তৃতীয় পর্ব
১গ্যালাক্সি এর আপল অন্রইদ এ সকাল থেকে রাত অবধি ইমার্জেন্সি লাইট টি জ্বলছে আর নিভছে
প্রায় দশ হাজার নিরাপত্তা কর্মী এসে জায়গা টাকে বড় ফানেল এর কাভার এ সিল করে আলাদা করে দিল যাতে হিলিয়াম এর বিষাক্ত প্রভাব এ এই গ্যালাক্সি এবং পৃথিবীতে আর কোনো বড় ধরনের মানবেতর বিপর্যয় না হয় ।
দুর্ঘটনার খবরে পাগলের মত ছুটে আসলেন এথেনা ত্রিনিদাদ এর পোড়া অঙ্গার দেহ দেখে পাগলের মত চিৎকার করে উঠলো ।
হায় আমার ত্রিনিদাদ এভাবে আমাদের ছেড়ে কিছুতে যেতে পারনা অপ্রকৃস্থিতের মত মাথা নাড়াচ্ছে আর এক কথা বারবার বলছে সে কিছুতে বিশ্বাস করতে তার এই প্রাণ প্রিয় ভাইটির সাথে আট ঘন্টা আগে কথা হয়েছে সে ছিল খুব প্রানোচ্ছল হাসি খুশি তার নুতুন আবিস্কার নিয়ে সে ছিল অনেক উত্তেজিত ।
এর মধ্যে সে বোন্ এর সাথে খুনসুটি ও করলো কিছু কিছু ক্ষন ।
এই আপা অমিত প্রেমে পড়ে গেছি এক বিশ্ব সুন্দরীর ।পটার ফাদার কে নিয়ে চলে এস সম্ভব হলে এক্ষনি বিয়ে করব ।
কে রে এথেনা উত্তেজিত কোথায় থাকে ?
এই মুহুর্তে আমার কোলে বসে আছে। এখন আমি ওকে নিয়ে বিজি থাকব ।
তোমার সাথে পরে কথা হবে। বাই বলে ফোন কেটে দিল ।
নীরার চুলের গন্ধ শুকতে শুকতে নীরার নারী দেহের নির্ঝাস নিতে নিতে বিস্ফোরণের আগুনে ত্রিনিদাদ এর মৃত্যু আমাদের সবার ই জানা ।
এথেনা র সৎ ভাই ছিল ত্রিনিদাদ তাতে ভালবাসতে কোনো অসুবিধা হয়নি
দুজনের বাবা এক মা আলাদা ।
জেরমিক্স সান্তনা দেওয়া র চেষ্টা করছে এথেনাকে।
জেরমিক্স এই ল্যাব সাত নং প্রকোষ্ঠের সপ্তম তরুণ বিজ্ঞানী
তার কাজ হচ্ছে ক্লোন ও রোবট নিয়ে
ইরা এবং নীরা এই দুই রোবট তৈরিতে এথেনার সাথে তার প্রচেষ্টা ও ছিল সীমাহীন ।
হটাৎ তার মাথায় বিদ্যূত চমকের মত এই আইডিয়া খেলে গেল।
তাইত আমাদের সর্বাধুনিক ক্লোন এ কেন ত্রিনিদাদ এর ব্রেন এবং হার্ট সংযোজন করে দেখা যাক আমার প্রানপ্রিয় বন্ধু কে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় কিনা ।
দীর্ঘ পনর ঘন্টা পরে তারমুখে হাসি ফুটল।
২ আজ ২৮ september ৪০৮০ সাল বিজ্ঞানের ইতিহাসে আবার সংযোজিত হয়েছে এক নুতুন অধ্যায় এর ।টানা নয়মাস জেরমিক্স ও এথেনা র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এ মানবের মস্তিস্ক এবং হার্ট এর সংযোজনে এ ক্লোন টি যখন ল্যাব থেকে বের সবার উদ্দেশ্যে হাই বলে হাসলো সবাই আনন্দে উল্লাস করে উঠলো। ত্রিনিদাদ কে যারা চিনত সবার ই মনে হলো আমাদের ত্রিনিদাদ আমাদের কাছে ফিরে ফিরে এসেছে।
আনন্দে এথেনার চোখে পানি এসে গেল
ত্রিনিদাদ ভাই আমার বলে ছুটে যেতে গেল সদ্য প্রাণ পাওয়া ক্লোন টির দিকে।
জেরমিক্স হাত বাড়িয়ে বাধা দিয়ে তাকে বসালো হাতে কফি দিয়ে বলল
মহামান্য এথেনা এ শুধু ই ত্রিনিদাদ এর শারীরিক অবয়ব ব্যক্তিত্য চিন্তা চেতনা সম্পূর্ণভাবে একজন ক্লোন এর ।তার মানুষের মত ভাবার মত চিপস টা এখনো সংযোজন করা হয়নি সম্রাজ্ঞী ।
তোমাকে ধন্যবাদ জেরমিক্স এক অসাধ্য সাধন করেছ তুমি। আমার মাথা অবনত করে তোমাকে সন্মান প্রদর্শন করছি বলে এথেনা মাথা নত করলো জেরমিক্স এর সামনে ।
ছি ছি তা করবেন না অযাচিত সন্মান প্রদর্শন করবেন না। যদি বলেন আপনি কিছু কম কষ্ট করেন নি দিনরাত আমার সাথে থাকা প্রেরণা দেওয়া বলা যায় আপনাকে ভালোবেসে এ কাজ করেছি আমি এথেনা আবেগ এর স্বরে বলে জেরমিক্স।
ঠিক একই সময়ে এই মহাকাশের আরেক মাতৃসদন ল্যাব এ জন্ম নিল এক মানব শিশু এক নুতুন প্রাণ এর সে নীরা আর ত্রিনিদাদ এর পুত্রসন্তান ।
শিশু টি জন্মের পর একটু পিটপিট করে তাকালো প্রথমে তারপর হাত মুষ্টিবদ্ধ করে চিৎকার করে জানালো তার প্রথম প্রতিবাদ একজন মানব সন্তান হিসাবে।
তার অভিযোগ কেন তাকে মায়ের নিরাপদ প্রকোষ্ঠ থেকে এই বিপদজনক পৃথিবী তে আনা হলো ?
তার পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব নয় এই প্রকৃতির রহস্য বিধাতার রহস্য।
তাকে আনতে গিয়ে প্রকৃতিতে সংঘঠিত হয়েছে কত ধংশ যজ্ঞ ।
তার ভ্রুণ যখন মায়ের প্রকোষ্ঠে ঢুকছিল একই সঙ্গে তাকে জন্ম দেওয়া পিতা ত্রিনিদাদ এর প্রাণ পাখি
চলেযাচ্ছিল পরজগতের দিকে।
নার্স রোবট টি এসে নীরার কোলে তুলে দিল তার সন্তানটিকে।
অতি মনোহর হয়েছে দেখতে আপনার সন্তানটি বলল নার্স টি আনন্দের গলায় ।
নীরার মনে কোনো আনন্দ হচ্ছিলনা সে শুন্য সিলিং এর তাকিয়ে ভাবতে লাগলো ।
হায় আমার ত্রিনিদাদ তুমি কোথায় ?
অপরদিকে ত্রিনিদাদ এর ক্লোন টি রহস্যময় কারণে উঠে বসলো এবং নিয়তির অমোঘ আকর্ষণে রওয়ানা হলো তার মানবীর মাতৃসদন রুম এ।
তাকে নিয়ে আসছিল এথেনা ও জেরমিক্স কেননা ত্রিনিদাদ এর মৃত্যুর সময় তার শেষ যোগাযোগ ছিল নীরা ।
নীরা ত্রিনিদাদ এর হেটে আসার আওয়াজ শুনছে হৃদ্স্পন্ধন শুনছে উত্তেজনায় সে বিছানায় উঠে বসলো ।
সেই সময়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো এথেনা জেরমিক্স ত্রিনিদাদ ।
নীরা কাওকে দেখছে না শুধু ত্রিনিদাদ কে
ত্রিনিদাদ ত্রিনিদাদ তুমি এসেছ ?
(পরবর্তীতে)
Comments (9)
তোমার অপলোক চোখের এক ঐতিহাসিক নীরবতা!
চমৎকার ছবির সঙ্গে চমৎকার কবিতা।ধন্যবাদ সারোয়ার ভাই সুন্দর লেখার জন্য।শুভকামনা রইল চলার পথে।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জারিন আপু
জ্যোৎস্নার কুয়াশায় সে দিন পারিনি চিনতে তোমার ক্রোধের আলামত;
যখন কম্পন জেগে ছিলো তোমার নাভিমুলে
আমি তখন মৃত্যুর মুখে মুখতুবরে হুমরি-খেয়ে পড়েছি
পেন্ডুলামের মতো দীর্ঘ লয়ে দুলছে তো দুলছি ! ভালই বলেছেন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগলো কবিতা। শুভেচ্ছা।