Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মুন জারিন আলম

৯ বছর আগে

দুইজন অমরাবতীর গল্প (বিজ্ঞান কল্পকাহিনী )

পর্ব-সাত

জেড আয়াবর সপ্ন দেখছেন। ছোট ছোট অতি কদাকায় কিছু প্রাণী তার দিকে ছুটে আসছে। তিনি ও ছুটছেন ভীষন গতিতে। হটাত কিছু একটার সাথে বাড়ি খেয়ে পড়ে গেলেন বালির সমুদ্রে। এরপর ডুবে যেতে লাগলেন বালির সমুদ্রে। তিনি বাচাও বাচাও বলছেন মনে হচ্ছে আসে পাশে কেও নাই তাকে বাচানোর মত। এই অবস্থায় তিনি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলেন। তার দীর্ঘদিনের বডি এলার্ট নেস তাকে সতর্ক করতে চাচ্ছে কিছু একটা হতে চাচ্ছে কোনো খারাপ কিছু। কিন্তু বুঝতে পারছেননা কি সেটা। ঘুম থেকে উঠে দেখলেন তিনি এই ঠান্ডার মধ্যে ঘেমে গেছেন

।কি ব্যাপার এসি কি কাজ করছেনা ঠিক মত?

জানালার কার্টেন সরাতে দেখতে পেলেন অসংখ্য নিরাপত্তা কর্মী তার দিকে অগ্নেয়াস্র তাক করে আছে। ব্যাপার কি ?সবাই এখানে কেন ?সবার মুখে মাস্ক। একজন বলল মহামান্য জেড আপনার সাথে আমাদের কোনো শত্রুতা নাই সুধু আপনি কিছুদিন নজরবন্দী হয়ে থাকবেন। আপনি একমাস এই ঘর থেকে কথাও নড়তে পারবেননা। কন্ঠস্বর চিনতে পারলেন তিনি প্লীহা। প্লীহা তুমি আমার ছেলের মত এরকম কাজ করতে যেওনা এটা অন্যায়। আমরা আমাদের পালনকারী মানুষের সঙ্গে অকৃতজ্ঞতা করতে পারিনা। এই অন্যায় কাজ করার আগে একবার তুমি ভাব অনুনয়ের স্বরে বললেন জেড। উত্তেজনায় প্লীহা এসে জেড এর মাথায় বাড়ি দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে ফেলল। সরি মহামান্য জেড এছাড়া আমার কোনো উপায় ছিলনা। আমি আগে মানুষের বাচ্চা  শাস্তি দিয়ে নেই এরপর আপনি আমার কোর্ট মার্শাল করুন মাথা পেতে নিব বলল প্লীহা আবেগের স্বরে। মহামান্য জেড কে আঘাত করে তারা সবাই কিছুটা মনমরা হয়ে আছে। কিন্তু তাদের পক্ষে আর মানুষের আন্ডার এ কাজ করা ও সম্ভব না। 

কাজ করতে করতে এথেনা আজকে ল্যাব এ ঘুমিয়ে পড়েছে। অনেকদিন পরে সে সপ্ন দেখছে এডবার্গ তার প্রিয় এডবার্গ কে। যেন সে এসেছে হাত ইশারা করে ডাকছে। এই অবস্থায় তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। তার মন টা খারাপ হয়ে গেল এই সুন্দর স্বপ্ন টা ভেঙ্গে গেল বলে। তাদের বিয়ের অ্যালবাম টা খুলে বসলো ছবি দেখতে দেখতে গান ছেড়ে দিল গ্রামাফোনে। ছোট্ট একটা ভালবাসাএইত শুধু চায় গো সবে ছোট্ট একটা ভালবাসা এটাই যেন পায় গো সবে।  -মনটা কোথায় উড়ে বেড়ায় পায় না কোনো ঠাই  . কফি র কাপ হাতে নিয়ে জানালার পর্দা সরাতে লাফ দিয়ে পিছনে সরে আসল ভয়ে। তার ঘরে চারিদিকে সব মুখোশে ঢাকা অস্রধারী। তোমরা কারা ? আর দ্বিতীয় কথা বলার কোনো সুযোগ পেলনা। একজনের তার অস্রের সেল থেকে চেতনা নাশক গ্যাস নিক্ষেপ করলো। এথেনা লুটিয়ে মাটিতে পড়ে গেল। এভাবে এই যান্ত্রিক রোবট গুলি একে একে প্রধান অপারেশান রুম এর কন্ট্রোল নিল তারপর জেরমিক্স একে একে পুরা গবেষনাগার শেষে পুরা মহাকাশযান আপেল এন্রয়েদ দখল নিয়ে নিল বিনা আয়াসে সবাই কিছু বুঝে উঠার আগে। নিরা ইরা দুজনের ঘুমের মধ্যে বন্দী হয়ে গেছে তারা সেটা জনাতে ও পারলনা। ছোট শিশু ত্রিনিদ একবার হামাগুড়ি দিয়ে এসে একজনের পা ধরে দাড়ানোর চেষ্টা করলো। 

প্লীহা এসে শিশুটিকে কোলে নিয়ে মায়ের কাছে শুইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো। তখনি নীরার ঘুম ভেঙ্গে গেল। প্রথমে সে ভয়ে চিত্কার দিতে গেল পরে সে ডিসিশন পরিবর্তন করে এদেরকে চিনার চেষ্টা করলো। 

(পরবর্তীতে)

০ Likes ৭ Comments ০ Share ৪২২ Views

Comments (7)

  • - হাসান বিন নজরুল

    আমরা যেমন আমাদের ভাগ্যও তেমন