ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সুগার মুক্ত রসগোল্লা রেসিপি
ইদানিং মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস রোগ এবং রোগের সচেতনতা যতই বাড়ছে, তার সাথে সাথে বাড়ছে চিনি বাদ দেওয়ার প্রবণতা। চিনি খাওয়া বাদ দেওয়া মানেই আবার মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া। কিন্তু তাই বলে কি রসগোল্লাও খাওয়া বাদ থাকবে? মোটেই না!
আপনি যে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করেন সেটা দিয়েই বাড়িতে তৈরি করে নিন চমৎকার সুগার ফ্রি রসগোল্লা। স্বাদ নেওয়াটাও হলো, স্বাস্থ্য রক্ষাটাও হলো। সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা।
উপকরণ :
– দেড় লিটার টাটকা গরুর দুধ
– ১৯ গ্রাম আর্টিফিশিয়াল সুইটনার
– লেবুর রস ২ টেবিল চামচ (দুই টেবিল চামচ পানির সাথে মেশানো)
প্রণালী :
১. দুধ ফুটিয়ে নিন, মাঝে মাঝে অল্প নাড়ুন যাতে ধরে না যায় বা সর না পড়ে। ফুটে গেলে চুল বন্ধ করে দিন এবং কয়েক মিনিট একটু ঠাণ্ডা হতে দিন।
২. ওপর থেকে অল্প অল্প করে ঢালতে থাকুন লেবুপানি এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণে দুধ কেটে না যায়।
৩. দুধটা কেটে গেলে একটা পাতলা কাপড়ে ছেঁকে নিন। পানিটা চলে গেলে ওপরে ঠাণ্ডা পানি water ঢালুন, এতে টক ভাবটা চলে যাবে। এরপর কাপড়ের কোনাগুলো একসাথে বেঁধে ভালো করে চিপে নিন। ছানাটাকে কাপড়ে বেঁধে কোথাও ঝুলিয়ে রাখুন যাতে কোনো পানি থাকলে সেটাও ঝরে যায়। এভাবে রেখে দিন আধা ঘন্টা।
৪. বড় একটা সসপ্যানে ৯ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে নিন আর্টিফিশিয়াল সুগারটা। গরম করে নিন যতক্ষণ না ভালোমত ফুটতে থাকে।
৫. আধা ঘন্টা ছানা ঝুলিয়ে রাখার পর এটাকে বের করে নিন। এটা হাতে নিলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাবে। যদি না ভাঙ্গে তবে ভেতরে এখনো পানি আছে, চিপে পানি বের করে নিন। ছানা কিছুটা ভেজা ভেজা থাকবে কিন্তু ভেতরে বেশি পানি থাকবে না। ছানাটাকে ভেঙ্গে চটকে নিন। ছানা দিয়ে ইচ্ছেমত আকৃতির কতোগুলো বল তৈরি করে নিন।
৬. আর্টিফিশিয়াল সুগারের ফুটন্ত শিরায় ফেলে দিন গোল্লাগুলোকে। ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর ঢাকনা খুলে আরও ১০ মিনিট রাখুন। এরপর গোল্লাগুলোকে সরিয়ে একটা বোলে নিয়ে নিন। শিরাটাকে আরও ৫ মিনিট ফুটিয়ে ঘন করে রসগোল্লার ওপর ঢেলে দিন।
৭. রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন অথবা খেতে পারেন গরম গরম!
Comments (2)
পড়লাম। অনেক দিন পরে আপনার গল্প পড়লাম। অনেক ভাল্লাগালো। যুগোপযোগি কাহিনি তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
একজন ধর্ষক সে কখনও ভালো স্বামী হতে পারে না। একটা মেয়ে ধর্ষিত হয়ে যখন সেই ধর্ষককেই বিয়ে করে। তখন মেয়েটি লিখিতভাবেই প্রতিনিয়তই ঐ পশুটির শিকার হয়ে যায়। তাই কেউ কোন নারীকে ধর্ষণ করলে সেই ধর্ষকের সাথে মেয়েটির বিয়ে কোন সমাধান হতে পারে না। আইনি শাস্তিই একমাত্র প্রাপ্য। বর্তমান সময়ের ভয়াবহ চিত্রটি গল্পে খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে দেশে এইসব বিষয়ে আইনি শাস্তি পাওয়া খুব বিরল। আর দিনকে দিন আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে বিষয়টা।
ভোটাইলাম :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ