Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ঠ্যাং

আফাজউদ্দিন শুয়ে শুয়ে হিসাব কষছেন। পকেটে থাকা তেত্রিশ টাকায় কালকের সকালের নাস্তাটা কিরকম হতে পারে।ঊনষাটি আফাজ, ঊনত্রিশা হালিমা আর তাদের একমাত্র কণ্যা ঊনদশা মরিয়ম। এই তিনজনের সংসার আফাজউদ্দিনের। তিনজনের তিনটা পরটা তিন পাঁচে পনের, বারো টাকার ডালভাজি আর গোটাদুই ষ্টার সিগারেট। মোটামুটি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আফাজ।

হিসাব শেষে আফাজ আরাম করে পাশ ফিরে শোয়। এবার অভ্যেসমতো কিছুক্ষণ সুখের সময়ে ঘুরে আসা যাক। আহা কি সময় ছিলো তখন! চার বিঘা ফসলি জমিন, এক বিঘার উপর বিশিল সবুজ বাড়ি, চৌছালা টিনের ঘর, ভরা গোয়াল আর বাধা কামলা হারিছ। নচ্ছর পদ্মার উদর এতটা ভুবুক্ষ হয়ে উঠেছিলো যে এক বছরের মধ্যে সব গিলে নিলো। এই পর্য্যন্ত এসেই আফাজ থামে। সুখের সময় ভাবনায় পদ্মা বড় বেমানান। তবু লক্ষীন্দরের বাসর ঘরের গোখরার মতো ফোঁস করে পদ্মা ঢুকে পড়ে তার ভাবনার জগতে। সে দেখছে পদ্মার জলে তার চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে তার টুকরো টুকরো সুখ। সে ভাবনা থামায়। তার মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে উঠে। মনে মনে পদ্মাকে চৌদ্দগুষ্ঠি সমেত কয়েকখানা রামগালি আওড়ে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে আনার বৃথা চেষ্টা করে।

হালিমা স্বামী আর নিজের মাঝখান থেকে ঘুমন্ত মেয়েটাকে একপাশে সরিয়ে স্বামীর গা ঘেঁষে শোয়। বস্তিঘরের পাতলা টিনের বেড়ার ওপাশ থেকে মিলনরত স্মামী স্ত্রীর নানা কথা আর শব্দে ততক্ষণে তার শরীরটা জেগে উঠেছে। সে আফাজের গা জাগাতে নানান কসরত করছে। কিন্তু আফাজের কোন নড়ন চড়ন নেই। একহাত কপালে অন্যহাত মাথার পিছনে ফেলে চোখ বুঁজে আছে। চোখ বুঁজে না থেকে উপায়ও নেই। এখন যে আফাজের গা যখন তখন জাগেনা। বয়স, বহুমুত্র রোগ আর চিন্তায় তার কাম প্রায় শেষ। মাঝে মধ্যে হুট হাট করে অবশ্য গা জেগে উঠে তবে তা হালিমার গা জ্বালা মিটাতে যথেষ্ট নয়। তাই সে হালিমার অস্থির সময়ে চুপ চাপ থাকে আর ভাবে, অফলা প্রথম বৌটাকে বিদায় দিয়ে সন্তানের লোভে হালিমার মতো তরুণীকে বিয়ে করা বড় বোকামি হয়েছে।

হালিমার ঘষা ঘষি আফাজের সহ্যের ছোট সীমানা ছাড়িয়ে যায়। সে হালিমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। পদ্মার উপর হওয়া রাগটা হালিমার উপর ঝাড়ে। বলে, সর কইলাম মাগী। গায়ের লগে এমন ডলাডলি করছ কিসের জইন্যে। তোর জ্বলন বেশী হইছে না?

হালিমা আফাজের এমন চেনা আচরণে কিছু মনে করেনি। আগের মতো না হলেও মোটামুটি গা গনিষ্ঠ হয়েই বলে, শুনছি ঔষধের দোকানে বলবর্ধক বড়ি পাওন যায়। এখনও তেমন রাইত হয়নি। দোকান খোলা পাইবেন। আমার কাছে কুড়ি টেকা আছে। শুনছি পঁছিশ তিরিশ টেকায় পাওন যায়।

আফাজ এবার উঠে বসে। আঁধারে দেখা যাবেনা তবু চোখ বড় বড় করে বলে, মাগী চুপ যা কইলাম। তোর জ্বলন বেশী হইলে যা রসুই ঘরতোন বাঁশ আইন্না তোর জ্বলন কমা। আমারে আর একবার বিরক্ত করছোসতো তোর ইয়ের মধ্যে চোত্যা পাতা ডইলা তোর জ্বালা মিটাইয়া দিমু। আরো কিছু কথা আফাজ বলেছে। যা শুনে হালিমা মেয়েটাকে মাঝখানে টেনে নিজেকে খাটের ওপাশে নিয়ে যায়। খানিক বাদে আফাজের মেজাজ শান্ত হয়। মাথা তুলে হালিমাকে দেখার চেষ্টা করে। আবছা বুঝা যাচ্ছে হালিমার গা কেঁপে কেঁপে উঠছে।

নিজের অক্ষমতা আড়াল করার জন্য হালিমাকে গালাগালি করে আফাজ এখন অনুতপ্ততায় ভুগছে। তার ইচ্ছে হচ্ছে বৌটাকে ডেকে কিছু মিষ্টি কথা বলে। কিন্তু অন্য ভাবনা এসে তার ইচ্ছেটা ভাসিয়ে দেয়। গেল বছর ঢাকা এসে আটশো টাকা দিয়ে এই বস্তি ঘরটা ভাড়া নেয় আফাজ। কিছু জমানো টাকা ছিলো। কি করবো কি করা যায় ভাবতে ভাবতেই মাস দুয়েকের মধ্যে তাও শেষ। তারপর কিছুদিন রিক্সা চালিয়েছিলো। এরপর পরিচয় হয় ভিক্ষুক জমিরের সাথে। তার পরামর্শেই ভিক্ষাপেশায় নেমে পড়ে মাস খানেক হলো। কিন্তু সুবিধে হচ্ছেনা। মুখভর্তি দুইরঙ্গা দাড়ী আর সুখী সুখী চেহারার আফাজ খুব বেশী ভিক্ষে পায়না, পায় উপদেশ। তাকে শুনতে হয়, মেয়া শরীরতো শক্ত সামর্থ্য, কাজ করে খান। আফাজ তখন বলতে চায়, শইল্যের উপরে ভালো দেখতেছেন সাব কিন্তু ভিতরে ঘুণে কিচ্ছু রাখেনাই। বলা হয়না, যদি কেউ বলে দেখি প্রমান দেখান। আফাজ ভাবে মনে হয় শেষ পর্য্যন্ত জমির ভিক্ষুকের কথাই মেনে নিতে হবে। এই ছাড়া উপায়ও নেই। খেয়েতো বাঁচতে হবে। বৌ মেয়ে এদেরতো আর কেউ নেই। তাদের জন্যও কিছু করে দিতে হবে। না জমির প্রস্তাবটা মন্দ দেয়নি। কাল সকালেই জমিরের সাথে দেখা করতে হবে। আফাজ এতক্ষণ ভেবেছে এবার ঘুমুতে হবে।

 

 পরদিন সকালে পরটা ডাল খেয়েই আফাজ ছুট দিলো আজিমপুর। ভাগ্য ভালো জমিরকে গিয়েই পাওয়া গেলো। জমির পান চিবোতে চিবোতে বলে বড় ভালা সিদ্ধন্ত নিছ আফাজ। এখন দেখবা দুই হাতে টাকার ছড়া ছড়ি। এই আমারে দেখ, দিনে চাইর পাঁচ ঘন্টা কাম করি তাতেই হাজার ছাড়াইয়া যায়। আমার সুবিধা অইলো দুই পাই নাই। মাইনষের মনে এখনো দরদ আছে বুইঝছ। পাঁচ দশ টেকার নীচে কেই দেয়না। আচ্ছা চলো, আর দেরী করন যাইবোনা। একটা সিএনজি ডাক দেও। মিরপুর দুয়ারী পাড়ার কথা কইও।

সিএনজি একটু এগুলো। আফাজ জমিরের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলো, তোমার বৌ পোলাপাইনের কথাতো কোনদিন কইলানা।

কি কমু কইয়া জমির আঙ্গুলের আগা থেকে জিহবার আগায় চুন টেনে নেয়। বলে, বিশ বছরের কষ্টের টেকায় সাভারে তিন কাঠা জমি কিনছিলাম। আমারো কোন ভুতে কিলাইছে ভান্জা বৌয়ের নামে জমি লইছিলাম। মাগী জমি পাইয়া আশমানে উইঠা গেছে। আমার খাইয়া চর্বি বানাইছে, হুনি হেই চর্বি অহন আমার খাটে শুইয়া অন্য পুরুষরে দিয়া কমায়। আমার হাতে অহনও ধরা পড়ে নাই। যেদিন পড়বো হেদিন লাইথ্যাইয়া বাইর কইর দিমু।

আফাজ জমিরের কথা শুনে হাসে, দেখে হাঁটুর উপর কাটা জমিরের পদযুগল। বলে, আমরা কি অহন হাসপাতাল যাইতাছি?

জমির অবাক হয়ে আফাজের দিকে তাকায়। বলে, অত সহজনা দোস্ত। অহন বসের কাছে যামু। বসই সব ব্যাবস্তা করবো।

দরজায় ঠক ঠক শব্দে বিরক্ত হয় রশিদ। অনেক যত্ন করে সাজানো কলকেটায় আগুন দিতে যাবে এসময় আবার কে আসলো? বড় অনিচ্ছায় সে দরজা খোলে। জমিরকে দেখে তার বিরক্তি ভাব কেটে যায়। জমির বিয়ারিং এর গাড়ীটা ঠেলে ভিতরে ডুকে পিছন পিছন আফাজ।

রশিদ কলকেতে আগুনের চেক দিতে দিতে বলে, কও জমির কি কারনে আইছ।

জমির আফাজকে দেখিয়ে বলে, আমার দোস্ত। বড় কষ্টে আছে বৌ মাইয়া নিয়া। আমি সব কইছি হেরে। এহন আপনি যদি একটা ব্যাবস্তা করেন বস্।  

রশিদ কলকেতে টান দেয়। মুখ ভর্তি ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে বলে, কোনটা? উপরে না নীচে? একটা না দুইটা?

জমির বলে, বস্ নীচে একটা।

রশিদ এবার আফাজের দিকে তাকায়। বলে, অহন এগুলানে ঝামেলা বেশী, খরচও বেশী। তারপরও আমি কইরা দিমু। আমারে দিন তিনশ কইরা বছর তিনেক দিতে অইবো।

জমির বলে, কোন অসুবিধা অইবোনা বস্। আপনি শুধু কামটা কইরা দেন।

রশিদ বলে, কাল সকালে নিয়া যাইও। আমি থাকমুনি অইহানে। আফাজের দিকে তাকিয়ে বলে, এটা ধরেন চাচা। এইহানে পাঁচ হাজার টেকা আছে। কয়েকদিন হাসপাতাল থাকন লাগতে পারে। ঘরে কেনাকাটা কইরা দিয়েন।

 

 

 আজ রাতটা আফাজের বেশ ভালোই কেটেছে। সবাই মিলে হোটেল থেকে কিনে আনা বিরিয়ানি খেয়েছে পেট ভরে। বল বর্ধক বড়ির গুণেই কিনা হালিমাকেও তৃপ্ত করতে পেরেছে। চনমনে ভাব নিয়ে সে ঘুমতে যায় এবং ঘুমও এসে যায়। পরদিন সকালে চার হাজার টাকা হালিমার হাতে দিয়ে বলে, আমি দিন দশেকের জন্য এক জাগায় যাইতেছি। খরছ কইরো। আমার জন্য চিন্তা কইরোনা, মরিয়মরে দেইখা রাইখো।

আফাজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বিকেলে। রাতেই তার বা পাটা হাঁটুর একটু উপরে কেটে ফেলা হয়। শেষে অবশ্য সে একটু ভয় পেয়েছিলো। এ্যানেসথেসিয়ার সময় বার বার বলেছে, ডাক্তার সাব আমার খালি একটা ঠ্যাংই কাইটেন। আল্লার দোহাই ডাক্তার সাব দুই ঠ্যাং কাইটেননা। এর অল্প সময় পরে সে অচেতন হয়ে যায়। অচেতন হওয়ার সময় সে একটা মধুর স্বপ্ন দেখেছে। রাস্তার সিগন্যালে শত শত গাড়ী। সে ক্রাচে ভর দিয়ে একেকটা গাড়ীর কাছে এগিয়ে যাচ্ছে আর সবাই গাড়ীর ভিতর থেকে টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছে, শত শত টকা।

পা কাটার পনেরদিন পর আফাজকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলো। জমির এবং রশিদ এসেছে তাকে নিতে। রশিদ তার হাতে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বললো, কয়দিন বিশ্রাম করেন। আপনার জন্য শাহ্ আলীর মাজারের সামনে ব্যাবস্থা হইছে।

হাসপাতাল থেকে বের হয়েই বৃষ্টির কবলে পড়ে আফাজ। বৃষ্টির মধ্যেই সে একটা রিক্সায় চেপে বসে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। সে বাজারে গিয়ে এক জোড়া ইলিশ আর কচুর লতা নিয়ে বস্তির দিকে রওয়ানা হয়। বহুদিন ইলিশ খাওয়া হয়না। ভাবতেই তার জিবে জল এসে যায়। রাস্তায় পানি জমে গেছে। বস্তিতে ফিরতে রাত আটটা বেজে যায়। অনভ্যস্ততায় ক্রাচে হাঁটতে তার সমস্যা হচ্ছে। তবে তার পা কাটার জন্য কোন আফসুস নেই। দুইদিন পরতো এম্নিতেই মরে যাবো। একটা পা থাকলেও কি না থাকলে কি। এই যুক্তি তাকে নির্ভার রেখেছে।

তুমুল বৃষ্টির মধ্যে আফাজ ঘরের সামনে দাঁড়ায়। ঘরের ভিতর আলো জ্বলছে। হাসি শোনা যাচ্ছে হালিমার। আরো একটি হাসি তাকে চিন্তায় ফেলে দেয়। পুরুষ মানুষ কেন তার ঘরে? সে উঁকি দেয়। একপাশে মরিয়ম ঘুমিয়ে আছে। হালিমা পুরুষটিকে অসভ্যরকম ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে। পুরুষটিকে সে চেনে। তার এক সময়কার বাধা গোলাম হারিছ। আফাজ নির্ভাক হয়ে যায়। তার একমাত্র পা'টা অবশ হয়ে গেছে। তার নড়ার শক্তি নেই। সে দরজার ফাঁক দিয়ে মরিয়মকে আরেকবার দেখে। মেয়েটার চুলকি কোকড়া? হ্যা কোকড়াইতো। আফাজ নিজের মাথায় হাত বুলায়। তার চুলতো কোকড়া না।  

ক্রাচে ভর দিয়ে আফাজ বড় রাস্তায় নেমে আসে। রাস্তায় কোমর সমান জল জমে গেছে। রাতের শহুরে আলোয় দুর থেকে মনে হচ্ছে, আফাজ জলের উপর বসে আছে, জল আফাজকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।  

১ Likes ২২ Comments ০ Share ৬৬৯ Views

Comments (22)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    পোস্টের জণ্য অনেক ধন্যবাদ। বেশ তথ্য বহুল পোস্ট। অনেকেরই সেটা কাজে লাগবে।

     

    • - মোঃ জাকারিয়া জামান

      সময় করে পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

    - লুব্ধক রয়

    আমাদের মনে রাখতে হবে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা কোন একক দেশের তৈরি নয় বিধায় এই সমস্যা সমাধানে সব দেশকে এগিয়ে আসতে হবে। যদিও এটা একটা চ্যালেঞ্জ তারপরেও পরিবর্তিত পরিস্থিতির ঝুকি মোকাবেলায় সবার যুগপৎ চেষ্টায় সফল হওয়া সম্ভব। ঝুকি মোকাবেলা করে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিভিন্ন সামাজিক সাফাল্য ধরে রাখতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন ফোরামে উপস্থিত থেকে আরো সোচ্চার ভূমিকা নিতে হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলির খেয়ালীআচরণের শিকার আমরা। উন্নয়ন সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ধনী দেশগুলির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যাপারে কৌশলী হতে হবে। অর্থ ব্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নিজেদের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে বলে আমি মনে করি।

     

    ধন্যবাদ আপনাকে।

    • - মোঃ জাকারিয়া জামান

      প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরিতে রিপ্লাই দেয়ার জন্য। ব্লগে সহজে ঢোকা যাচ্ছেনা।

      সময় করে পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

    - ঘাস ফুল

    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশ যে সব সমস্যার সম্মুখীন হবে, সেটার ওপর আগে থেকেই গবেষণা শুরু করে দিতে হবে এবং এই সব সমস্যা কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা নিয়েও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শ মোতাবেক আগেই থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এমন সব অঞ্চলের মানুষকে সজাগ করে তোলা উচিৎ। যাতে করে তারা সময় মতো আকস্মিকতার শিকার না হয়। আন্তর্জাতিক ভাবে অবশ্যই প্রতিটি দেশকে বিশেষ করে যারা এই সমস্যার শিকার হবেন তাদের সকলকে এক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হতে হবে। ধরে নিলাম আন্তর্জাতিক কোন তহবিল পাওয়া যাবে না। সেই ক্ষেত্রে কী দেশের সরকার চুপচাপ বসে থেকে মানুষের দুরাবস্থা দেখে যাবে? অবশ্যই তা হওয়া উচিৎ না। আর তাই আমাদের দেশে সরকারেরও উচিৎ নিজস্ব একটা পরিকল্পনা এখনই গ্রহণ করা। একটা ব্যাপার মনে রাখা উচিৎ, সব দেশই অনুদান সহজেই পেতে যায়, কিন্তু কেউ সহজে দিতে চায় না। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটা জামান ভাই। ধন্যবাদ।  

    • - মোঃ জাকারিয়া জামান

      আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। বাইরের সাহায্যের অপেক্ষায় না থেকে আমাদেরকে তৈরি হতে হবে। নিজে সচেতন হয়ে অন্যকেও সচেতন করতে হবে। প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্য জলবায়ুর ব্যাপারটি বুঝা কষ্টকর হবে এই চিন্তা মাথায় রেখে আমাদের সুনামগঞ্জের প্রায় ৫০ স্কুল ও কলেজের ১৫,০০০ শিক্ষার্থীদের সচেতন করার একটা প্রজেক্ট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন থেকে এই ব্যাপারে কোন ধরনের সাহায্য পাইনি। কিন্তু দমে যাইনি যেকোনো মুল্যে এটি বাস্তবায়ন করব, ইনশাল্লাহ।