আগষ্টে বাড়িতে ভাইয়ের বিয়েতে গিয়েছিলাম । বাচ্চা দুটো আগেই চলে আসছিল ঢাকা । অলস সময় গুলো দুই জায়গায় ভ্রম দিয়াই কাজে লাগাইছি ....... চা বাগানও ঘুরে এসেছিলাম এর আগের দিন । । অনেক দিন হতেই বণ্য প্রাণীর অভয়ারণ্যে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল । অনেক আগে একবার গিয়েছিলাম তখন রাস্তাঘাট তেমন ভাল ছিল না । তেমন ঘুরাও হয়নি ।
এবার আমরা ভাইবোনেরা মিলে একটা সিএনজি নিয়ে রওয়ানা হলাম সকাল ১০ টার দিকে । অবশ্য যে সময়ে গেছি সে সময়ে পশু পাখি দেখার সময় ছিল না । যেহেতু রাস্তাঘাট খারাপ তাই আর বিকেল করিনি যাতে দিনে দিনে ফিরে আসতে পারি তারই ব্যবস্থা হিসাবে সকালে রওয়ানা দেই । ......... সিএনজি যোগে বিসমিল্লাহ বলে রওয়ানা হলাম অবশেষে ....
প্রায় ঘন্টা খানেক লাগল পৌঁছতে ........ চারপাশ অপূর্ব সবুজে সবুজ...... অসহ্য সুন্দর আর ভাল লাগা নিয়ে দেখছিলাম আর ছবি তুলছিলাম । যেহেতু বৃষ্টির দিন ছিল তাই সবই বৃষ্টির সবুজ আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল ।
সেদিন অবশ্য বৃষ্টি ছিল না বা আকাশে মেঘ ছিল না । দুপুরের খাঁ খাঁ ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুর ........ পাকা রাস্তা পার হয়ে শেষ পর্যন্ত আর পাকা রাস্তা ছিল না । সিএনজি অনেক কষ্টে সৃষ্টে ঠেলা ধাক্কাইয়া জায়গামত পৌছাইছে.......... কতটুক হেটে কতটুকু আবার সিএনজিতে এভাবেই গিয়ে পৌছেছিলাম রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে........
১। এই যে রাস্তা শুরু ........ ২০ টাকা টিকেট দিয়ে অভয়ারণ্যে ঢুকতে হয় ....... । ঢুকলাম কিন্তু অনেক হাটতে হয়েছে ..... অনেক অনেক পায়ে হাটার পথ । উচু নিচু পাহাড়ী রাস্তা ....... টিলা বেয়ে বেয়ে উঠতে হয়েছে ।
২। সদয় অবগতি দর্শকদের জন্য ......
৩। নিয়মনীতি লেখা আছে এখানে.........
৪ । রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের গেইট......
৫। ভিতরে যেতেই দেখি শিউলী ঝরে পড়ে আছে গাছের তলায়
৭। উচু নিচু রাস্তার শুরু এখান থেকেই
৮। অনেক পুরনো সেগুন বাগান ........ অনেক অনেক সেগুন চারপাশ জুড়ে ......
৯। সীমান্ত ফাঁড়ি......... সীমান্ত রক্ষায় প্রহরা দেয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডরা । উপরে ছবি তোলা নিষেধ ।
১০। সবুজ ঝোপ ঝাড় অভূতপূর্ব ......... অসাম সুন্দর । পায়ের হাটার কষ্ট এসব দেখেই ভুলা যায় । যে পানি দেখতেছেন সেগুলো অটো পানি ....... পাহাড়ের পানি । এখানে যে কোন জায়গায় কিছু গর্ত করলেই অটো পানি আসে ......
১১। একটু দুরেই মাটির তৈরী মক্তব ঘর । তার পাশে কাঠগোলাপ গাছ । গাছের নিচে অসংখ্য ফুল পড়ে আছে । আমরা সবাই কতগুলো কুড়িয়ে নিয়েছি মাথায়ও গুজে দিয়েছিলাম ।
১২। মাটির মক্তব ঘরটি
১৩। দুর্গম এলাকার ভিতরেই ছোট একটি দোকান ঘর । এখান থেকে চকলেট কিনে নিয়েছি সবাই ......
১৪। এত হাঁটার পরও বলে আরো আধাঘন্টা পায়ে হাটার পথ ই ই ই ..... যেখানে যাব আমরা সেখানে অনেক উচ টাওয়ার আছে যার উপরে উঠে বণ্য প্রাণী দেখা যাবে । তাই বলা আছে যে মোবাইল গান সব বন্ধ করে দিতে । চুপচাপ শুধু দেখে যাব ।
Comments (15)
ভালো হয়েছে ।
কবিতা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ রোদেলা।
কষ্টগুলোর নাম দেব কী
আমার আকুলতা?
নাকি নিপূন হাতে তৈরী করা
তোমার বিষন্নতা...
চমৎকার প্রকাশ...