Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ঢাকার বুড়িগঙ্গা ইকো পার্কে ভ্রমণ কিছুক্ষণ........

শ্যামপুর ইকোপার্ক ঘুরে এলাম আমরা তিন ভাই বোন আর সীন মীম...
১৩-০৫-২০১৪ তারিখে অফিস বন্ধ থাকার সুবাধে আমার ছোট ভাই এসেছিল বাসায় । প্ল্যান করলাম কোথাও না কোথাও ঘুরব । আশে পাশে কোন জায়গা খুঁজে না পেয়ে শেষে ইকো পার্কের কথা মনে হল । আগে কখনো যাওয়া হয়নি ।

রিক্সাওয়ালারাও চিনে না । রিক্সা করে বুড়িগঙ্গা ব্রীজের এখানে নেমে অন্য রিক্সা করে শ্যাম পুর ইকো পার্ক গিয়ে পৌছলাম । বিকেলটা ছিল মেঘাচ্ছন্ন । একটু ভয় ভয়ই লাগছিল । তবে ভালও লাগছিল কারণ রোদ বেশী হলে হয়তো বের হতেই পারতাম না । সেদিন খুব বাতাস ছিল ।

টিকেট কেটে ঢুকলাম আমরা । বাহ বেশ সুন্দর পরিবেশ । এত মানুষের ভীড় নাই শো শো বাতাস বইছে । সামনে বুড়িগঙ্গা নদী । আহারে কি রোমান্টিক মুহুর্তগুলো ছিল । রাস্তা দিয়ে সোজা হেটে আমরা ঘাটে পৌঁছালাম । গিয়ে দেখি নৌকা সারি সারি দাড়িয়ে আছে । প্রথমেই ইকো পার্ক না ঘুরে নৌকায় উঠে পড়লাম কারণ তা-সীন+তা-মীম নৌকায়ই উঠতে চাইলো প্রথম ।

বেটারা মামার সাথে হেব্বি আনন্দ পাইছে । আমরা ভয় পাই ঢেউ আসলে বেটারা ভয় পায় না তাজ্জব । যদিও কালা পানি কিন্তু এখন তো পানির মৌসুম তাই তেমন কাল আর গন্ধ ছিল না পানিতে । আধাঘন্টা ঘুরছি নৌকাতে । আর ইচ্ছেমত ছবি তুলছি।
আমার ক্যামেরা মরার শেষ প্রান্তে এসে গেছে বুঝি । বার বারই অন্ধকার স্ন্যাপ উঠে বুঝতেছি না কেন এমন হচ্ছে । আমি তাদের ছবি উঠালে সুন্দর আসে আর তারা আমার ফটো উঠালে কালো আসে কি বেসম্ভব কাজ কারবার । যাই হোক আধাঘন্টা ঘুরার মাঝেই হঠাৎ দেখি আকাশ কালো হয়ে আসছে আর জোরে বাতাস বইছে । মাঝি বলল আর ঘুরা যাবে না । ঘাটে নাও ভিড়াতে হবে । বিপদজনক মুহুর্ত । আমরা আর না করিনি । শেষ পর্যন্ত উঠে আসলাম নদী থেকে । এসে যে খানিক্ষণ ইকো পার্ক ঘুরে দেখব তা আর হয়ে উঠেনি ।

ঝড় তুফানের ভয়ে তখনই চলে আসি ।

১।বেশ প্রশস্ত রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ........
২। তা-সীন হেটে যাচ্ছে.....
৩। দু পাশে কামিনী ফুলের গাছ লাগিয়েছে । ফুল ফুটলে বেসম্ভব ভাল লাগার স্থান হবে । ঘ্রানে মাতাল করে দিবে ।
৪। ঘাটে দুইটা নৌকা.......
৫। নৌকা.....
৬। নৌকার মাথায় বসে অনেক ছবি উঠাইছি । সবারগুলো ভাল আসছে  কিন্তু আমার ছবি ভাল আসেনি ।
৭। কি ঢেউ রে বাবা উথাল পাথাল..........
৮। বেটারা মামার সাথে কি খুশি দেখেন....
৯। ইকো পার্কের একাংশ
১০। গোল ঘর আছে কতগুলো । এখানে বসতে অবশ্যই ভাল লাগবে । কারণ পাশে নদী । ঠান্ডা বাতাস মন ভাল হয়ে যাবে নিশ্চয়ই ।
১১। গোল ঘরে সুমি হেটে যাচ্ছে
১২। রাস্তার দুপাশে সাদা সাদা কাঠ বেলী ফুটে আছে........ । তখন অন্ধকার ছিল তাই ফ্লাশ পড়ে গেছে
১৩। আড্ডা চলছে.........
১৪। গোল ঘর
১৫। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গা গুলো দেখে যে কারো ভাল লেগে যাবে
১৬। বৃষ্টি.............

নৌকায় আধা ঘন্টা ঘুরলাম। আবহাওয়া খারাপের কারণে বেশীক্ষন থাকতে পারিনি। যেই না রিক্সায় উঠছি আর ঝড় শুরু। ফ্লেক্সি দোকানে অনেক্ষণ বসেছিলাম। বসে বসে আইস্ক্রিম খেলাম। বৃষ্টি থামলে বাসায় আসছি মাগরিবের আযানও পড়ছে সাথে সাথে ।

আমার ক্যামেরা নষ্ট হওয়ার পথে । ক্লিক করলে কথা শুনে না বার বার মোড চেঞ্জ হয়ে যায়...... ভিডিও অথবা প্যানারোম মোডে  অটো চলে আসে । কোন সাজেশন আছে নি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১ Likes ১০ Comments ০ Share ৯৫৭ Views