ছেলে টা প্রায় প্রতিদিন এ রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে, অপেক্ষা করতে তার ভালোই লাগে। অপেক্ষা আসলেই মধুর যদি সেই অপেক্ষা টি হয় প্রিয় মানুষের জন্য।
কিন্তু মেয়েটা কখনো তাকায় আবার কখনো তাকায় না । তাই ছেলেটা প্রায়ই ভাবে যে সে কিভাবে মেয়ে টা কে ইমপ্রেস করতে পারবে।
এমন ঘটনা আমরা প্রায় ই জানি... প্রায় এ দেখি। কিন্তু এই ইমপ্রেস করার ব্যাপার টা কি? কাউকে ইমপ্রেস করতে হবে কেন? একটা মানুষ স্বাভাবিক ভাবে যেমন ঠিক সেভাবেই তো তার প্রিয় মানুষের সামনে থাকা উচিৎ নয় কি?
যাই হোক... মূল গল্পে ফিরে যাই আবার।
ছেলেটা একদিন বিকেলে ঠিক একই রাস্তায় গীটার নিয়ে বসে থাকে। তার বন্ধুদের সাথে প্রায় ই সে গীটার বাজায় আর গান গায়। মেয়ে টা তখন খেয়াল করে তাকে, এতদিন ধরে সে দেখেছে একটা ছেলে প্রায় ই দাড়ায়ে থাকে তার আসা যাওয়ার রাস্তায়। কিন্তু এইবার একটু ভিন্ন ভাবে দেখল, যখন তার গান শুনল আসা যাওয়ার পথে, বেশ ভালোই লাগলো মেয়ে টার। সে একদিন থেমে যায়, দাড়িয়ে ছেলেটার গান শুনে, তার সাথে কথা বলে। ছেলেটা তো স্বাভাবিক ভাবেই খুব খুশি ।
হুম...কারো শুধু মাত্র একটা গুন দেখে তাকে ভালো লেগে যেতেই পারে। কিন্তু সেই ভালো লাগা টুকু যেন অন্য কোন দিকে মোড় না নেয়, সেই ব্যাপার টা একটু খেয়াল রাখাই ভালো। কারন একজন মানুষ অসাধারন ছবি আঁকে, অসাধারন লিখে অথবা অসাধারন গান গায়, গীটার বাজায়, তার মানে কিন্তু যে সেই মানুষ টা অসাধারন ভালো একজন মানুষ। বরং তাকে বুঝার চেষ্টা করুন , এমন কি কেউ যদি আপনার নির্দিষ্ট কোন গুনের জন্য আপনাকে পছন্দ করে তবে তার ব্যাপারেও একটু ভেবে দেখুন।
আবারো মূল গল্পে ফিরে যাই...... ছেলেটা এখন প্রায় ই মেয়ে তাকে গীটার বাজিয়ে গান গেয়ে শোনায়। পার্কে, রেস্তরায় এমন বিভিন্ন যায়গায়। মেয়ে টা ধীরে ধীরে ছেলে টার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, মেয়ে টা জানেও না ছেলে টা কি করে কথায় পড়ে, ছেলে টার বন্ধু রা কেমন, একদম কিছুই না। তাদের ইদানিং আবার ফোনে কথা হয়, ছেলে টা ফোনেও গান শুনায় মেয়ে টা কে। এভাবে করে একদিন তাদের মাঝে সম্পর্ক টা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। সম্পর্কে জড়িয়ে পরেই মেয়ে টা জানতে পারে যে ছেলে টা নেশা করে। ঠিক এভাবেই হঠাৎ করেই মেয়ে টা বুঝতে পারে যে সে একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ততদিনে সে অনেক দেরি করে ফেলেছে। মেয়ে টি সম্পর্ক টি ভেঙ্গে দিতে চাইলে ছেলেটা তাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে, তাই আর মেয়ে টা ছেলে টা কে ছেড়ে যেতে পারেনা। তার পরের ঘটনা আমার জানা নাই... আপনাদের উপরে ছেড়ে দিলাম। আপনারা নিজের মত করে চিন্তা করে গল্পের পরিসমাপ্তি আনতে পারেন।
তবে,
এভাবেই না বুঝে , ঝোঁকের বশে অনেকে অনেক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া উচিৎ না। জীবন কোন মুভির দৃশ্য না যেখানে সব শেষে ছেলেটা ভালো হয়ে যায় এবং একটা হ্যাপি ইন্ডিং হয়। জীবনে হ্যাপি ইন্ডিং পেতে হলে অনেক ভেবে চিনতে সিদ্ধান্তে আসতে হয়। একটা মানুষ কে ভালো ভাবে বুঝে তারপরেই তার সাথে সম্পর্কে জড়াবেন। নয়ত গল্পের মেয়ে টার মত একটা অসহনীয় কষ্টে জড়িয়ে যেতে পারেন, আর খুব বেশি কিছু লিখবনা। ইদানিং খুব বেশি উপদেশ কপচানো শুরু হইসে আমার। এইটা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু পারিনা, কিছু সাময়িক ভুল মানুষ কে অনেক কষ্ট দেয়, এগুলো আমার ভালো লাগেনা। আমি চাই সবাই সুখে থাকুক শান্তি তে থাকুক।
Comments (5)
আমি আগে ভাবতাম হাঁটা বাবা বুঝি মোষারফ করিমেরই নাটকের একটি চরিত্র। আপনার লেখায় নতুন খবর জানলাম।
হাঁটা বাবার আত্মার মাফফেরাত কামনা করি।