Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

প্রখ্যাত সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ মোদাব্বেরের ৩০তম মৃত্যুৃবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি


শিশু-কিশোর সংগঠনের অগ্রপথিক, শিশুসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ মোদাব্বের। তিনি ছিলেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক মুকুলের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য। মরহুম মোদাব্বের মৌলবী মুজিবর রহমানের 'দি মুসলমান' পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীকালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর 'দি ফরর্য়োড' পত্রিকায় যোগদান করেন। এই পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ছিলেন জনাব আবুল মনসুর আহম্মেদ ও জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন জনাব তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। ১৯৮৪ সালের আজকের দিনে মুত্যুবরণ করনে এই শিশু সাহিত্যিক। সাংবাদিক এবং সমাজসেবক মরহুম মোহাম্মদ মোদাব্বের-এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

মোহাম্মদ মোদাব্বের ১৯০৮ সালের ৬ই অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার, বশিরহাট মহকুমার হাড়োয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২২ সালে স্যার আর.এন. মুখার্জী বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন মোহাম্মদ মোদাব্বের। ১৯২৮ সালে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত তিনি মৌলবী মুজিবর রহমানের সাপ্তাহিক ও দৈনিক দ্যা মুসলমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। এর পর ১৯৩৩ সালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৩৫ সালে সাপ্তাহিক মোহাম্মাদী তে যোগদান করেন। এবং ১৯৩৬ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় বার্তা সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৪৮ সালে দৈনিক ইত্তেহাদে যোগদান করেন। ১৯৪৯ সালের ১৫ই আগস্ট তিনি ঢাকায় নিজের সম্পাদনায় তিনি পাকিস্তান নামে একটি অর্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। এটি ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিলো। ১৯৫১ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক মিল্লাত প্রকাশিত হলে তিনি তাঁর প্রধান সম্পাদক নিযুক্ত হন। এছাড়া ১৯৫৮ সালে তিনি পাকিস্তান রেডক্রস পরিচালিত মাসিক জুনিয়র রেডক্রস পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি মোহাম্মদ মোদাব্বের দখল ছিলো সাহিত্য রচনায়। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সমুহঃ গ্রন্থ সমুহঃ শিশুসাহিত্যঃ ১। হীরের ফুল (১৯৩০), ২। তাকডুমাডুম (১৯৩০), ৩। মিসেস লতা সান্যাল ও আরও অনেকে (১৯৩৩), ৪। কিসসা শুনো (১৯৫০), ৫। গল্প শুনো (১৩৭১ বা), ৫। ডানপিটের দল (১৯৬২), এছাড়াও তার সুলিখিত ভ্রমণ কাহীনিঃ ১। জাপান ঘুরে এলাম (১৯৫৯), ২। প্রবাল দ্বীপে (১৯৬৪), স্মৃতি কথাঃ ১। সাংবাদিকের রোজনামচা (১৯৭৭), জীবনীঃ ১। আনলো যারা জীয়ন কাঠি (১৯৪৬) এবং সাধারণ জ্ঞানঃ ১। সন্ধানী আলো (১৯৪৩) প্রকাশিত হয়। সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য মোহাম্মদ মোদাব্বের ১৯৬৫ সালে শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ১৯৭৯ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক লাভ করেন।

১৯৮৪ সালের ২১ এপ্রিল মুত্যুবরণ করনে এই শিশু সাহিত্যিক। সাংবাদিক, এবং সমাজসেবক মরহুম মোহাম্মদ মোদাব্বের-এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

০ Likes ১ Comments ০ Share ৪২৪ Views

Comments (1)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    কথায় যুক্তি আছে