১৪ তারিখে ট্রেনিং ইনস্টিউট থেকে আমাদেরকে পুনে দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছিল....... সেই দিনের ক্লাস ১ টায় শেষ করে আমরা একটা বাসে করে রওয়ানা হলাম (ওদের ভাড়া করা এসি গাড়ি) । ইনস্টিটিউটের ম্যাডাম ছিলেন আমাদের গাইড । তিনিই আমাদেরকে প্রথমে নিয়ে গেলে শিন্ডে ছত্রী মন্দির (আমাদের ভাষায় হলো ছাতা মন্দির)....... কিছুটা দুরে হওয়াতে বাস জার্নিটা ছিল একটু বেশী সময় । আমরা বসে না থেকে বাসেই মজা করলাম অনেক এক আপা আমাদেরকে কৌতুক শুনালেন সবাই অনেক হাসাহাসি করলাম । তারপর ছেলেদেরকে ধরলাম গান শুনানোর জন্য তো আমাদের টিম লিডার স্যার গান ধরলেন গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান অবশ্য আমরা সবাই একসাথে গেয়েছি মিলে মিশে । বাস জার্নিটাও বেশ আনন্দদায়ক ও মজাদার ছিল আমার কাছে । |
১। গেইটে যেয়েই দেখি সুন্দর একটা কারুকার্য মন্ডিত মন্দির......... |
২। শিন্ডে ছাত্রী পুনে, ভারতের একটি সুপরিচিত স্থানে অবস্থিত । |
আমি ঢুকেই কয়েকটা ক্লিক দিলাম ক্যামেরায়..... সবাই সবার ছবি উঠাতে ব্যস্ত .......... আমার ক্যামেরাও অন্য ভাইদের হাতে দিয়ে অনেকগুলো ছবি উঠাইছিলাম তয় আমার ছবি সুন্দর আসে নাই |
৩। মহান সৈনিক মাহাদজি শিন্ডে স্মরণে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয় । এটি ওয়ারিওর এ অবস্থিত মন্দিরের প্রবেশ গেইট ......... কি সুন্দর কারুকাজ...... |
৪। স্মৃতিস্তম্ভটি মাহাদজিকে উৎসর্গ এবং রাজস্থানী স্থাপত্যের একটি মাস্টারপিস হিসেবে গণ্য করা হয় । এটা ছিল তার সারা জীবন কাল্পনিক অনুষঙ্গী যে ছাতা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এজন্যই হয়তো এটিকে শিন্ডে এর ছাতা বলা হয় এবং এর কাঠামোগত দর্শনে আপনি ওয়ারিয়রের মহৎ অতীতের আভাস পাবেন । মন্দিরের ঝাঁকজমকপূর্ণ কারুকাজগুলো দেখলে মন ভরে যায়..... |
৫। এটা সাইডের একটা গেইট মন্দিরের |
৬। ১৭৯৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী মাহাদজি শিন্ডের শব এখানে দাহ করা হয় । তিন তলা বিশিষ্ট স্মৃতিসৌধটি সে যুগের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং প্রতিনিধিত্বমূলক স্মৃতি বহন করে । জাঁকজমক রাজকীয় অনুপ্রবেশ গেট পর্যন্ত লোহা দিয়ে চকমক করে তৈরী করেন । |
৭। একেবারে পিছন সাইডের মন্দিরের দৃশ্য |
৮। বাহিরের দৃশ্য দেখার পর সবাই মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করলাম । ভিতরের কারুকাজ আরো সুন্দর । উপরে সুন্দর ঝাড়বাতি... |
৯। ভিতরের দেয়ালের কারুকাজ |
১০। মূর্তি রাখার স্থানের উপরের অংশ....... |
১১। ভিতরের অংশ এখান থেকে দোতলা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে ..... |
১২। মন্দিরের ছাদ ও ঝাড় বাতি......... |
১৩। গেটের বাহিরে ছোট একটি মন্দির........ |
শিন্ডে ছত্রী ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ ১৭৯৪ সালে মাহাদজি শুরু করেছিলেন এখানে শিব মন্দির এর চারপাশে নির্মিত হয় । কিন্তু মাহাদজি পরবর্তীতে একই বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে নেতৃত্বের কারণে এটা সম্পূর্ণ করতে অসমর্থ হন । ১৪। ছাতা মন্দির দর্শণ শেষে আমরা এখান থেকে বের হয়ে হলাম ..... এটা বাহিরের দৃশ্য ....... পুনের গরু |
১৫। পুনের রাস্তার দৃশ্য.... |
ফটো বড় করে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিকাতে পারেন এখান থেকে বের হয়ে আমরা গিয়েছিলাম আঁগা খাঁ প্যালেসে.......... আগামী পর্বে আঁগা খাঁ প্যালেসের বর্ণনা ও ছবি থাকবে । আশাকরি আমার সঙ্গেই থাকবেন । আজ আল্লাহ হাফেজ........... |
Comments (10)
খুবই ভালো লাগলো।
আপনার জন্য অশেষ শুভকামনা...
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা।
সুন্দর লিখেছেন
ধন্যবাদ।
শুভকামনা।