Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

পুনে (ইন্ডিয়া)...... ভ্রমন (৪র্থ পর্ব)

১৪ তারিখে ট্রেনিং ইনস্টিউট থেকে আমাদেরকে পুনে দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছিল....... সেই দিনের ক্লাস ১ টায় শেষ করে আমরা একটা বাসে করে রওয়ানা হলাম (ওদের ভাড়া করা এসি গাড়ি) । ইনস্টিটিউটের ম্যাডাম ছিলেন আমাদের গাইড । তিনিই আমাদেরকে প্রথমে নিয়ে গেলে শিন্ডে ছত্রী মন্দির (আমাদের ভাষায় হলো ছাতা মন্দির)....... কিছুটা দুরে হওয়াতে বাস জার্নিটা ছিল একটু বেশী সময় । আমরা বসে না থেকে বাসেই মজা করলাম অনেক এক আপা আমাদেরকে কৌতুক শুনালেন সবাই অনেক হাসাহাসি করলাম । তারপর ছেলেদেরকে ধরলাম গান শুনানোর জন্য তো আমাদের টিম লিডার স্যার গান ধরলেন

গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ...........

অবশ্য আমরা সবাই একসাথে গেয়েছি মিলে মিশে । বাস জার্নিটাও বেশ আনন্দদায়ক ও মজাদার ছিল আমার কাছে ।
অবশেষে পৌঁছলাম ছাতা মন্দিরে...... সময় ছিল ২০ মিনিট ঘুরে দেখার

১। গেইটে যেয়েই দেখি সুন্দর একটা কারুকার্য মন্ডিত মন্দির.........
২। শিন্ডে ছাত্রী  পুনে, ভারতের একটি সুপরিচিত স্থানে অবস্থিত  ।
আমি ঢুকেই কয়েকটা ক্লিক দিলাম ক্যামেরায়..... সবাই সবার ছবি উঠাতে ব্যস্ত .......... আমার ক্যামেরাও অন্য ভাইদের হাতে দিয়ে অনেকগুলো ছবি উঠাইছিলাম তয় আমার ছবি সুন্দর আসে নাই

৩।  মহান সৈনিক মাহাদজি শিন্ডে স্মরণে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়  । এটি ওয়ারিওর  এ অবস্থিত
এটি একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ যা জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ ।  প্রাথমিক ভাবে ১৭৬০-১৭৮০ এর মধ্যে সময়কালে শ্রিমান্ত রামোজি রাও শিন্ডে, মাহাদজি শিন্ডে পঞ্চম পুত্র পেশওয়া এর রাজত্বের সময় শক্তিশালী মারাঠার সেনাবাহিনীর কমান্ডার চিফ হিসেবে কাজ করছিল তারাই এই স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরীৱ কাজ শুরু করেন।

মন্দিরের প্রবেশ গেইট ......... কি সুন্দর কারুকাজ......

৪। স্মৃতিস্তম্ভটি মাহাদজিকে উৎসর্গ এবং রাজস্থানী স্থাপত্যের একটি মাস্টারপিস হিসেবে গণ্য করা হয় ।  এটা ছিল তার সারা জীবন কাল্পনিক অনুষঙ্গী যে ছাতা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এজন্যই হয়তো এটিকে শিন্ডে এর ছাতা বলা হয় এবং এর কাঠামোগত দর্শনে আপনি ওয়ারিয়রের মহৎ অতীতের আভাস পাবেন ।

মন্দিরের ঝাঁকজমকপূর্ণ কারুকাজগুলো দেখলে মন ভরে যায়.....

৫।  এটা সাইডের একটা গেইট মন্দিরের
৬। ১৭৯৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী মাহাদজি শিন্ডের শব এখানে দাহ করা হয় ।  তিন তলা বিশিষ্ট স্মৃতিসৌধটি সে যুগের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং প্রতিনিধিত্বমূলক স্মৃতি বহন করে । জাঁকজমক রাজকীয় অনুপ্রবেশ গেট পর্যন্ত লোহা দিয়ে চকমক করে তৈরী করেন ।
৭। একেবারে পিছন সাইডের মন্দিরের দৃশ্য
৮। বাহিরের দৃশ্য দেখার পর সবাই মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করলাম । ভিতরের কারুকাজ আরো সুন্দর । উপরে সুন্দর ঝাড়বাতি...
৯। ভিতরের দেয়ালের কারুকাজ
১০। মূর্তি রাখার স্থানের উপরের অংশ.......
১১। ভিতরের অংশ এখান থেকে দোতলা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে .....
১২। মন্দিরের ছাদ ও ঝাড় বাতি.........
১৩। গেটের বাহিরে ছোট একটি মন্দির........

শিন্ডে ছত্রী ক্যাম্পাসের  নির্মাণ কাজ ১৭৯৪ সালে মাহাদজি শুরু করেছিলেন এখানে শিব মন্দির এর চারপাশে নির্মিত হয় । কিন্তু মাহাদজি পরবর্তীতে একই বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে নেতৃত্বের কারণে এটা সম্পূর্ণ করতে অসমর্থ হন ।

১৪। ছাতা মন্দির দর্শণ শেষে আমরা এখান থেকে বের হয়ে হলাম ..... এটা বাহিরের দৃশ্য ....... পুনের গরু

১৫। পুনের রাস্তার দৃশ্য....
ফটো বড় করে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিকাতে পারেন
এখান থেকে বের হয়ে আমরা গিয়েছিলাম আঁগা খাঁ প্যালেসে.......... আগামী পর্বে আঁগা খাঁ প্যালেসের বর্ণনা ও ছবি থাকবে । আশাকরি আমার সঙ্গেই থাকবেন । আজ আল্লাহ হাফেজ...........
 

 

০ Likes ১০ Comments ০ Share ৮৮১ Views

Comments (10)

  • - মাসুম বাদল

    খুবই ভালো লাগলো।

    আপনার জন্য অশেষ শুভকামনা...

    - মোঃ খালিদ উমর

    আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা।

    - সনাতন পাঠক

    সুন্দর লিখেছেন

    • - মোঃ খালিদ উমর

      ধন্যবাদ।

      শুভকামনা।

    Load more comments...