁশী কেন বাঁশের হয় গো
সুর কেন কালা।