Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

দ্রোহ ও প্রেমের কবি আবুল হাসানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলা কাব্য সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র, আধুনিক কবি সাংবাদিক আবুল হাসান। পাথর থেকে লাবণ্য ঝরানোর কবি আবুল হাসানের প্রকৃত নাম আবুল হোসেন মিয়া, আর সাহিত্যক নাম আবুল হাসান। আবুল হাসান অল্প বয়সেই একজন সৃজনশীল কবি হিসাবে খ্যাতিলাভ করেন। মাত্র এক দশকের কাব্যসাধনায় তিনি আধুনিক বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। বাংলাদেশের আধুনিক কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসান ষাট দশকের জনপ্রিয় কবিদের একজন এবং সত্তুর দশকেও জনপ্রিয় ছিলেন। আত্মত্যাগ, দুঃখবোধ, মৃত্যুচেতনা, বিচ্ছিন্নতাবোধ, নিঃসঙ্গচেতনা, স্মৃতিমুগ্ধতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবুল হাসানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে এশীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম হন। ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরন করেন। কবির ৩৮তম মৃত্যুদিনে তাঁর প্রতি রইল অনেক অনেক শ্রদ্ধাঞ্জলি। 

কবি আবুল হাসান ১৯৪৭ সালের ৪ আগষ্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের ঝনঝনিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা আলতাফ হোসেন মিয়া ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার। আবুল হাসান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। তারপর বরিশালের বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ শ্রেণীতে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা শেষ না করেই ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন। পরে তিনি গণবাংলা (১৯৭২-১৯৭৩) এবং দৈনিক জনপদ-এ (১৯৭৩-৭৪) সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। 

এরপর বহু বর্ণিল জীবন পাড় করেছেন তিনি। মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত তিনি দৈনিক জনপদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজা যায় রাজা আসে, যে তুমি হরণ করো, পৃথক পালঙ্ক এছাড়া তাঁর অপ্রকাশিত কবিতাবলী নিয়ে প্রকাশ হয়েছে মেঘের আকাশ আলোর সূর্য। ১৯৭৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৮২ সালে মরনোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ ১। রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭২) ২। যে তুমি হরণ করো (১৯৭৪) ৩। পৃথক পালঙ্ক (১৯৭৫) 

 

প্রেম ও দ্রোহের কবি আবুল হাসান ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুদিনে কবির প্রতি রইল অনেক অনেক শ্রদ্ধাঞ্জলি

০ Likes ৮ Comments ০ Share ৮৮৬ Views

Comments (8)

  • - নীল সাধু

    শুভেচ্ছা সুপ্রিয় শাহিদুল হক ভাই। 

    সত্যি যে আগুনে সভ্যতার সূচনা হয়েছিল সেই আগুনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় আমাদের ভাবতে হবে

    সেই আগুন কি আমাদের মানবতাকেও ধ্বংস করে দিবে কিনা সেটাও।

    চারপাশে লক্ষণ তেমনই দেখা যাচ্ছে।   

    আমরা বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চাই। সুন্দর স্বদেশে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচতে চাই, যা রীতিমতন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

     

    ধন্যবাদ -

    ভালো থাকবেন ভাইসাব।  

    • - খোন্দকার শাহিদুল হক

      আমরা মনে হয় আমাদের পাপেই জ্বলছি। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দরকার। শিক্ষিত হওয়ার চেয়েও যেন এখন মানুষ হয়ে ওঠার প্রয়োজন বেশি হয়ে পড়েছে। সমাজের এই অস্থিরতা চাই না। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

    - কালপুরুষ

    উনোনের আগুন কাঠখড়ি জ্বালিয়ে কয়লা করে আর মানুষের ক্রোধের আগুন দেশ ও রাষ্ট্রকে জ্বালিয়ে শশ্মান করে। ঘর ও বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব কিন্তু মনের আগুন নিয়ন্ত্রণহীন, দীর্ঘদিন ধরে জ্বলে, অন্যের অস্তিত্বের জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। 

    • - খোন্দকার শাহিদুল হক

      ধন্যবাদ প্রিয় কালপুরুষ ভাই। ভালো থাকবেন।

    - ঘাস ফুল

    যে আগুনের হাত ধরে আমরা সভ্যতার দিকে এগিয়ে এসেছি, সেই আগুনই আজ সভ্যতাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করছে। এর কারণ আর কিছুই না,  এর কারণ হচ্ছে  এখন আমরা সবাই আগুন নিয়ে খেলছি। যারা খেলোয়াড় তারাও খেলছি, আর যারা খেলোয়াড় না তারাও খেলছি। তাই অখেলোয়াড়দের খামখেয়ালীপনার শিকার হচ্ছে আমাদের দেশের প্রতিটা অঙ্গন। জ্বলছে সেগুলো আগুনের লেলিহান শিখায়। মানবতার আগুন জ্বলে উঠুক আর ধ্বংসের আগুন নিভে যাক এই কামনা করছি। অনেক ভালো লাগলো আপনার কবিতার ম্যাসেজ শাহিদুল ভাই। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রইলো। 

    • - খোন্দকার শাহিদুল হক

      আপনার জন্য ভালবাসা আর শুভকামনা সতত।

    Load more comments...