Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে

পিরামিডের চিকিৎসা শক্তি--(৩য় পর্ব)

ঘরে পিরামিড বানাবার বিধি

পিরামিড তৈরির বিধি জানতে পারলে তবেই তার বিভিন্ন সহজ প্রয়োগগুলি আমাদের দ্বারা সম্ভবপর । এ কথা ভেবে পিরামিড বানাবার সহজ পদ্ধতি সম্বন্ধে লিখছি । সামান্য ভাবে আমরা ঘরের ব্যবহার্য বস্তু যেমন--প্লাই সিট্ , পিচ বোর্ড , পেপার ফ্লপ , প্লাস্টিক সিট্ , কাঁচ , ধাতু নির্মিত শিট , থার্মোকোল , ফাইবার ইত্যাদি ছাড়াও যে কোন প্রকার ধাতুতেই আমরা পিরামিড বানাতে পারি ।

সাধারণ নিয়ম :

এতে মোটা কাগজ বা পিজবোর্ডে চারটি সমান সম দ্বিভুজ ত্রিকোণ বানাতে হবে । এ জন্যে স্কেল , পেন্সিল , ডট পেনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে । মানা যাক ধরা তলের রেখা যদি ৬ ইঞ্চির নিই তবে ত্রিকোণের রেখাগুলি আমাদের পৌনে ছয় ইঞ্চি রাখতে হবে । এমনি একই রকম চার ত্রিকোণ রেখা এঁকে নিতে হবে । এবার এই ত্রিকোণগুলিকে কেঁচি দিয়ে কেটে নিতে হবে । ত্রিকোণগুলোকে এবার ধরা তলের দিককে দাঁড় করিয়ে সেলো টেপ দিয়ে পিরামিড আকৃতির মত জুড়ে নিতে হবে । এভাবে পিরামিড তৈরি করা যেতে পারে । এই রকম আমরা এর ভেতরে ও বাইরে চাইলে রঙ্গিন কাগজ বা রুপালি পান্নী (রঙ্গিন অয়েল পেপার) জুড়ে নিয়ে তার সুন্দরতাও বাড়াতে পারি ।

পিরামিডের সামান্য মাপ—

মোটা পুরু কাগজ বা পিজবোর্ড দিয়ে নিম্ন মাপে পিরামিড তৈরি করা যায় ।
(১) ধরাতল রেখা যদি ৩ ইঞ্চি হয় তবে বাহুর রেখা প্রত্যেকটি ২.৮৫ ইঞ্চির হবে , আর মোটামুটি উচ্চতা ২ ইঞ্চি নেওয়া যেতে পারে । (২) ধরাতলীয় রেখা ৬ ইঞ্চি হলে প্রত্যেক বাহুর রেখা হবে ৫.৭০ ইঞ্চির , আর আন্দাজ মত তার উচ্চতা হবে ৪ ইঞ্চি । (৩) তেমনি ধরাতলীয় রেখা ৯ ইঞ্চি হলে প্রত্যেক বাহুর রেখা ৮.৫৫ ইঞ্চি হবে , আন্দাজ মত উচ্চতা হবে ৬ ইঞ্চির মত ।

দ্বিতীয় পদ্ধতি :

কম্পাসের সাহায্যে ৫ থেকে ৮ ইঞ্চির এক বৃত্ত বানাতে হবে। কম্পাসের স্কেলকে ৬ ইঞ্চি বানিয়ে কেন্দ্রিক বিন্দু থেকে বৃত্তের ৬ইঞ্চি দূরত্বে চিহ্ন বা বিন্দু দিয়ে যেতে হবে । এই সব বিন্দুকে জুড়ে দিলে বৃত্তে ৫ কোণ তৈরি হবে । এই কোণের ধরা তলের দিককে কেটে নিলে আমরা পিরামিডের আকার পেয়ে যাবো । এগুলিকে উপযুক্ত ভাবে মুড়ে জুড়ে দিতে হবে । এই ভাবে তৈরি হয়ে যাবে আমাদের পিরামিড ।
পিরামিড বানাবার আরও বিধি আছে । কিন্তু এখানে সাধারণ পদ্ধতির কথা বলা হল ।

পিরামিড জল অমৃত তুল্য

বিশ্বের বিজ্ঞানীরা পিরামিডের জল (pyramid water) নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন । পিরামিড জলকে পৃথিবীর অমৃত জল বলে অভিহিত করেছেন । এই জলের অনেক প্রকারের রোগ শক্তি নিবারণের ক্ষমতা আছে । পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলস্বরূপ জানা গেছে যে পিরামিডের জল নিচের রোগগুলির ক্ষেত্রে ওষুধের মত ক্রিয়া করতে সমর্থ :
১.মাথা ধরা ২.রক্ত চাপ ৩.জন্ডিস ৪.সন্ধিবাত ৫.প্যারালাইসিস ৬.শারীরিক দুর্বলতা ৭.চোখের বিভিন্ন রোগ ৮.ডাইবিটিস ৯. কোমরে ব্যথা ১০.কব্জ(কোষ্ঠ কাঠিন্য) ১১.পেটের বিভিন্ন রোগ ১২.এসিডিটি ১৩.মূত্ররোগ ১৪.টি.বি. ১৫.মস্তিষ্ক রোগ ১৬.কাশি ১৭.শ্বাস নলীর রোগ ১৮.শীত পিত্ত ১৯.শ্বাসের রোগ ২০.মেদ বৃদ্ধি ২১.চর্মরোগ ২২.শরীরে জ্বলন ২৩.অনিদ্রা ২৪.ক্ষত ও রক্তপাত ২৫.এইডস ২৬.ক্যান্সার ইত্যাদি ।
দৈনিক জীবনে অনেক সময় দেখা যায় সবজি কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে গেছে এবং তা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে । এ ক্ষেত্রে পিরামিডের জল দিয়ে ধুয়ে দিলে এটা এন্টিসেপটিকের কাজ করবে । সে সঙ্গে ক'মিনিটের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে ।
সামান্য কব্জ হলে পিরামিডের জল নিয়মিত খেলে তিন দিনেই কব্জ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে । দশ পনের দিন ব্যবহার করে এ রোগের পুরাতন অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।
ক্যান্সারের রোগী এ জল দু মাস নিয়মিত ব্যাবহার করলে রোগ মুক্ত হতে পারেন । রোগ বেড়ে যাওয়ার স্থিতিতে মন্ত্রপূত পিরামিডের জল ব্যবহারে রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা প্রবল হয় ।
এ সঙ্গে বর্তমানে এ জল নিয়ে আরও একটা প্রয়োগ হয়েছে , যার কথা অনেক দেশেই আলোচিত হয়েছে । সেটা হল এই জল ব্যবহারে মানুষ তার চেহারায় চির যৌবন ধরে রাখতে পারে । তামার পাত্রে চার্জ করা পিরামিড জলে সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ চোখ ধুলে নিজেকে তরতাজা রাখা যায় । চোখে এই জল ছিটালে বা এই জলে মুখমণ্ডল ধুলে প্রভূত উপকার হয় । এর ফলে আপনার চেহারায় চমক যেমন আসবে তেমনি চোখের জ্যোতিও বাড়বে ।
ব্রিটেনের মহিলা , ক্যান্ডি গত বিশ বছর ধরে এ প্রয়োগ করে আসছেন । ওঁকে ষাট বছর বয়সেও যুবা স্ত্রী বলে মনে হবে ।

পিরামিড দুধ (pyramid milk)

পিরামিড দুধ তৈরির পদ্ধতি:

বিদেশে পিরামিড আকৃতির পাত্রে দুধ পাওয়া যায় । পিরামিড জলের মত পিরামিড দুধও বিক্রি হয় । আমরাও চাইলে পিরামিড জলের মত পিরামিড দুধও তৈরি করতে পারি । দুধের মধ্যে পিরামিড শক্তি প্রবেশ করিয়ে পিরামিড দুধ তৈরি করা যাবে অর্থাৎ পিরামিডের ভেতরে নির্দিষ্ট সময় রেখে দুধকে আমরা পিরামিড দুধে পরিণত করে নিতে পারি । এই দুধ ব্যক্তিকে রোগের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি যোগাতে পারে । রাতে শোয়ার আগে এ দুধ খেয়ে শুলে টনিকের কাজ করবে । ব্যক্তির জীবনী শক্তি বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার । পিরামিড জলের মধ্যে যে যে রোগ নিরাময় শক্তি বিদ্যমান,পিরামিড দুধের মধ্যেও সেই সেই শক্তি বর্তমান ।
ক্রমশ:


সহায়ক পুস্তক:
১। পিরামিড এবং মন্দির বাস্তু—ডাঃ ভোজরাজ দ্বিবেদী।
২। পিরামিড শক্তি—ডাঃ রবিকান্ত।

 

০ Likes ২ Comments ০ Share ৫৮৯ Views