অপরৃপ পুষ্প বাগান পেরিয়ে একটি টিনের বাড়ি। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দ শুনছে রেবুতি। বৃষ্টি তার খুব ভালো লাগে। তাই বৃষ্টি হলেই সে বারান্দায় আসবেই, এমনটাই তার পণ। যেন বৃষ্টি আর রেবুতি এক সুতায় বাঁধা।
শ্রাবণের প্রথম প্রহর। গোধূলি লগ্নে আকাশের মুখখানি ভীষণ কালো, যেন সে তার মায়ের সাথে আড়ি দিয়েছে!সেই প্রতিশোধ নিতেই তার এতো কান্না আর সে কান্নায় বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ছে রেবুতিদের টিনের চালে। তাই দেখে রেবুতির খুশি আর ধরে না। সারা বারান্দাময় গুনগুন গান আর নিত্য। বড়ো বেশি ভালো মেয়ে এই রেবুতি। সাড়া গ্রামে তার আলাদা একটা সুনাম আছে।প্রায় সব হাতের কাজেই বেশ পটু সে। স্কুলের খাতায় প্রথম বালিকা এই মেযেটি।প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসন বড় বেশি আশাবাদী রেবুতিকে নিয়ে। এবার অনন্ত একটা জি.পি.এ ফাইভ আসবেই আসবে..?
গ্রামের সব বয়সী ছেলে মেয়েরা তাকে একটু অন্য রকম জানে। কেননা প্রতি শুক্রবার রেবুতিদের বাড়িতে বসে বয়স্ক শিক্ষার আসর। সেই আসরে গ্রামের বয়স্ক নারী-পুরুষরা আসেন দলবেঁধে বই খাতা-কলম হাতে নিয়ে।সবাই হাঁসিমুখে একনামে রেবুতিকে ডাকেন রেবামণি।তিনটি দলে ভাগ করে গ্রামের বয়ষ্কদের পড়ায় এই রেবামণি টিচার।প্রতিটি দলে থাকেন ১৫-২০জন নারী ও পুরুষ।
দুখীপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত, বেকার ও অসচেতন। এই গ্রামে মোট ৬৮টি পরিবার বাস করে।দারিদ্রের অভাবে ঝগড়া-ফ্যাসাদ প্রয়ই লেগে থাকে।
এ নিয়ে বেশ চিন্তিত রেবা। তাই রেবা মনে মনে ঠিক করলো কিভাবে এদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া যায়।গ্রামের সব নারী-পুরুষদের নিয়ে সে এক পরামর্শ করলো যে, প্রত্যক নারীরা হাসঁ-মুরগী পালল করবে, যারা হাতের কাজ জানে তারা সে সব কাজ করবে আর পুরুষরা বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করবে।
দেখতে দেখতে দুখীপুর গ্রামের দুঃখ কর্পূরের মতো উবে গেল। সবাই তার কথা মতো কাজ করলো এবং সেইরূপ ফলও পেল। গ্রামের সবাই এখন একে অপরের সুখে সুখী, ব্যথায় সমব্যথী।
রেবুতির এ অসাধারণ উদ্যোগ দেখে স্থানীয় প্রসাশন তাকে উপাধি দিয়েছে নাইট কুইন।
বদরুল ইসলাম প্রিন্স
সিলেট-
শ্রাবণের প্রথম প্রহর। গোধূলি লগ্নে আকাশের মুখখানি ভীষণ কালো, যেন সে তার মায়ের সাথে আড়ি দিয়েছে!সেই প্রতিশোধ নিতেই তার এতো কান্না আর সে কান্নায় বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ছে রেবুতিদের টিনের চালে। তাই দেখে রেবুতির খুশি আর ধরে না। সারা বারান্দাময় গুনগুন গান আর নিত্য। বড়ো বেশি ভালো মেয়ে এই রেবুতি। সাড়া গ্রামে তার আলাদা একটা সুনাম আছে।প্রায় সব হাতের কাজেই বেশ পটু সে। স্কুলের খাতায় প্রথম বালিকা এই মেযেটি।প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসন বড় বেশি আশাবাদী রেবুতিকে নিয়ে। এবার অনন্ত একটা জি.পি.এ ফাইভ আসবেই আসবে..?
গ্রামের সব বয়সী ছেলে মেয়েরা তাকে একটু অন্য রকম জানে। কেননা প্রতি শুক্রবার রেবুতিদের বাড়িতে বসে বয়স্ক শিক্ষার আসর। সেই আসরে গ্রামের বয়স্ক নারী-পুরুষরা আসেন দলবেঁধে বই খাতা-কলম হাতে নিয়ে।সবাই হাঁসিমুখে একনামে রেবুতিকে ডাকেন রেবামণি।তিনটি দলে ভাগ করে গ্রামের বয়ষ্কদের পড়ায় এই রেবামণি টিচার।প্রতিটি দলে থাকেন ১৫-২০জন নারী ও পুরুষ।
দুখীপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত, বেকার ও অসচেতন। এই গ্রামে মোট ৬৮টি পরিবার বাস করে।দারিদ্রের অভাবে ঝগড়া-ফ্যাসাদ প্রয়ই লেগে থাকে।
এ নিয়ে বেশ চিন্তিত রেবা। তাই রেবা মনে মনে ঠিক করলো কিভাবে এদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া যায়।গ্রামের সব নারী-পুরুষদের নিয়ে সে এক পরামর্শ করলো যে, প্রত্যক নারীরা হাসঁ-মুরগী পালল করবে, যারা হাতের কাজ জানে তারা সে সব কাজ করবে আর পুরুষরা বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করবে।
দেখতে দেখতে দুখীপুর গ্রামের দুঃখ কর্পূরের মতো উবে গেল। সবাই তার কথা মতো কাজ করলো এবং সেইরূপ ফলও পেল। গ্রামের সবাই এখন একে অপরের সুখে সুখী, ব্যথায় সমব্যথী।
রেবুতির এ অসাধারণ উদ্যোগ দেখে স্থানীয় প্রসাশন তাকে উপাধি দিয়েছে নাইট কুইন।
বদরুল ইসলাম প্রিন্স
সিলেট-
Comments (4)
তোমার প্রথম লেখাটার তুলনায় এই লেখাটা অধিক উপভোগ্য মনে হল। ধন্যবাদ, মোস্তফা।
আর একটা কথা। দেশে এলে তোমার শৈশব কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত রাজশাহীতে আসতে চেয়েছিলে। কথাটা মনে আছে তো?
হেনা ভাই এর পর লিখব প্রথম প্রেম আসুন লিখে ফেলুন দু কলম
সালাম হেনা ভাই
অনেক দিন অনেক বছর পর ছোট গল্প লিখলাম এখন থেকে মাঝে মাঝে লিখব
আসলে তেমন সময় পাইনা ।
হে হেনা ভাই বাংলাদেশে এলে অবশ্যই আমার প্রিয় শহরে আসব এবং আপানার সাথে দেখা করব
ভালো লাগলো আপনার লিখা
ইকু অনেক অনেক শুভ কামনা ভাইজান কেমুন আছুন