আমরা সাধারণত নতুন লেখকদের বই কিনি না। এতে করে আমরা তিনটা ভুল কাজ করি।
এক, নতুন লেখক বের হয়ে আসার পথ নষ্ট করি।
দুই, নতুন অভিজ্ঞতা, অনুভূতি আস্বাদনের পথ বন্ধ করি।
তৃতীয়টি মারাত্মক, ভাষা সাহিত্যের বিকাশের পথ বন্ধ করি।
তাই প্রতিবার বই মেলায় অন্তত দুজন নতুন লেখকের বই কিনুন। একটা বিষয় দারুণ সত্য যে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ বইও অন্তত একটা ভাল লাইন আপনাকে আস্বাদন করতে দেবে। সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় বইও মগজকে একবার নাড়া দিবে।
প্রতিদিন চায়ের কাপের পাশে বই থাকুক, মনিটরের পাশে থাকুক বই, বিছানায় বালিশের পাশে থাকুক বই, বই থাকুক বাথরুমে, জ্যামের বাসে, কিবা যাত্রা পথে। ইলেকট্রিক বিল অথবা ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আপনার হাতে একটা বই থাকতেই পারে। সময়কে উপভোগ করতে চান বা সময় থেকে পালিয়ে থাকতে চান বই হোক শ্রেষ্ঠ সঙ্গী।
সফল হোক বইমেলা ২০১৭ ।
মেলা হল যখন একটি সামাজিক, ধর্মীয়, বাণিজ্যিক বা অন্যান্য কারণে একটি স্থানে অনেক মানুষ একত্রিত হয় ।মেলার সঙ্গে সংস্কৃতির যোগাযোগ নিবিড় । বাংলার এই সংস্কৃতিতে থাকে সব ধর্মের মানুষের সংস্কৃতির সমন্বয় ।এই মাসজুড়ে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে চলে বইমেলা। দেশের সবগুলো প্রকাশনী তাদের যতো বই আছে, প্রায় সবগুলো নিয়ে মেলায় তাদের স্টল সাজায়। আর আমরা সবাই সেই মেলায় যাই, বই নেড়েচেড়ে দেখি, নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেই, আর পছন্দ করে করে বই কিনে বাসায় আসি। তারপর নতুন বইয়ের টাটকা ঘ্রাণ থাকতে থাকতেই সেগুলো পড়ে ফেলি।
শীতের বুড়ি ফেরত যাওয়ার রাস্তা খুঁজছে। প্রকৃতিতে লেগেছে ফাগুনের ছোঁয়া। নতুন বইগুলোকে ঘিরে লেখক-পাঠক-প্রকাশকেরা সব্বাই ব্যস্ত।
নজরুল চত্ত্বরে নতুন নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়, আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি ।
লেখক পাঠক হাত নেড়ে নেড়ে গল্প করে, আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি ।