পদত্যাগ করতে পারেন শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার এমনটিই বলা হয়েছে ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি প্রতিবেদনে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ভারত এখন বাংলাদেশ ইস্যুতে বড় ধরনের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে যাচ্ছে। তাই ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করবে তারা।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের পর বাংলাদেশ যাতে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিন্দার মুখে না পড়ে, সে জন্য ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো ও বিভিন্ন ফোরামের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছে ভারত।
তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় আলোচক, ভারতীয় আলোচকদের এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন।
তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো শূন্যস্থান রাখতে চাননি, যাতে তৃতীয় শক্তির ক্ষমতা দখলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর নির্বাচন করার মাধ্যমে তিনি চেয়েছেন যাতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও পূরণ হয়। শেখ হাসিনার কাছ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে তার দল আবারও নির্বাচন দিতে সম্মত হবে, যদি এই নির্বাচনের পর সংলাপে কোনো ফল পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জামায়াতের ব্যাপারে অনেক বেশি ইতিবাচক। এমনকি তারা এই বার্তাও বহন করেন যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি বৈধ ইসলামী দল হিসেবে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
কিন্তু জামায়াতকে ভারত নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। কারণ দলটির কাঠামোতে এমন কিছু মৌলবাদী উপাদান যুক্ত আছে, যা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য মারাত্মক সন্ত্রাসী হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
কারণ নয়াদিল্লির ভয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশ শেখ হাসিনার নতুন সরকারকে অনুমোদন না-ও করতে পারে, যা সরকারকে বিপাকে ফেলবে। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া ঠিক একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, যেখানে হাসিনা খালেদার অবস্থানে ছিলেন। তখন বড় কোনো শক্তি মারাত্মক উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তবে সে সময় গণ-আন্দোলনে খালেদা সরকারের পতন হয়।
উলেখ্য, প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ছাড়াই রোববার বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ১৪৭টি আসনে। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দল হিসেবে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন আবার ক্ষমতায় এলে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কারণ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। (সূত্র : কালের কণ্ঠ)
-ন্যাশনাল ডেস্ক
সি.এল/আরএইচ
Comments (9)
এখনও পড়ি নাই তার পরেও শুভেচ্ছা দিয়ে যাই।
ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই।
"দুবলা পাতলা কল্পনা বিয়ের দু’বছরের মধ্যে মোটা হয়ে গেল।"
বিয়ের দু’বছরের মধ্যে পাতলা খিটখিটে কল্পনার স্বাস্থ্যে আমূল পরিবর্তন দেখা দিল। তাকে আর পাতলা খিটখিটে বলা যায় না, বেশ মোটাই বলতে হবে।
প্রিয় তাহমিদুর রহমান, গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।