Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ধ্রুব তারা

১০ বছর আগে

ড্রোন বানাচ্ছে শাবির গবেষক দল উড়বে এপ্রিলে

মানববিহীন বিমান (ড্রোন) বানাচ্ছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল। নতুন বছরের শুরুতেই তারা ড্রোনের একটা পরীক্ষামূলক ডিজাইন তৈরি করেছেন। এখন চলছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সংযোজন। বাংলানিউজ। আগামী এপ্রিলে সিলেটের আকাশে তারা ড্রোন ওড়াবেন বলে জানিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল। তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। নাবিল ছাড়াও ড্রোন-গবেষক দলে আরও রয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রবি কর্মকার এবং দ্বিতীয় বর্ষের মারুফ হোসেন রাহাত। তারা সবাই সাস্ট রোবটিক্স অ্যারোনোটিক্স অ্যান্ড ইন্টারফেসিং রিসার্চ গ্রুপের সদস্য। নাবিল জানান, আমরা নিজেদের টাকাতেই শুরু করেছি। তবে কোনো স্পন্সর পেলে এটা আরও বড় আকারে এবং দ্রুত শেষ করা সম্ভব। স্পন্সর না পেলে স্বাভাবিকভাবে এপ্রিলেই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশে ড্রোনটি ওড়ানোর আশা করছি। নাবিল বলেন, 'এ ড্রোন দিয়ে দেশের সীমানা পাহারা দেওয়া, ওপর থেকে তাৎক্ষণিক ছবি তোলা সম্ভব হবে। এ ছাড়া আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। দেশের সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনী এটি ব্যবহার করে তাদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত কাজ করতে পারবে।' নাবিল উল্লেখ করেন, রেলে যেভাবে নাশকতা বাড়ছে তাতে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। ড্রোন দিয়ে রেললাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। অর্থাৎ রেললাইনের পাহারার কাজ করবে ড্রোন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটা ব্যবহার করে দেশের যে কোনো স্থান পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। নাবিল জানান, গত বছরের এপ্রিল থেকে তারা ড্রোন তৈরির তাত্ত্বিক কাজ শুরু করেন। এরপর চলতি বছরের শুরু থেকে মূল কাজগুলো শুরু করেছেন। আরও তিন মাস পরে ড্রোন আকাশে ওড়ানো যাবে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বিশ্বে ড্রোন একটি আলোচিত যন্ত্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন যেমন রাডার ফাঁকি দিয়ে একটি দেশের ভেতর অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারে, তেমনি দূরনিয়ন্ত্রিত এসব বিমান লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে নির্ভুলভাবে। জানা গেছে, মানুষবিহীন ড্রোনে ক্যামেরা থাকে। ওই ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহীত ভিডিওচিত্র ভূমি থেকে বিমান নিয়ন্ত্রণকারী অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। আকাশসীমায় পর্যবেক্ষণ চালানো, নিজ দেশের আকাশসীমা পাহারা দেওয়া, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, শত্রুদের বেতার ও রাডার সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটানো, আড়ি পেতে তথ্য জোগাড় থেকে শুরু করে প্রয়োজনে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে পাইলটহীন এ বিমান।এসব বিমান পাইলটবিহীন হওয়ায় যুদ্ধে পাইলটের মৃত্যুঝুঁকি থাকে না। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিমান ব্যবহার করা যায়। বিশ্বে প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া উন্নত বেশ কয়েকটি দেশ ড্রোন ব্যবহার করছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ভারত উল্লেখযোগ্য। 

০ Likes ১৭ Comments ০ Share ৪৭৪ Views

Comments (17)

  • - ঘাস ফুল

    পোষ্টটাতে আমি কোন লেখা দেখছি না। এটা কী আমার এখানে সমস্যা না ব্লগের সমস্যা বুঝতে পারছি না। 

    - ফরিদ সুমন

    পোস্টের লেখা কই?

    - ধ্রুব তারা

    লেখা কই?

    Load more comments...