কোন বিষয় কারো উপর হঠাৎ চাপিয়ে দিলে তা পালন করা মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। কিন্তু,পর্যায়ক্রমে চাপিয়ে দিলে আর সেটাকে কষ্টকর মনে হয় না। সেজন্যই ইসলাম বেশ কিছু বিধি বিধানকে পর্যায়ক্রমে ফরজ বা আবশ্যক করে দিয়েছে। মানুষের সমস্যা ও কষ্টের কথা চিন্তা করেই একবারে তা ফরজ করে দেয়নি। তন্মধ্যে হিজাবও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান।
অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতে হিজাবের প্রথম আয়াত পঞ্চম হিজরীতে খন্দকের যুদ্ধের সময় নাযিল হয়েছে। একবারে হিজাবকে ফরজ করা হয়নি; বরং, ধাপে ধাপে তা ফরজ হয়েছে। প্রথমে মানুষকে হিজাবের অভ্যাস করানোর জন্য সুরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াত নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- “হে আমার নবী! আপনার স্ত্রী,কন্যা ও মুসলমান মহিলাদেরকে বলে দিন তারা যেন তাদের চাদরের অংশবিশেষ নিজেদের উপর টেনে নেয়।“ (আহযাব: ৫৯)
এর পর ধাপে ধাপে তা ফরজ হয়। চুড়ান্তভাবে সুরা নুরের আয়াত দ্বারাই ফরজ হয়। আল্লাহ বলেন:
“হে নবী! মুমিন মহিলাদেরকে বলে দিন তারা যেন নিজেদের চক্ষুকে নিম্নগামী করে এবং তাদের গোপনাঙ্গকে (অশ্লীল কাজ থেকে) হেফাজত করে। আর তারা যেন যা আপনাআপনি প্রকাশ হয়ে যায় তা ব্যতিত নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের ঘোমটা বুকের উপর টেনে নেয় এবং নিজেদের সৌন্দর্যকে নিজ স্বামী,পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসী, জৈবিক কামনামুক্ত পুরুষ, মহিলাদের গোপনাংগ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্য কারো সামনে প্রকাশ না করে। তারা যেন নিজেদের গোপণ সাজ-সজ্জ্বা প্রকাশের জন্য জোরে পদচারনা না করে। হে মুমিনেরা! তোমরা আল্লাহ তায়ালার দিকে ফিরে আস যাতে সফলকাম হতে পার”।(সুরা নুর:৩১)
(cOlLeCtEd fRoM a BlOg)
Comments (0)
সুন্দর হইছে দিদি
অসংখ্য ধন্যবাদ...
" ঢ্যাং-কুরকুর বাজল বাদ্দি
আসছে দেখো পুজো
নতুন সাজে নতুন রুপে
মা দুর্গার পুজো
গড়ছে মূর্তি গড়ছে শিল্পী"
আগাাম পূজার শুভেচ্ছা।
ভালো লাগলো কবিতার কথামালা। শুভেচ্ছা জানবেন ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ...
ভালো লাগলো ।
অসংখ্য ধন্যবাদ...