Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে মুসলমান-নামধারী একশ্রেণীর নরপশুদের জঘন্য অপপ্রচারের কতিপয় নমুনা




পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে মুসলমান-নামধারী একশ্রেণীর নরপশুদের জঘন্য অপপ্রচারের কতিপয় নমুনা

সাইয়িদ রফিকুল হক


নরপশুদের ধর্ম একটাই—আর তা হলো—শয়তানী আর শয়তানী। এইদেশে সবসময় দেশবিরোধী শয়তানী করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে একটি চিহ্নিত-দেশবিরোধীচক্র। আর এই দেশবিরোধীচক্রই হচ্ছে মুসলমান-নামধারী একশ্রেণীর নরপশু। এরা বাংলাদেশরাষ্ট্রের জন্মপূর্ব, জন্মলগ্ন ও জন্মপর থেকে যে শয়তানী ও বদমাইশী শুরু করেছিলো—আর পাকিস্তানীপশুগোষ্ঠীর পক্ষাবলম্বন করে যে-ভাবে আত্মঘাতী হয়েছিলো—এদের সেই অপতৎপরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই চিহ্নিত-পশুগোষ্ঠীটি আজও আমাদের প্রাণের বাংলাভাষা, বাংলাসংস্কৃতি, বাঙালির কৃষ্টি-কালচারসহ বাংলাদেশরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত পরিচালনা করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করছে না।

বাংলা নববর্ষ বাঙালি-জাতির জীবনে একটি সার্বজনীন আনন্দ-উৎসবের দিন। তাই, দেশের সর্বস্তরের মানুষ পহেলা বৈশাখে আনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু এই দেশেরই মুসলমান-নামধারী একটি নরপশুচক্র এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বারবার রুখে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কখনও সফল হয়নি। আর এরা কখনও সফল হতেও পারবে না। এরা বাঙালি-জাতির মুখোমুখি দাঁড়াতে ভয় পায়। কিন্তু এরা ভিতরে-ভিতরে শয়তানী ও অপপ্রচার নামক বদমাইশী চালাতে কোনো লজ্জাবোধ করে না। এরা এমনই অধম আর নরপশু। আর দেশের মানুষের আনন্দ-উৎসাহে নববর্ষপালনের সময় ঘনিয়ে এলে এরা (বাংলা-নববর্ষবিরোধীপশুচক্রটি) পাগলাকুত্তার মতো পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে দিন-রাত ঘেউ-ঘেউ করতে থাকে, আর যারপরনাই ফতোয়াবাজিতে লিপ্ত হয়। কিন্তু কোনো মানুষ তথা বাঙালি-জাতি কখনও এইজাতীয় পাগলাকুত্তাদের ঘেউ-ঘেউ শুনে দমে কিংবা ঘাবড়ে যায় না। বাঙালি-জাতি তথা মানুষ পহেলা বৈশাখপালন করছে, আর তা করবেই, আর তা চিরদিন করতেই থাকবে। এটি আজ এই জাতি-রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য-অংশ।

বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখবিরোধী পাকিস্তানের পা-চাটা গোলামচক্র দেশের সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য অনলাইনে (ফেসবুক, ব্লগ, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদিতে) দেশের জাতীয় উৎসব পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে নানাপ্রকার অশ্লীল, জঘন্য, মনগড়া, আজেবাজে, আবোলতাবোল, আলতুফালতু, উদ্ভট, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। এরা গুগুলে বিভিন্ন আজেবাজে ছবি পোস্ট করে দেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। আবার ইউটিউবে মনগড়া ভিডিও পোস্ট করে নানারকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এখানে, এই বাংলাদেশবিরোধীপশুচক্রটি পরিকল্পিতভাবে ‘বাংলাদেশের প্রধান ও জাতীয় উৎসব’ পহেলা বৈশাখবিরোধী যে-সব ছবি পোস্ট করেছে তার কিছু চিত্র দেওয়া হলো:

একশ্রেণীর হারামজাদা ও পাকিস্তানীরক্তের নরপশু এই ছবিগুলো পোস্ট করেছে। এদের জন্মের কোনো বৈধতা নাই। কারণ, এদের জন্ম বৈধ হলে এরা এই ফতোয়াবাজির শেষে নিজের নামসংযুক্ত করতো। কিন্তু সেই সাহস এদের নাই। তাই, এরা অত্যন্ত চুপিসারে বাংলার পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে নিজেদের মনগড়া ফতোয়াবাজি করছে। আর এরা কোনো মুসলমানও নয়—কিংবা এরা এজিদবংশীয় মুসলমান-নামধারী শয়তানের বংশধর।


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—১


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—২


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—৩


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—৪


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—৫


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—৬


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—৭


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—৮


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—৯


পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশবিরোধী-নরপশুদের অপপ্রচারের নমুনা—১০

রাষ্ট্রীয়ভাবে এই পশুদের দমন করতে হবে। এরা সবসময় বাংলাদেশবিরোধী আর পাকিস্তানপন্থী নরপশু। এদের স্পর্ধা, ধৃষ্টতা আর বাড়াবাড়ি আজ আমাদের সহ্য-সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এরা আজ ইসলামধর্মের নামে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির মতাদর্শ-কায়েম করার জন্য পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে মিথ্যা-অসত্য ফতোয়াবাজি করছে। এদের আর ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না।

যারা এইসব অপপ্রচার করেছে, করছে, আর করবে—তারা মানুষ নয় কুকুর। আর তারা পাগলাকুত্তা আর নয়তো ক্ষিপ্ত-হিংস্র শূয়র। জাতি এদের শুধু পতন নয়—ধ্বংসও দেখতে চায়।



সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১০/০৪/২০১৭

২ Likes ২ Comments ০ Share ৩৩০ Views