শীত হোক বা গরম অনেকের কাছেই গোসল মানেই একটি বিরক্তির কাজ। কিছুতেই চাননা গোসল করতে। কিন্তু জানেন কি গোসলেরও আছে নানান রকমের উপকারিতা। আর নিয়মিত গোসল করলেতো উপকারই উপকার।
আপনি যখন গোসল করেন তখন আপনার শরীর থেকে সারাদিনের জমে থাকা ময়লাতো যায়ই পাশাপাশি শরীর থেকে উঠে বেরিয়ে যায় মরা কোষ। আর নিয়মিত গোসলের সময় শরীরে ঘর্ষণের কারণে শরীরে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় অনেকটা ফলে স্কিনটোন এবং ত্বকের সতেজ ভাব অটুট থাকে দীর্ঘদিন। সারাদিনের কাজ শেষে তাই একটি গোসল কিন্তু মাস্ট। সতেজও লাগবে নিজেকে আবার সুস্থতাও নিশ্চিত হবে।
দাঁড়িয়ে গোসল করার থেকে বসে গোসল করা বেশি স্বাস্থ্যকর
শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেবার কাজে গোসলের কোনো বিকল্প নেই। আর একটু উষ্ণ গরম পানিতে গোসলতো আরো বেশি স্বাস্থ্যকর সবার জন্য। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের লোমকূপ খুলে যায় এবং বেড়ে যায় হজমশক্তি। তবে খুব বেশি গরম পানিতে গোসল কিন্তু আখেরে শরীরের ক্ষতিই করে।
পানি খাওয়াতো বটেই পাশাপাশি নিয়মিত ভালো পানিতে গোসল শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে আর একটি ভালো এবং সহজ উপায়। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও কাজে আসে।
নিয়মিত গোসল করলে আপনার শরীরে রক্তচলাচল আরো ভালো হবে। এটা চূড়ান্ত শীতেও আপনাকে আরো বেশি গরম বোধ করতে সাহায্য করবে আর গরমের সময় ঠান্ডা করবে শরীরকে। নিজেকে আর একটু সতেজ পেতে চাইলে গোসলের পানিতে কয়েকফোঁটা সুগন্ধী তেল যোগ করে নিন। তাহলে শরীর পরিস্কারের পাশাপাশি শরীরে কিছুটা সুগন্ধও আসবে। রোজমেরী, পেপারমিন্ট, বেসিল এসব ফ্লেভারের অয়েল অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন গোসলের পানিতে। গোসলের পানিতে ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন চাইলে। স্নান করার আগে লোফা দিয়ে পুরো শরীর ভালোভাবে ঘসে নিন। তাহলে ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়বে। ফলে আপনার নিজেরই ভালো লাগবে।
কোমল ত্বক সবারই স্বপ্ন। গোসল আপনাকে সতেজ ও কোমল ত্বকের নিশ্চয়তাও দেবে। প্রথমে আপনার ত্বকের নির্জীব ভাব দূর করতে একটি লোফা নিয়ে শরীরে ঘসুন। এবার সহনীয় হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিন। এরপর পানিতে খানিকটা দুধ মিশিয়ে নিন। আস্তে আস্তে শরীরে ম্লাযাসাজ করুন। ত্বকে লাগিয়ে প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর বাথটাব থেকে বেড়িয়ে এসে শরীর ভালোভাবে মুছে নিন। শরীরে লোশন লাগান। দেখবেন ত্বক আরো কোমল হয়ে উঠেছে।
ও হ্যা, অনেকেই বাথটাবে শুয়ে শরীর পরিস্কার করে দাঁড়িয়ে শাওয়ারে গোসল করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। তবে বসে গোসল করাটা শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। এতে শরীরের নানান অংশে নানান রকমের তাপমাত্রা থাকে।আর গোসলের ডিটক্স করার কাজের কথা নিশ্চয়ই আর বলতে হবে না। খেলেতো বটেই পানি দিয়ে ভালোভাবে গোসল করলেও ত্বক থেকে বেরিয়ে যায় টক্সিন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন নিয়মিত গোসল করার উপকারিতা কতটা? তো শীত হোক বা গরম- রোজ রোজ গোসল কিন্তু মাস্ট। সূত্র: বিউটিস্যালন
Comments (10)
২০ তারিখের প্রগ্রামে উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে অনেকে অনেক ধন্যবাদ। তাছাড়া তোমার আন্তরিকতা সবাইকে স্পর্শ করেছে।
খুব সুন্দর প্রস্থাবনা। আশাকরি এতে সকলে অনেক উপকার হবে। কবে নাগাদ শুরু করতে চাও তা নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দাও।
লেখাটিক স্টিকি করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আশাকরছি ব্লগারগন তাদের সুচিন্তিত মতামত জানাবেন।
আমি প্রস্তুত।
এখন শুধু সকলের মতামতের অপেক্ষায়।
সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকুন পেরেছি, এই আর কি? এভাবেই নক্ষত্রের পাশে থাকতে চাই।
তয় আফনে একটা খারাফ লুক। দুই-চাইরডা বেলুন ফুলাইয়া আফনের মাথা ধইরা গেসিলো। হইলো কিছু?
যাক দুষ্টামি পরে করবো। এই প্রস্তাব নিয়ে সবার সাড়া পেলে এগিয়ে যাতে চাই।
ধন্যবাদ ভাই।
দারুণ দারুণ দারুণ প্রস্তাবনা। আপনাকে শুভেচ্ছা এবং ভালবাসা
ধন্যবাদ।
সঙ্গে থাকবেন। আপনাকেও শুভেচ্ছা।
শুভেচ্ছা আনমনা!!
ভালোবাসা রইলো। গতকাল অনেক পরিশ্রম করেছো তুমি। আন্তরিক শুভেচ্ছা জেনো।
তোমার এই প্রস্তাবনায় আমি সহমত জানাই। সুন্দর সৃজনশীল এই প্রস্তাবনা কার্যক্রমে আমি সাধ্যমতন সহায়তা করতে রাজী আছি। পাশে আছি।
নক্ষত্র সঞ্চালনা পরিষদকে অনুরোধ জানাই পোষ্টটি স্টিকি করে সকল ব্লগারকে এই বিষয়ে মতামত জানাবার সুযোগ করে দেবার জন্য! আমি আশাবাদী নক্ষত্র পাঠ চক্র বা পাঠাগার আমাদের সকলের জন্য হবে আনন্দের উৎসাহের শিক্ষণীয়!
আসুন সৃজনশীলতার পথে হাটি আমরা। হয়ে উঠি আলোর পথের যাত্রী।
বার বার সবাই ধন্যবাদ দিলে আমি লজ্জা পাইতো হি হি।
ধন্যবাদ দাদা। শুরুর দিকে একদিন একটা কথা বলেছিলাম। মনে আছে?
সেই পথে এইটা প্রথম পদক্ষেপ। এক পা এক করে এগিয়ে যাবে নক্ষত্র।