Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মুন জারিন আলম

৯ বছর আগে লিখেছেন

সোহেলীর বাবা জেলে ডুবুরী

যেদিকে তাকায় পানি ছাড়া আর কিছু ই নজরে আসেনা সোহেলীর। অনেকক্ষন ধরে দুরের পানির দিকে তাকিয়ে বসে আছে সে। এখানে সে এসে বসেছে সকাল আটটায়।এখন বাজে বেলা বারটা।ক্ষিধেয় পেট যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। তার বাবা সেই সকালে ডুব দিয়েছে পানিতে এখন উঠে আসেনি। ঘরে আজ চুলায় পাতিল চড়েনি।কোন খাওয়ার নেই।
 মা মারা গিয়েছে তার গত বছর। আগে মা এটা সেটা করে খাওয়ার এনে দিত। মা মারা যাওয়ার পর প্রায় সময় সে আধপেটা খেয়ে থাকে। এক দিন খায় তো আরেকদিন কোন ও খাওয়ার থাকেনা। তার বাবা এখানের দ্বীপে মাছ ধরে। এই পানির মাছ কেও খেতে চায়না। সামুদ্রিক মাছগুলি সাধারনত কেটে রোদে শুকান হয় যা পরে বড় বাজারে চালান হয় শুটকি হিসাবে। দিনে দুইবার বড় ট্রলার এ করে একপাল জেলের সাথে তার বাবা ও মাছ ধরে। মাঝে মাঝে ট্রলার ছাড়া তার বাবা আসে মাছ ধরতে অনেক বিপদজনক জানার পরে ও। যখন খাওয়ার কিছু থাকেনা তখন বাবা আসে অন্য জেলেদের লুকিয়ে। দুই একটা ধরে আলাদা করে বিক্রি করে ওইদিনের ভাত ডালের খরচ টা ম্যানেজ করে হতভাগ্য গরীব বাবা। আজ সেরকম ই একটি দিন।
ভর থেকে জরুরি বার্তা দেওয়া হয়েছে খুব দরকার না হলে কেও যেন বিচের কাছে একা নিরস্র অবস্থায় না যায়। এক জেলে আহত হয়েছে কুমিরের কামড়ে। সাধারনত যখন তারা ট্রলার এ করে মাছ ধরতে আসে হাতে থাকে বর্ষা ,চাকতি , দা। বর্ষা হাতে আছে আজ ও তার সাথে জাল নিয়ে বিপদজনক খরস্রোতা পানিতে অনেক টা ঝাপ দিয়ে পড়ল আইনুদ্দি সোহেলীর বাবা। 
বিরাট এক মাছ পাইছিরে সোহেলী বলে এক চিত্কার দিয়ে উঠলেন প্রথমে খুশিতে। একটু ক্ষণের জন্য বাবার মুখ টা দেখল। পরক্ষণে সেই যে বাবা ডুব... continue reading
Likes ২২ Comments
০ Shares

মুন জারিন আলম

৯ বছর আগে লিখেছেন

আতংকের এক ঝড় বৃষ্টির রাত

ভূমিকা:পুরান একটি গল্প।ব্যাকগ্রাউন্ডে ঝড়বৃষ্টি থাকায় বর্ষা লেখা হিসাবে পোষ্ট করলাম।লেখাটি পড়ার আমন্ত্রন জানান হল সবাইকে।
্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্
মূল গল্প:
খুব ঝড় বৃষ্টির রাত আজকে। ঘন ঘন বিজলীর চমকে প্রকৃতি কম্পিত।চারিদিকে প্রকৃতি বেশ নিস্তব্দ। শুধু তাদের কম্পিউটার অপারেটর এর টাইপ এর খট খট আওয়াজ ছাড়া চারিদিকে কোনো শব্দ নাই। এইরকম একটা দিনে ও কাজ শেষ করতে করতে তার দেরী হয়ে গেল। অফিসে ধরতে গেলে এখন তেমন মানুষ নাই। সে তাদের এক কম্পিউটার অপারেটর ক্লার্ক মিজানুর রহমান আর এম ডি স্যার। 
কাজী আয়েশা তার নাম। কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এ। দুই ছেলে তা-হীন মা-হীন। সাজানো সংসার তার। তার বাসা আজিমপুর গোরস্থান এর সামনে দুই ব্লক পরে।আজকে তার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল তাড়াতড়ি।তার দুই ছেলের প্রিয় কার্টুন একসঙ্গে দেখার কথা।স্বামী সেলিম আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
জানালার পর্দা লরিয়ে বারবার সে দেখছে বৃষ্টি থেমেছে কিনা।বরং বৃষ্টি বাড়ছে সময়ের সাথে সাথে।সে অপেক্ষা করছে বৃষ্টি সামান্য কমলে বেরিয়ে পড়বে।আজকে সেলিম বিকালে বাসায় চলে গিয়েছে তাহীন কে ডাক্তার দেখানোর জন্য। 
আপা আজকে ট্যাক্সি কইরা চইলা যান। বাসের জন্য অপেক্ষা করলে ভিজে যাবেন। বাহিরে অনেক বৃষ্টি। দারোয়ান শফিকুর বলল। 
একটা ট্যাক্সি ডেকে আনতে পার ভাই ? অনুরোধ আয়েশার। 
ট্যাক্সি উঠতে উঠতে সে খানিকটা ভিজে গেল। আশেপাশে অন্ধকার হয়ে আছে ট্যাক্সি ওয়ালার মুখ টা ভালো ভাবে দেখতে পারছেনা। 
কোথায় যাইবেন অতিরিক্ত গম্ভীর কর্কশ আওয়াজ। 
১৪ নম্বর কলোনী আজিমপুর। 
সে কিছু ক্ষণ চেষ্টা করলো ট্যাক্সি ড্রাইভার এর মুখটা দেখতে মিরর এ। কিন্তু মিরর টাকে প্লেস করেছে তার বিপরীত দিকে। ড্রাইভার তাকে দেখে যাচ্ছে বুঝা যাচ্ছে। 
এই যে ড্রাইভার আপনার লাইট জ্বালান।অন্ধকার তো। 
সাধারণত কবরস্থান টা কে সে প্রতিদিন অতিক্রম করে যায়। আজকে নির্জন শুনশান প্রকৃতি... continue reading
Likes ১৫ Comments
০ Shares

মুন জারিন আলম

৯ বছর আগে লিখেছেন

বর্ষার ধারা মাঝে শান্তির ধারা

বরিষ ধারা মাঝে শান্তির ধারায় 
(কবি গুরুর গানের লাইন)
বর্ষা শ্রাবন পার হয়ে
বার্তা আসে আজ জয়ে রয়ে
নবীন কিশলয়ের আগমনে
কার নাম যাও কয়ে
কত কথা আজ জাগে মনে
আকাশে বাতাসে রয়ে সয়ে।।
আজকে আমাদের এখানে তুমুল এক বৃষ্টি হল।এমন বৃষ্টি মনে হল টরন্টো নগরটি পানিতে ভেসে চলে যাবে।প্রচন্ড বিজলীর চমক,তুমুল বর্ষনের শব্দে প্রকৃতি প্রকম্পিত যেন।একেবারে ক্যাটস এন্ড ডগস (বিড়াল কুকুর বৃষ্টি) যাকে বলে। 
আমার স্কুল কলেজ শৈশবের একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল বর্ষার সময়ে বাসার ছাদে এসে বৃষ্টিতে ভেজা।মা নানীদের বক্তব্য ছিল বৃষ্টির পানিতে নাকি আল্লাহর এক নেয়ামত এক রোগ প্রতিরোধ রেমেডীর মত থাকে যার স্পর্শতে সর্দি কাশি, ঠান্ডা জনিত যত অসুষ্থতা সারা বছর তার নাগাল থেকে দুরে থাকে। সত্যি যেটা দেখেছি বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় আমি ছিলাম খুব সুস্থ প্রানশক্তির অধিকারী একটি মেয়ে।আমার অসুখ বিসূখ হতনা বলা চলে।জ্বর সর্দি কাশি কখনও ই হয়নি বলা চলে।
কানাডায় আসার পর গত দশবছর ধরে এ ছিল আমার মূল স্বাস্থ্য সমস্যা।সামান্য কিছুতে গলা ব্যাথা সর্দি কাশি জ্বরে সবসময় ভূগছি।বৃষ্টির পানির ফোটা যদি মাথায় টাচ হয় কয়েকদিন ধরে মাথা ব্যাথা কাশি চলতে থাকে।এইজন্য এখন যদি কখন বৃষ্টির পানি গায়ে লাগে সঙ্গে সঙ্গে বাসায় গরম পানিতে শাওয়ার নিয়ে নেই।
তবে আজ ব্যাতিক্রম করলাম অনেকদিন পরে।তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে মেয়ে সহ বাহিরে গিয়ে প্রানভরে ভিজলাম।মেয়ে ছিল ছাতার আড়ালে আর আমি প্রবল বর্ষনে ভূলে গেলাম যেন সব।সেই আমার কলেজ জীবনটকে আজ আবার স্পর্শ করলাম স্মৃতিতে।  
কি যে এক ভাল লাগা অনেক দিন পর।
কোন হাচ্চো সর্দি কাশি এখন ও হলনা ।বেশ লাগছে।এই বোধ সহ অনুভুতির কথা লিখছি এখন। দশবছর আগে যেই স্মৃতি বিজড়িত বর্ষা যেন আজ আমাকে... continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - প্রজ্ঞা মৌসুমী

    বাংলাতে স্বাধীনতা সত্যিই কি আসবে এবার? ভরসা হারানোর জালে তবুওতো স্বপ্ন আসে

    • - Azimul Haque

      প্রজন্মের আহ্বান এটাই, তবে সম্পূর্ন এটা নয়। জামাতের তরুন প্রজন্ম-ও কিন্তু আজকেরই প্রজন্ম। 

      নেলসন ম্যান্ডেলার মতো এই দুই প্রজন্মের মধ্যে একটা রিকনসিলিয়েশন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আজ।

মুন জারিন আলম

৯ বছর আগে লিখেছেন

উপহার উপসংহার

মুক্ত কর ভয় আপনা মাঝে
দূরহ কাজে
নিজেরে কর জয়।
আ আ আ আ
দূর্বলেরে রক্ষা কর
দূর্জনেরে হান
নিজেরে কভু নিসঃহায়
ভেবনা কভু যেন।
মুক্ত করো ভয়,(মিজানও মনে মনে গাইতে শুরু করল)
আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়। 
দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো,
নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।
মিজান এই প্রথম বারের মত অফিসে অনটাইম পৌছল।তার রুমে দরজা খুলে ঢুকতে গিয়ে থমকে দাড়াল।
কেও একজন বেমানান সুরে ভূল শব্দে ব্যকূলভাবে রবীন্দ্রনাথের সুন্দর গানটি গেয়ে যাচ্ছে।তাকাতে রুখসানা ম্যাডামকে দেখতে পেল।তার রুমের মুখামুখি রূখসানা ম্যাডামের রূম।
হেতির আইজকে হইছে কি?(মনে মনে নোয়াখালীর অ্যাকসেন্টে মিজান নিজের সাথে কথা বলে।)একেবারে আপ মূডে আছেন মনে হচ্ছে।ভাগ্যিস রবি স্যার পৃথিবীতে বাইচা নাই।নাহলে বিশাল দুইটা ঠাল্লা এখন খাইতা বিকৃত সুরে কর্কশ গলায় এই ভূল গান গাওয়ার জন্য।
সাজ দেখ বুড়ী বেটির। মনে মনে মিজান রুখসানা ম্যাডামের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে করতে রুমে ঢুকল। কেননা কালকেও তাদের বিশাল কথাকাটাকাটি হয়েছে।
যাক আজকে মিজানরে খেয়াল করেনি এখনও।
আহা গাইতে থাক যত পার কর্কশ রবীন্দ্রসংগীত।আমারে বদার না করলে হল।
রুমে ঢুকে ফাইল পত্র রেডী করতে করতে ডোরে নক। এই সময় কে ভাবতে ভাবতে বলল কাম ইন।
ঘরে ঢুকল অডিট অফিসার ।এই ছেলেটাকে মিজানের খুব পছন্দ।রুখসানা ম্যাডামকে যেমন সবচেয়ে অপছন্দ তেমনি এই ছেলেটাকে সবচেয়ে পছন্দ।সবসময়ে হাসিমুখে থাকে। নাম তার আহসান হাবিব ডাক নাম সুমন।মিজান তাকে আদর করে সুমন নামে ডাকে এবং সেও মিজানকে মিজান সাহেব না বলে মিজান ভাই বলে ডাকে।যদিও অফিস এর ডেকোরাম হচ্ছে জুনিয়ার রা সিনিয়ারদের স্যার বলে ডাকবে আর সিনিয়ার রা জুনিয়ারদেরকে সাহেব বলে ডাকতে হবে।কিন্তু দুজনে এই ডেকোরাম অনুসরন করছেনা।
কি মিজান ভাই কি খবর? আজকে ত ঠিক সময়ে ইন।নিশ্চয় ভাবী সব গুছায়ে... continue reading
Likes ১৩ Comments
০ Shares

Comments (13)

  • - তাহমিদুর রহমান

    emoticons

    - মাসুম বাদল

    emoticonsemoticons

    - মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান

    emoticons সুধু প্প্রস্তাব করলে হবে! এটা নিয়ে ত কাজ অ করতে হবে, নাকি emoticons। ১১ তারিখ ইফতার পার্টিতে আসেন; সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

    • - মাসুম বাদল

      আসবো, ভাই!!!

    Load more comments...

মুন জারিন আলম

৯ বছর আগে লিখেছেন

কিসের অভাব আছে পৃথিবীতে

কি অভাব এই পৃথিবীতে
আমার চারপাশে 
আমার আশেপাশে ,
আপনজনে,
সহায় সম্বলে
কি নেই পৃথিবীতে __  
অভাব দেখার দৃষ্টিতে ।
চাইতে পারিনা
ঠিক সময়ে ,
ঠিক স্থানে 
অভাব আছে
হৃদয়ের কোণটিতে
শুভ্রতায় ,
হৃদয় মাধুর্যে
পবিত্রতায়। 
কি অভাব এই পৃথিবীতে ।
বলিতে পারিনা
ঠিক কথা টি
ঠিক সময়ে
জড়তার কারণে।
হয়ে যায় যত দেরী 
কিসের অভাব
দীনতা
হীনতা
দীর্ঘসুত্রিতা
সময় সময় ভাবায়
পরিবেশে কাদায় _
ক্লান্তি দুর্বলতা 
জরা জীর্ণতা
যত অসহিষ্ণুতা 
ভাল লাগেনা আর। 
তারপর ও হইনা
পরিবর্তিত
সংশোধিত 
পরিমার্জিত। 
বদলে দোষ দেই
আপনারে  প্রকৃতিকে
ভাগ্যে
আল্লায় __  
ভাবিনা কেন
যা আছে অভাব
ভিতরে
ভারসাম্যে
বিচক্ষণতায়। 
পথ চিনতে
আপন পর ভুলতে
ত্রুটিতে
কিসের অভাব আছে পৃথিবীতে। continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - মুন জারিন আলম

    পর্দা’র বিষয়ে লিখিতে বসিয়া বড়ই টেনশন ফিল করিতেছি। না জানি, কাহার গাত্রে আবার দাউদাউ করিয়া আগুন জ্বলিয়া উঠিলো? কেহ আমার চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধারেও উঠিয়া-পড়িয়া লাগিয়া গেলেন কিনা, তাহা ভাবিয়া সত্যই আশংকাবোধ করিতেছি ।।।।।।।।।।।emoticons 

    মন্তব্য করছিনা।রসরচনা থেকে রস খুজেছি অন্য কিছু না।  ...শুভেচ্ছা জানবেন। 

     

    • - শাহ আলম বাদশা

      রস খুঁজে ্পাওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা  

    - আলমগীর সরকার লিটন

    চুর ধর্মের কথা শুনে না

    শুভ কামনা----------

    • - শাহ আলম বাদশা

      ঠিক বলেছো ভাই--তোমার লেখা ক্রন্দসীতে যাচ্ছে ভাই 

Load more writings...