কিছুদিন আগে এইচ ,এস,সি ফল প্রকাশিত হয়েছে।সেই ফলাফল নিয়ে বহু লেখালেখি এবং সরকারি ,বিরোধী দলের মধ্যে ও বহু তর্ক বিতর্ক হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি সে বির্তকের মধ্যে কিছুটা সত্যতা আছে বটে কিন্তু তার আড়ালে অনেক কিছুই লুকায়িত আছে। সেগুলো বিশ্লেষণ কারা দরকার ,আমলে নেয়া দরকার। আমরা যেন কাদাঁ ছোড়াছুড়ির হীন খেলায় মেতে উঠে ছাত্র ছাত্রীদের জীবনকে সংকটাপন্ন করে না তুলি। ফল প্রকাশের পর সরকারী দল থেকে বলা হয়েছিলো ক্রমাগত হরতালের কারণে ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে। সরকারের এ বক্তব্যে কিছুটা সত্যতা আছে সত্য,কিন্তু প্রাসংগিক আরো অনেক কারণ এ ফলাফল বিপর্যয়ে দায়ী। বিরোধী দল থেকে বলা হয়েছিলো নতুন সিলেবাস পদ্ধতির কারণেই এই এ ফলাফল বিপর্যয়। এ কথা ও অনেকাংশে সত্যি।
আসলে যে কোন কিছু নতুন করে প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ,আর শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তো এর গুরুত্ব অপরিসীম।কারণ এ শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে আমাদের জাতির ভাগ্য জড়িত। এ বছরই অর্থাৎ ২০১৩সনে প্রথম উচ্চ মাধ্যমিকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে, তা ও আবার সব বিষয়ে নয়।পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা থাকা দরকার ছিলো তা না করেই এর প্রয়োগ শুরু হয়। সৃজনশীল পদ্ধতি একটি নতুন ধরণের ভাবনা, যার জন্য একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। যে পরিকল্পনায় সিলেবাস প্রনয়ণ , শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ , পরীক্ষামূলক প্রয়োগসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করেই উচিত ছিলো তারপর পরীক্ষায় প্রয়োগ। কিন্তু এক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করতে গিয়ে আমাদের ছাত্র ছাত্রীরা তার মূল্য দিচ্ছে। সৃজনশীল পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্তের প্রায় অনেক দিন পর শিক্ষকরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। তার আগে সময় টুকু আগের গতানুগতিক পদ্ধতিতে পাঠদান করেছেন শিক্ষকরা। কারণ তাদের কাছে এ সস্পর্কিত কোন নির্দেশ নামা পৌঁছে নি।
গ্রামাঞ্চল আর শহরাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মেধাগত দিক সহ নানা দিকে পার্থক্য রয়েছে। এবারের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে গ্রামাঞ্চলের ফলাফলই সবচেয়ে খারাপ হয়েছে।অধিকাংশ মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা শহরাঞ্চলের কলেজগুলোতে ভর্তি হয়ে যায় ।গ্রামাঞ্চলে যে মেধার ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয় তাদের কাছ থেকে সৃজনশীল পদাধতিতে ভাল কিছু আশা করা যায় না। কারণ যে ছাত্রছাত্রী ১.৫ কিংবা ২.৫ মানের পয়েন্ট নিয়ে কলেজে ভতি হয় তাদের কাছ থেকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে নতুন কিছু নিজের থেকে লেখা আশা করা যায় না। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী কলেজে নিয়মিত উপস্থিত থাকেনা । অভিবাবকরা অনেকেই অসচেতন। নিয়মিত উপস্থিতি ,নিয়মিত পড়াশুনা ভালো ফলাফলের অন্যতম কারণ।গ্রামাঞ্চলে ভাল মেধাবী ছাত্রছাত্রী অবশ্যই আছে এবং তারা ভাল ফলাফল ও করছে ।কিন্তু সামগ্রিক বিচারে নিম্মমানের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর কারণে গ্রামাঞ্চলের ফলাফল সেভাবে বিকশিত হতে পারে নি। আর হরতাল সহ নানা কারণতো ছিলোই। জাতীয় এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নিয়ে যেন তেন প্রকারের সিদ্ধান্ত কাম্য নয়। কৃতিত্ব নিতে গিয়ে আমরা যেন কাউকে কাউকে গিনিপিগ বানিয়ে না ফেলি।এ পদ্ধতিতে ভালো কিছু আশা করতে হলে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহ সকলের আরো যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
আসলে যে কোন কিছু নতুন করে প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ,আর শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তো এর গুরুত্ব অপরিসীম।কারণ এ শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে আমাদের জাতির ভাগ্য জড়িত। এ বছরই অর্থাৎ ২০১৩সনে প্রথম উচ্চ মাধ্যমিকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে, তা ও আবার সব বিষয়ে নয়।পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা থাকা দরকার ছিলো তা না করেই এর প্রয়োগ শুরু হয়। সৃজনশীল পদ্ধতি একটি নতুন ধরণের ভাবনা, যার জন্য একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। যে পরিকল্পনায় সিলেবাস প্রনয়ণ , শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ , পরীক্ষামূলক প্রয়োগসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করেই উচিত ছিলো তারপর পরীক্ষায় প্রয়োগ। কিন্তু এক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করতে গিয়ে আমাদের ছাত্র ছাত্রীরা তার মূল্য দিচ্ছে। সৃজনশীল পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্তের প্রায় অনেক দিন পর শিক্ষকরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। তার আগে সময় টুকু আগের গতানুগতিক পদ্ধতিতে পাঠদান করেছেন শিক্ষকরা। কারণ তাদের কাছে এ সস্পর্কিত কোন নির্দেশ নামা পৌঁছে নি।
গ্রামাঞ্চল আর শহরাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মেধাগত দিক সহ নানা দিকে পার্থক্য রয়েছে। এবারের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে গ্রামাঞ্চলের ফলাফলই সবচেয়ে খারাপ হয়েছে।অধিকাংশ মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা শহরাঞ্চলের কলেজগুলোতে ভর্তি হয়ে যায় ।গ্রামাঞ্চলে যে মেধার ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয় তাদের কাছ থেকে সৃজনশীল পদাধতিতে ভাল কিছু আশা করা যায় না। কারণ যে ছাত্রছাত্রী ১.৫ কিংবা ২.৫ মানের পয়েন্ট নিয়ে কলেজে ভতি হয় তাদের কাছ থেকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে নতুন কিছু নিজের থেকে লেখা আশা করা যায় না। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী কলেজে নিয়মিত উপস্থিত থাকেনা । অভিবাবকরা অনেকেই অসচেতন। নিয়মিত উপস্থিতি ,নিয়মিত পড়াশুনা ভালো ফলাফলের অন্যতম কারণ।গ্রামাঞ্চলে ভাল মেধাবী ছাত্রছাত্রী অবশ্যই আছে এবং তারা ভাল ফলাফল ও করছে ।কিন্তু সামগ্রিক বিচারে নিম্মমানের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর কারণে গ্রামাঞ্চলের ফলাফল সেভাবে বিকশিত হতে পারে নি। আর হরতাল সহ নানা কারণতো ছিলোই। জাতীয় এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নিয়ে যেন তেন প্রকারের সিদ্ধান্ত কাম্য নয়। কৃতিত্ব নিতে গিয়ে আমরা যেন কাউকে কাউকে গিনিপিগ বানিয়ে না ফেলি।এ পদ্ধতিতে ভালো কিছু আশা করতে হলে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহ সকলের আরো যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।