Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

প্রথম অধ্যায়ঃ Fundamentals of Computer

এই অধ্যায় থেকে আমরা যা শিখবঃ

 কম্পিউটার ও কম্পিউটার এর কার্যপদ্ধতি  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি গুলোর ব্যবহার  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্ততে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির কার্যপদ্ধতি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর বিস্তারিত আলোচনা


কম্পিউটার

Computer একটিইলেক্ট্রনিকDevice বাবৈদ্যুতিকযন্ত্র।যাআভ্যন্তরীণভাবেতথ্যমজুদরাখতেপারেএবংপ্রদত্তনির্দেশঅনুসারেকোনগানিতিক, যৌক্তিকভাবেবিশ্লেষণকরেএকটিসঠিকফলাফলপ্রকাশকরতেপারে। কম্পিউটার (Computer) শব্দটি এসেছে গ্রীক কম্পিউট (Compute) শব্দ থেকে। Compute শব্দের অর্থ হচ্ছে গণনা করা। সুতরাং এদিক দিয়ে বলা যায় Computer মানে গণনাকারী যন্ত্র।

কম্পিউটারএরকাজ

এক সময় কম্পিউটার দিয়ে শুধু হিসাবনিকাশ এর কাজ করা হত। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটার এর ব্যপ্তি ও প্রসার এতোটাই ব্যাপক যে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই এখন ব্যবহার করা হয় কম্পিউটার। জটিল ও সময় সাপেক্ষ হিসাব নিকাশ, গানিতিক বিশ্লেষণ, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কৃষি ক্ষেত্র, শিক্ষা, ব্যবসায়, শিল্প কারখানা – এক কথায় বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ছাড়া একটি মুহূর্ত অকল্পনীয়।

কম্পিউটারএরবৈশিষ্ট্য

1)        দ্রুতগতি (High Speed)

2)        সূক্ষ্মতা (Accuracy)

3)        ক্লান্তিহীনতা (Dilligence)

4)        স্বয়ংক্রিয়তা (Automation)

5)        নির্ভুলতা (Correctness)

6)       বিশ্বাসযোগ্যতা (Relaiability)

7)        স্মৃতিশক্তি  (Memory)

8)        যুক্তিসঙ্গতা ( Logical Analysis)

9)        বহুমুখীতা (Versatility)

10)      অসীম জীবনীশক্তি (Endless Life)

11)      সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Decision Making)

 

কম্পিউটারের কার্যক্ষেত্র

বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক যে কোন কাজে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম। কম্পিউটার কাজ করার দ্রুততা, নির্ভুলতা, তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা বা গোপন রাখা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের কারনে কম্পিউটারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হল :

দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগ ক্ষেত্রে । চিকিৎসা ক্ষেত্রে সামরিক ক্ষেত্র কলকারখানা, প্রকাশনায় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে । তথ্য আদান প্রদান ক্ষেত্রে শিক্ষা ক্ষেত্রে

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

Quality

মান

Brand Computer যে কম্পিউটারএরসবযন্ত্রাংশএকইকোম্পানিরতৈরিসেকম্পিউটারগুলোকেBrand Computer বলে। যেমনঃ IBM, Dell, Apple
Clone Computer যেকম্পিউটারএরপ্রতিটিযন্ত্রাংশবিভিন্নকোম্পানিদ্বারাতৈরিসেকম্পিউটারগুলোকেClone Computer বলে।

Work

কাজ

Analog Computer যে কম্পিউটারের সাহায্যে দূরত্ব, সংকেত, রোধ, চাপ, বিদ্যুৎ ভোল্টেজ পরিমাপ ইত্যাদি গণনা করতে পারা যায় তাকে এনালগ কম্পিউটার বলে।
Digital Computer যে কম্পিউটারের সাহায্যে বাইনারী পদ্ধতিতে গানিতিক ও যুক্তিগত কাজ করা যায় তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে।
Hybrid Computer এনালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটার-এর মিশ্রণে যে কম্পিউটার তৈরি করা হয় তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে।



Memory

স্মৃতি
Super Computer এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও দ্রুত গতি সম্পন্ন কম্পিউটার। সুপার কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে সক্ষু বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিপুল পরিমান তথ্য বিশ্লেষণ, মহাকাশ গবেষণা ইত্যাদি কাজ করার জন্য। যেমনঃ CRAY-1, CYBER-205
Main Frame Computer মাইক্রোকম্পিউটার ও মিনি কম্পিউটার –এর চেয়ে বড় আকৃতির কম্পিউটারকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার বলে। এই কম্পিউটার এ ৮০টি টার্মিনাল লাগানো যায়। যেমনঃ Univac 110/01, IBM 370/168.
Mini Computer মাইক্রোকম্পিউটারের চেয়ে বড় আকৃতির কম্পিউটারকে মিনি কম্পিউটার বলে। এই কম্পিউটার এর সাথে ১৪টি টার্মিনাল সংযুক্ত করা যায় এবং ১৪ জন লোক একই সাথে কাজ করতে পারে। যেমনঃ PDP 11/45, NOVA-3, IBM-36
Micro Computer সাধারনত আমরা যে সব কম্পিউটার ব্যবহার করি সেগুলু হল মাইক্রো কম্পিউটার। মিচ্রপ্রসেসসর দ্বারা তৈরি বলে এদেরকে মাইক্রো কম্পিউটার বলে।১৯৭১ সালে Intel নামক একটি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে।

Size

আকার

Micro Computer

Desktop সহজে টেবিলের উপর রেখে কাজ করা যায় বলে একে ডেস্কটপ কম্পিউটার বলে।
Laptop কোলের ওপর রেখে কাজ করা যায় বলে একে ল্যাপটপ কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটার গুলো সহজে বহন যোগ্য।
Notebook ছোট ডায়রী বা নোটবুক আকৃতির ল্যাপটপ কম্পিউটার গুলোকে নোটবুক কম্পিউটার বলে।
Pad / Tablet  
Smart Phone  
Thump top  

কম্পিউটার এর কার্যপদ্ধতি

কম্পিউটার এর ৪টি অংশ রয়েছে। যথাঃ

১) ইনপুট ইউনিট বা গ্রহণ মুখ: এর সাহায্যে কম্পিউটারকে ডাটা নির্দেশ দেয়া হয়।

২) প্রসেসিং ইউনিট বা নিয়ন্ত্রন অংশ: এই অংশে কম্পিউটার কাজ নিয়ন্ত্রন করে। এটি কম্পিউটার এর মস্তিষ্ক বলা যায় ।

৩) মেমোরি বা স্মৃতি ভাণ্ডার: এই অংশে কম্পিউটার তথ্য বা ফলাফল জমা করে রাখে ।

৪) আউটপুট বা নির্গমন অংশ: এই অংশে কম্পিউটারের সমস্ত ফলাফল জানানোর ব্যবস্থা করে দেয়।

নীচের ছবিটি লক্ষ্য করি –

 

 

 

 

 

উপরের ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি কম্পিউটার এর মূল ৪ টি অংশঃ ইনপুট, আউটপুট, মেমোরি ও প্রসেসর । তুমি যখন ইনপুট ডিভাইস দিয়ে কোন তথ্য বা উপাত্ত দাও, তখন কম্পিউটার এর মেমরিতে তা জমা হয় । প্রসেসর মেমোরি থেকে উপাত্ত গুলো নিয়ে প্রসেস করে অর্থাৎ ব্যবহার করে বা বিচার বিশ্লেষণ করে এবং ফলাফল মেমোরিতে জমা রাখে । প্রসেস বা কাজ শেষ হলে আমরা তা আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে পেয়ে যাই ।

হার্ডওয়্যার (Hardware)

কম্পিউটারএরযেসকলযন্ত্রধরাবাছোঁয়াযায়সেগুলোকেHardware বলে।যেমনঃComputer CPU, keyboard, Mouse, Monitor, Hard disk, Mother Board, RAM, Printer, Scanner ইত্যাদি। Hardware ৩ প্রকার। যথাঃ

১) Input Device      ২) System Unit       ৩) Output Device

ইনপুট ডিভাইস (Input Device):

যে সমস্ত যন্ত্রাংশ সমুহের মাধ্যমে কম্পিউটারে কোন তথ্য প্রেরন করা হয় তাকে Input Device বলে। যেমনঃ Key-Board, Mouse, Scanner, CD, Floppy Disk, Joy Stick, OMR Machine, Microphone, Digital Camera, Video Camera, Barcode Reader ইত্যাদি।

মাউস (Mouse)

মাউস একটি ইনপুট ডিভাইস। ১৯৬০ সালে মাউস আবিষ্কার হয়। মাউস দিয়ে ছবি আঁকা বা কোন কিছু স্ক্রিন থেকে নির্বাচন করা জাতীয় কাজ করা যায়, ছবি আঁকার কাজ করা যায় । । মাউস বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমনঃ         ১) Mechanical Mouse           ২) Optical Mouse

৩) Serial Mouse                     ৪) PS/2 Mouse

কীবোর্ড (Keyboard)

এটি একটি ইনপুট ডিভাইস যার মাধ্যমে System Unit-এর মধ্যে কোন ডাটা বা তথ্য প্রবেশ করা হয়। keyboard এর মাধ্যমে লেখালেখির কাজ করা যায় ।

জয় সটীক (Joy Stick)

যারা কম্পিউটার এ গেম খেলে তারা জয়সটীক ব্যবহার করে । এগুলো দিয়ে আমরা কম্পিউটারে গেম এর তথ্য প্রেরণ করি তাই এটি একটি ইনপুট ডিভাইস ।

ও এম আর মেশিন (OMR Machine)

আমরা অনেকেই পরীক্ষার খাতায় গোলক ভরাট করতে দেখেছি । ওএমআর মেশিন এই গোলক ভরাট করা খাতা গুলো পড়তে পারে বলে এটিও একটি ইনপুট ডিভাইস ।

মাইক্রোফোন (Microphone)

মাইক্রোফোন হল কথা বলা বা রেকর্ড করার জন্যে স্পীকার এর মত একটি ডিভাইস । এটি দ্বারা কম্পিউটার এ কণ্ঠ প্রেরণ করা হয় বলে এটিও একটি ইনপুট ডিভাইস

ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera)

অনেক সময় কম্পিউটার এ ছবি ঢুকাতে হয় । ছবিটি যদি ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তলা হয়ে থাকে তবে তা সরাসরি ক্যামেরা থেকে কম্পিউটার এ ঢুকানো যায় বলে এটিও একটি ইনপুট ডিভাইস ।

স্ক্যানার (Scanner)

ছবি যদি ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তলা না হয় তবে প্রিন্ট করা ছবি কম্পিউটারে ঢুকাতে স্ক্যানার ব্যবহার করা হয় বলে এটিও একটি ইনপুট ডিভাইস ।

ভিডিও ক্যামেরা (Video Camera)

ডিজিটাল ক্যামেরার মত ভিডিও ক্যামেরা বা ওয়েব ক্যামেরা ও একটি ইনপুট ডিভাইস ।

বারকোড রিডার (Barcode Reader)

আমরা যখন কোন পন্য কিনি তখন দেখা যায় তার মোড়কের গায়ে কিছু কাল কাল দাগ থাকে যা আমরা বুঝিনা । আসলে এই দাগ গুলো এক ধরনের বিশেষ সংকেত । এই সংকেত গুলো পড়ার জন্যে যে মেশিন ব্যবহৃত হয় থাকে বলে বারকোড রিডার ।

সিস্টেম ইউনিট (System Unit): System Unit হল কম্পিউটার-এর সবচেয়ে গুরত্তপুর্ন অংশ। ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য সুমুহকে যে যন্ত্রের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ করা হয় তাকে System Unit বা CPU বলে। Mother Board, RAM, Hard disk, Processor, Sound Card, ROM, Power Supply ইত্যাদি সিস্টেম ইউনিটের মধ্যে থাকে।

কম্পিউটার মেমোরি

Memory বা স্মৃতি হচ্ছে কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেখানে কোন ডাটা বা তথ্য জমা থাকে। কোন ডাটা দিয়ে কাজ করতে চাইলে প্রথমে তা কম্পিউটার এর মেমোরিতে জমা রাখতে হবে। কম্পিউটারের সাহায্যে ডাটা বা তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত মাধ্যমকে Memory বলে। Memory ২ ধরনের। যথাঃ

                                               ১) Main Memory    ২) Auxiliary Memory

র‍্যাম (RAM)

RAM হচ্ছে Random Access Memory।কোন প্রোগ্রাম চালানোর সময় প্রোগ্রামের ডাটা গুলো RAM এ অস্থায়ী ভাবে জমা থাকে। বিদ্যুৎ চলে এই মেমোরিতে থাকা তথ্য আর ফিরে পাওয়া যায় না। RAM ছাড়া কোন প্রোগ্রাম চালানো যায় না।১টি র‍্যামে ১০ লক্ষাধিক শব্দের সমান তথ্য রাখা যায় ।

রম (ROM)

ROM হচ্ছে কম্পিউটার এর স্থায়ী মেমোরি। এই মেমোরি থেকে কেবল পড়া যায় কিন্তু কোন কিছু পরিবর্তন করা যায় না।

সিডি রম (CDROM)

সিডি ( Compact Disk ) থেকে তথ্য পাঠানোর জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে CD Drive বলে। এটি একটি স্থায়ী পদ্ধতি। এতে বার বার তথ্য মুছে পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।

DVD ROM

DVD ROM কে CD ROM এর পরবর্তী সংস্করন বলা হয়। এটি CD ROM এর মত কিন্তু এর ট্রান্সফার রেট অনেক বেশি। এর ধারন ক্ষমতা ৪.৭ থেকে ১৬ গিগাবাইট বা তারও বেশি হতে পারে।

স্টোরেজ ডিভাইস

কম্পিউটারে স্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করা হয় যে ডিভাইসে তাকে বলা হয় স্টোরেজ ডিভাইস । নিম্নে কিছু স্টোরেজ ডিভাইসের বর্ণনা দেয়া হল -

হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (Hard Disk)

ডাটা ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন শক্ত ম্যাগনেটিক ডিস্ককে Hard Disk বলে। এটি কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণ ভাণ্ডার। Hard Disk ধারন ক্ষমতা ৪০ মেগাবাইট থেকে কয়েক Exabyte পর্যন্ত হতে পারে। hard Disk এর ক্ষুদ্রতম অংশকে বলা হয় Sector. Hard Disk আবিষ্কার হয় ৮০র দশকে।

হার্ড ড্রাইভের ভিতর যে স্টোরেজ ডিস্ক টি থাকে তা প্রতি মিনিটে ৫৪০০ থেকে ৭২০০ বার ঘুরতে থাকে । এটি পাকাপাকিভাবে কম্পিউটার এর সিপিইউ এর সাথে সংযুক্ত থাকে তাই বাইরে থেকে দেখা যায়না ।

সিডি ( CD = Compact Disk )

সিডি বা কম্প্যাক্ট ডিস্ক হল এক ধরনের ডিজিটাল অপটিক্যাল ডিস্ক যা ডাটা সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয় । সিডিতে একবার তথ্য সংরক্ষণ করলে তা মুছা যায়না, কিন্তু বার বার তা ব্যবহার করা যায় । সিডি থেকে আলোর সংকেত দিয়ে কম্পিউটার তথ্য সংরক্ষণ করে । সিডি শুধু তথ্য সংরক্ষণ করেনা, বিনদনে ও সহায়ক যেমন এতে গান, মুভি ইত্যাদি সংরক্ষণ করে তা আলাদা প্লেয়ার দিয়ে চালানো যায় ।

পেন ড্রাইভ ( Pen drive )

পেন ড্রাইভ কে অনেকে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ও বলে । এটিও একটি তথ্য সংরক্ষণ ডিভাইস । USB পোর্ট এর সাহায্যে কম্পিউটার এর সাথে সহজে সংযুক্ত ও বিচ্ছিন্ন করা যায় এই ডিভাইসটি । তাছাড়া তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহার অনেক সহজ হওয়াতে এই ডিভাইসটি বর্তমানে সর্বাধিক প্রচলিত । এটি সহজে পকেটে নিয়ে বহনযোগ্য । পেন ড্রাইভ বিভিন্ন ক্ষমতার মেমোরি নিয়ে পাওয়া যায় যেমন ১ গিগাবাইট থেকে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত । ৮ গিগাবাইট এর একটি পেন্দ্রাইভেই ১০ – ২০ হাজার বই রেখে তা পকেটে নিয়ে ঘুরা যায় ।

ডিভিডি ( DVD = Digital Versatile Disk )

ডিভিডি ও সিডি এর মতই এক ধরনের ডিজিটাল অপটিক্যাল ডিস্ক যা ডাটা সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয় । কিন্তু ডিভিডিতে একবার তথ্য সংরক্ষণ করলে তা মুছে আবার তথ্য সংরক্ষণ করা যায়, এবং বার বার তা ব্যবহার করা যায় । সিডি এর উন্নতরূপ বলা যায় ডিভিডিকে ।

ফ্লপি ডিস্ক ( Floppy Disk )

ফ্লপি ডিস্ক হল এক ধরনের হাল্কা ও বহনযোগ্য ডাটা সংরক্ষণ ডিভাইস যা একটি প্লাস্টিক এর আবরনের ভেতর থাকে । ফ্লপি ডিস্কে ডাটা সংরক্ষণ ও তা ব্যবহার করতে হলে ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ লাগে । এই ডিভাইসটি এখন আর ব্যবহৃত হয়না । সিডি ও পেন ড্রাইভ এখন ফ্লপি ডিস্ক এর যায়গা দখল করে নিয়েছে ।

প্রসেসর ( Processor)

Processor কে CPU বা Central Processing Unit বলা হয়। Processor কে কম্পিউটার এর মস্তিষ্কও বলা হয়। প্রসেসর কম্পিউটার এর যাবতীয় কাজ যেমন – তথ্য দেয়া – নেয়া ও প্রক্রিয়া করন ইত্তাদি করে থাকে ।

CPU অসংখ্য Register নিয়ে গঠিত। Register গুলো ১৬/৩২/৬৪ বিটের হয়ে থাকে। ১৯৬০ সালে প্রথম Microprocessor আবিস্কার হয়। ১৯৭১ সালে ইন্টেল কোম্পানি সর্বপ্রথম ৮০০৮ নামে Microprocessor ব্যবহার করা শুরু করে। কয়েক ধরনের Microprocessor হল Pentium 4, Celeron, AMD, Dual Core, Core I7 ইত্যাদি।

মাদারবোর্ডের ডিভাইস গুলোর মাঝে আমরা দেখতে পাব বিশাল বড় এক ডিভাইস যার উপর রীতিমতো একটা ফ্যান লাগান থাকে , সেটাই প্রসেসর । প্রসেসর প্রতি মুহূর্তে লক্ষ কোটি হিসাব নিকাশ করে বলে এর মধ্য দিয়ে অনেক বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় ফলে সেটা অনেক গরম হয়ে উঠে । তাই তাকে আলাদা ফ্যান দিয়ে ঠাণ্ডা করা হয় , নতুবা সেটা জ্বলে পুড়ে যেতে পারে ।

Motherboard

Motherboard হল এমন একটি সার্কিট যেখানে কম্পিউটারের সমস্ত যন্ত্রাংশ গুলি যুক্ত থাকে। এটি কম্পিউটারের সবচাইতে গুরত্তপুর্ন অংশ। এতে Processor, RAM, ROM, Battery, Hard disk, CD Rom, Power Supply, Graphic Card, Sound Card ইত্যাদি যুক্ত থাকে।

মা যেভাবে সবাইকে বুকে আগলে রাখে, মাদারবোর্ড ও ঠিক একইভাবে সবকিছু আগলে রাখে বলে এই নামকরণ করা হয়েছে ।

Register

Microprocessor এবং computer এর আভ্যন্তরীণ অংশে প্রক্রিয়াকরণের সময় সাময়িক ভাবে কোন ডাটা বা তথ্য সংরক্ষনের জন্য যে মেমোরি ব্যবহার করা হয় তাকে রেজিস্টার বলে।

Cashe Memory

কম্পিউটার দ্রুত কাজ করার জন্য প্রসেসর ও মেইন মেমোরি এর মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরনের মেমোরিকে Cash Memory বলে। Cash Memory দুই প্রকার। যথাঃ                 ১) Internal Cashe Memory    ২) External Cashe Memory

Internal Cashe Memory: Microprocessor বা CPU এর অভ্যন্তরে অবস্থিত ক্যাশ মেমোরিকে Internal Cache Memory বলে।

External Cache Memory: কম্পিউটারের Motherboard উপর IC হিসাবে অবস্থিত ক্যাশ মেমোরিকে External Cache Memory বলে।

EPROM

EPROM এর পুরো অর্থ Erasable Programmable Read Only Memory. এটি একটি মেমোরি চিপ জাতে আগে থেকেই প্রোগ্রাম ঢোকানো থাকে। Ultraviolet রশ্মির মাধ্যমে এই মেমোরি Reprogram করা হয়।

EEPROM

EEPROM এর পুরো অর্থ Electrically Erasable Programmable Read Only Memory. Electrically এইমেমোরি Reprogram করা হয়।

আউটপুট ডিভাইস (Output Device):

ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য সিস্টেম ইউনিট এ প্রক্রিয়াকরনের পর যে ডিভাইস এর মাধ্যমে ফলাফল দেখতে পাই তাকে Output Device বলে। যেমনঃ Monitor, Printer, Film Recorder ইত্যাদি।

মনিটর (Monitor)

Monitor একটি আউটপুট ডিভাইস যার মাধ্যমে আমরা সিপিইউ এর আউটপুট দেখতে পাই। কম্পিউটারে যে সমস্ত কমান্ড দেয়া হয় তা মনিটর-এ দেখা যায়। মনিটর ২ প্রকার, যথাঃ Digital Monitor ও Analog Monitor.

প্রিন্টার (Printer)

প্রিন্টার একটি আউটপুট ডিভাইস যার মাধ্যমে কাগজের উপর কোন লেখা বা ছবি ছাপানো যায়। প্রিন্টার অনেক ধরনের হয়। যেমনঃ Dot Matrix Printer, Ink Jet Printer, Laser Printer. Thermal Wax Printer ইত্যাদি।

প্লটার ( Plotar )

বড় কোন কিছু প্রিন্ট করতে হলে যেমন পোস্টার, ব্যানার, নকশা ইত্যাদি প্লটার দিয়ে প্রিন্ট করা হয় ।

স্পীকার (Speaker)

আমরা অনেক সময় শব্দকে আউটপুট হিসেবে পেতে চাই । শব্দকে আউটপুট হিসেবে পেতে চাইলে স্পীকার ব্যবহার করতে হয় ।

মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর   (Multimedia Projector)

মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এমন একটি যন্ত্র যা লেন্স প্রযুক্তির সাহায্যে একটি উজ্জ্বল আলো তার বিপরীতে অবস্থিত প্রজেকশন স্ক্রিন এ ফেলে কোন ছবি বা ভিডিও প্রদর্শন করে থাকে ।

এটি একটি আউটপুট ডিভাইস ।

টাচ স্ক্রিন (Touch Screen)

টাচ স্ক্রিন মূলত মনিটর তাই এটি একটি আউটপুট ডিভাইস । কিন্তু এতে স্পর্শ করে ইনপুট ও দেয়া যায় । তাই এটি একই সাথে আউটপুট ও ইনপুট ডিভাইস ।

সফটওয়্যার (Software)

কম্পিউটার পরিচালনা করতে যে সমস্ত প্রোগ্রাম প্রয়োজন সে গুলোকে Software বলে। Software কে সাধারনত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১) System Software                                               ২) Application Software

সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software):

কম্পিউটারকে ব্যবহার উপযোগী করতে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে System Software বলে। একে সংক্ষেপে OS ও বলা হয় ।

কম্পিউটার অন করার সাথে সাথে অপারেটিং সিস্টেম কাজ শুরু করে দেয় । সে কম্পিউটার এর সব যন্ত্রপাতি পরিক্ষা করে দেখে, সব যন্ত্রপাতিকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে দেয়, ইনপুট ও আউটপুট ইউনিট সচল করে । কম্পিউটারে যদি কোন তথ্য জমা রাখতে হয় তা জমা রাখার ব্যবস্থা করে । কাজেই অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার কে সচল রাখে, ব্যবহার উপযোগী করে রাখে ।

বড় বড় সুপার কম্পিউটার গুলোর আলাদা অপারেটিং সিস্টেম আছে । আমাদের পরিচিত পিসি বা পার্সোনাল কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেম গুলো হল -যেমনঃ Dos, Windows-95/98/2000, Windows XP, Linux, Unix ইত্তাদি ।

লিনাক্স একটি মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম । কারণ এটি বিনামুল্যে ইন্টারনেট এ পাওয়া যায় ।

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software):

যে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারী তার বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে থাকে তাকে Application Software বলে। Application Software কে আবার প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।

যে কাজ গুলো প্রায় সকলেরই করতে হয়, সেগুলোর জন্যে অনেকেই অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলে । যেমন- লেখালেখির জন্য অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কে বলে ওয়ার্ড প্রসেসর ।

প্যাকেজ সফটওয়্যারঃ

নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্যে সম্ভাব্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত যে সফটওয়্যার সমূহ তৈরি করা হয় তাকে প্যাকেজ সফটওয়্যার বলে ।

কাস্টমাইজড সফটওয়্যারঃ

কোন কোন ক্ষেত্রে কোন বিশেষ কাজের জন্যে বিশেষ ধরনের কিছু সফটওয়্যার তৈরি করা হয় । এই ধরনের সফটওয়্যার গুলোকে বলা হয় কাস্টমাইজড সফটওয়্যার । ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্যে তার পছন্দ অনুযায়ী এইসব কাস্টমাইজড সফটওয়্যার তৈরি করা হয় ।

 

তাছাড়া আরও ২ ধরনের সফটওয়্যার আছে -                                 ১) Firmware Software                           ২) Utility Software

Firmware Software: Computer এর স্থায়ী স্মৃতিতে (ROM) রক্ষিত প্রোগ্রাম গুলোকে Firmware Software বলে। এইসব প্রোগ্রাম আমরা মুছতে বা পরিবর্তন করতে পারি না। এই সফটওয়্যার গুলো এর মাদারবোর্ড কোম্পানি দ্বারা আগে থেকেই সংযোজন করা থাকে।

Utility Software: কম্পিউটার ব্যবহারকারী তার নিজের প্রয়োজনে এক ধরনের সহায়ক প্রোগ্রাম তৈরি করেন যাকে Utility Software বলে। যেমনঃ Basic, GBasic, C++, Java ইত্যাদি।

প্রোগ্রামিং ( Programming)

কম্পিউটার আমাদের ভাষা বুঝতে পারেনা । কম্পিউটার এর আলাদা ভাষা রয়েছে । এই ভাষায় সফটওয়্যার তৈরি করাকে বলে প্রোগ্রামিং ।

অনেক কোম্পানি বা ব্যাক্তি নিজেরা প্রোগ্রামিং করে সফটওয়্যার তৈরি করে এবং তা বিক্রি করে অনেক অর্থ উপার্জন করে । তোমরা যখন বড় হবে তখন তোমরাও প্রোগ্রামিং শিখবে এবং নিজেরাই নিজেদের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বানাবে ।

 

১ Likes ১ Comments ০ Share ১৫০৫ Views