চাকরিটা সোনার হরিন। সোনার হরিন হাতে পাওয়ার পর সোনার হরিনের কারণে যদি ব্যক্তিগত জীবন বিষাদে পরিণত হয় তাহলে অনেক নারী চাকরি ছেড়ে দেন।
অধিকাংশ অফিসে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া হয় না। দিলেও পুরো ছয় মাস দেয়া হয় না। এসব কারণে অনেক নারী চাকরি ছেড়ে দেন। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে সন্তানের দেখভালের কেউ না থাকায় সন্তানের সুস্বাস্থ্য ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক নারী কর্মক্ষেত্রে আর যোগদান করেন না।
বিয়ের পর স্বামীর বাড়ির লোকজন বিশেষ করে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি চায় না ছেলের বউ চাকরি করুক। স্বামীর বাড়ির লোকজনের অসহযোগীতা এবং সংসারের শান্তির কথা ভেবে অধিকাংশ নারী চাকরি ছেড়ে দেন।
চাকরি করে অনেক নারী সংসারের সব কাজ সামালে নিতে পারেন না। ফলে সংসার-চাকরি টালমাটাল অবস্থায় চলতে থাকে। সংসারকে টালমাটাল অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে অনেক নারী চাকরি ছেড়ে দেন।
বদলির চাকরি হলে নারীরা থাকা-খাওয়া বিশেষ করে নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং স্বামীর কর্মস্থল এবং নিজের কর্মস্থল যদি একই জায়গায় না হয় সে কারণেও চাকরি ছেড়ে দেন।
একই অফিসে একজন পুরুষ এবং একজন নারী একই কাজ করলেও বেতন বৈষম্য কিংবা পদন্নোতির বৈষম্য করা হলে, অফিসের অতিরিক্ত কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হলে কিংবা নারীর কাজের স্বীকৃতি না দিলে ক্ষোভে চাকরি ছেড়ে দেন।
অফিসের বস কিংবা অন্যান্য সহকর্মীরা যদি নানাভাবে যৌন হয়রানি করে থাকেন তাহলে নারীরা নিজের নিরাপত্তা ও মানসম্মানের কথা চিন্তা করে কিংবা নিজের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট, কাজের প্রতি আগ্রহ না থাকলেও কর্মক্ষেত্র থেকে বিদায় নেন।
শুধুমাত্র রাজনীতিবিদরাই রাজনীতি করেন না। অনেক অফিসেও নোংরা রাজনীতির চর্চা হয়। একবার অফিসে নোংরা রাজনীতির শিকার হলে তা থেকে নিজেকে বের করে আনা কষ্টকর। অফিসের নোংরা রাজনীতি থেকে মুক্তি পেতেও নারীরা চাকরি ছাড়েন।
Comments (0)
ভালো লাগার শব্দ মালায় লেখা কবিতা খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।
অসাধারণ ! দারুণ !
যদি অনুমতি দেন আমি কি আপনার কবিতাটি নিয়ে গান বানাতে পারি??