Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

জামাত বর্তমান বিতর্ক ও বাস্তবতা

 

 জামাত  বর্তমান বিতর্ক  ও বাস্তবতা

 

>> ৭১ এর ভূমিকার জন্য জামাত খারাপ,এ কথা কে বলে?

>আপাময় জনগণ।


 

>>জামাতি সব প্রতিষ্ঠানের লিস্ট ও নাম উল্লেখ করে কে বলেছে , জামাতি কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোন লেন দেন করা ও যাওয়া যাবে না?

>গণজাগরণমঞ্চ। 

>> বর্তমানে জাতিয় সংগীত গাওয়া অনুষ্ঠানের জন্য জামাতি ব্যাংক এর অনুদান কে গ্রহণ করেছে।

>স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির চিফ।

>> জামাতের টাকা নেওয়া হয়েছে, কে বলেছে?

>মাননীয় মন্ত্রী ইনু সাব

>> টাকা গ্রহণ করা হয় নি, কে বলেছে?

>মাননীয় মন্ত্রী নুর সাব

>> ব্যাংক এসোসিয়েশনের টাকা গ্রহণ করা হয়েছে, ইসলামি ব্যাংকের নয়। কে বলেছে?

>উপদেষ্টা টি ইমাম।

>> আমরা এই অনুষ্ঠান হতে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলাম, কাদের উক্তি?

>উদিচি শিল্প গোষ্ঠী।

কয়েকদিন হতে এই সব নাটক বেশ যমে উঠেছে।

এই সব প্রশ্নের উত্তর দেখে মনে হচ্ছে সব ভাল কথা। সব ভাল খবর। তবে মনে >>কিছু প্রশ্নেরও উদয় হয়েছে। এই সব উত্তর আমি খুজে মরছি।

 

সবার এক কথা। জামাতি ব্যাংকের টাকা নেওয়া যাবে না। ভাল কথা। তো এই ব্যাংকে টাকা রাখে কে। এর এই ৩ কোটি টাকা জামাত ব্যাংক কি নিজেদের পকেট হতে দিয়েছে না ব্যাংক ব্যবসা করে লাভ হতে দিয়েছে। তাহলে এই ব্যাংকে আমার আপনার মত লোক দেখি টাকা রাখে।

ওমা সব শালা দেখি রাজাকারের বাচ্চা।( কেন ভুলে গেলেন > ই- তে ইসলামি ব্যাংক , তুই রাজাকার তুই রাজাকার)

ইসলামি ব্যাংক যদি রাজাকার হয় তাহলে এতে যারা টাকা রাখে তারাও রাজাকার। ওমা দেশের মানুষের বড় একটা অংশ শালা রাজাকারের বাচ্চা।

কারণ , ইসলামি ব্যাংক মুনাফার দিক হতে বাংলাদেশে ৩য় নম্বররে। মানুষ টাকা রাখে বলেই না জামাতি এই ব্যাংক লাভ করতে পারে?????

>> সাহাবাগের গণজাগরণ মঞ্চের   নব্য ২য় প্রজন্মের মুক্তি যোদ্ধারা জামাত শিবির পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে   সাধারণ জনগণকে এই সব প্রতিষ্ঠানে না যাবার এবং এদের সঙ্গে লেনদেন না করার জন্য কত আবেদন নিবেদন করেছিল।

>মানুষ কি এদের আবেদনে সাড়া দিয়েছিল?

>এক কথায় উত্তর না।

 

 

ভাল কথা আমরা জামাত শিবিরের পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানে যাব না। এই জন্য আপনাদের মানুষের কাছে বিকল্প প্রতিষ্ঠানের নাম তো দিতে হবে। তা না দিয়ে ব্যা ব্যা করলে সাধারণ মানুষ কি তা শুনবে । সাধারণ মানুষ এদের ব্যা ব্যা না শুনার  কারন গুলি আমি নিচে এক এক করে বর্ণনা করছি।

@@  চিত্রঃ ইসলাম ধর্মে সুদ সম্পূর্ণ হারাম। ৮৫% মুসলিম দেশে সরকারীভাবে নেই একটা ইসলামি ব্যাংক। ফলে ইসলামি ব্যাংক এদেশে এখন এমনই জনপ্রিয় যে এদের মুনাফার রেটিং দেখলেই আপনারা বুজতে পারবেন।

ফলে সেই থানা শহুরের প্রত্যান্ত গ্রামের এক দাড়িওয়ালা ধর্ম-কর্ম পালন করে এবং প্রতি শুক্রবার গ্রামের মসজীদের স্বল্প শিক্ষিত(—আমাদের মত জেনারেল শিক্ষিতদের মতে)  ঈমাম খুদবার আগে বিভিন্ন আলোচনার আগে সুদ হারাম এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন কোরআন হাদিস মতে। ঐ দাড়িওয়ালা বা গ্রামের ধর্ম কর্ম করা মানুষ গুলি কি ভুলেও তাদের টাকা কোন সুদী ব্যাংকে রাখবে?

হাতের কাছে থানা শহরে একটু দূরে হলেও তাদের টাকা ইসলামি ব্যাংকে রেখে আসবে জমা। 

 

ঐ গ্রামের লোকদের কথা নাই বাদই দিলাম। আপনার বুকে হাত দিয়ে বলেন তো আপনারা পরকালের ভয়ে কোন ব্যাংকে টাকা রাখবেন?

>> যেই দল করেন না কেন পরকালের ভয় সবার আছে, বুজলেন ভাই।  

 

     

 

@@  চিত্রঃ আমি যেহেতু রাজশাহীতে থেকেছি সেহেতু রাজশাহীর কথায় বলি।

ধরুন গ্রামের কোন মোটা মুটি আধা স্বচ্ছল পরিবারের আপনার গ্রামের এক ছোট ভাই গ্রামের স্কুল হতে SSC  এবং  HSC তে  গোল্ডেন A+ পেয়ে পাশ করেছে। আপনার চাচা ওকে রাজশাহীতে কোচিং করতে পাঠিয়েছে। ওদের ইচ্ছে ওকে ডাক্তারি পড়াবার। তো আপনি এখন কোন কোচিং এ ভর্তি করবেন তাকে , আপনার মতে মেডিকেল ভর্তির সবচেয়ে ভাল কোচিং কোনটি?

নিঃসন্দেহে শিবিরের পরিচালিত রেটিনা কোচিং।

>> নিজের ভালটা না কি পাগলও বুজে।

 

আপনারা জামাতি ইসলামি ব্যাংকে চিকিৎসা সেবা নিবেন না, খুব ভাল কথা। আপনাদের টাকা আছে আপনারা অ্যাপোলো, স্কয়ার ...... কেও কেও হরদম রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে বা নিজের টাকায় সপ্তাহ সপ্তাহ সিঙ্গাপুর দৌড়ান। গ্রামের অল্প আয়ের মানুষরা কোথায় যাবে।

>কেন সরকারি থানা হাসপাতালে। ওমা বলে কি!

এই সব থানা হাসপাতালে নেই কোন ভাল ডাক্তার। আছে বলতে সিনিয়র কিছু  নার্স। যে ২-৩ জন ডাক্তার থাকে তারা বুধবার হলেই ছোটেন জেলা না হয় বিভাগীয় শহরে। কারণ বৌ বাচ্চা যে থাকে শহরে, আর নামি ক্লিনিকে ৪ দিন রোগী দেখার চেম্বার। তা হলে সাধারন মানুষের  দৌড়াতে হয় শহরের ক্লিনিকে বা হাসপাতালে। বিভাগীয় শহরের সরকারি হাসপাতালে যাবেন? প্রধান ডাক্তারদের দেখা পাওয়া ভার। ( এই সিস্টেমের একটু পরিবর্তন পেয়েছিলাম ফকরুল সরকার আমলে)

তাহলে পর ওদের দেখাতে হলে ছুটতে হবে ক্লিনিকে। তো ৫০০ টাকা ফি দিয়ে আবার এই টেস্ট সেই টেস্ট করার অত টাকা একটা গ্রামের রোগী পাবে কই।  

 

 

@@ চিত্রঃ গ্রামের খুব গরীব এক লোক আপনার কাছে চিকিৎসা করতে এসেছে।  অন্য কোথাও বা অন্য কোন ক্লিনিকে ওকে ডাক্তার দেখালেন। ডাক্তার লাগুক আর না লাগুক একগদা টেস্ট দিয়েছে। রুগী কোন মতে ডাক্তারের ফি টা দিতে পেরেছে। এবার ওর টেস্টে করতে হলে আপনার পকেট হতে কিছু টাকা দিতে হবে।

আর আপনি জানেন ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে যে কোন পরীক্ষায় ২৫% ছাড়। ওদের সেবার মানও ভাল।

আপনি টেস্ট গুলি কোথায় করাবেন?

আমি রাজশাহীতে সব সময় তা করাতাম কোথায় জানেন, ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে। কারন প্রতি সপ্তাহে কেও না কেও আসত এলাকা হতে। ওদের কম খরচের দিকে তো আমাকেই তাকাতে হবে না কি?

>>> কম খরচে ভাল সেবা যেখানে পাবেন আপনি আলিগ-বিনপি যাই করেন কোথায় যাবেন ভাই।

 

 

@@  চিত্রঃ রাজশাহীর যে কোন শিবির পরিচালিত কোচিং এ আপনি যে কোন গরিব ছাত্রকে বিনা ফিতে বা অর্ধেক ফিতে কোচিং করাতে পারবেন। শুধু যে কোন শিবির বা জামাত নেতার একটা সুপারিশ আপনার লাগবে বা একটা ফোন।

 

   

তো এই এত সব বললাম কারণ আপনাদের চিল্লানি সাধারন মানুষ সুনবে না কারণ আপনাদের আছে শুধু চিল্লানি নেই পথ নির্দেশের কোন প্রতিষ্ঠান। তাই জত যাই বলেন মানুষ জামাতকে ভাল বাসুক আর নাই বাসুক জামাতি প্রতিষ্ঠানকে ভাল বাসে। এই হল মদ্দা কথা। কারণ তাদের সামনে নেই কোন বিকল্প। আর এই সব প্রতিষ্ঠানের কাছ হতে সুবিধা নিয়ে তারা যদি ঐ সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি বা এদের পরিচালক জামাতের প্রতি একটু সহানুভূতি দেখায় এটা কি কৃতঞতা বলা হবে না জামাত প্রিতি বলা হবে এ প্রশ্ন আপনাদের কাছে???????????????????   

০ Likes ০ Comments ০ Share ৩৩৬ Views

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    দাদা

    কষ্টে পড়লাম কারণ লেখাগুলো ছোটছিল

    তবে বেশ ভাল লাগল

    • - সৌরভ শাওন

      কষ্ট করে পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরেরবার বড় করে লেখার কথা দিয়ে গেলাম।

      ভালো থাকবেন।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    আপনার শব্দ ভান্ডার ভাল। বেশ সমৃদ্ধ। গল্প বর্ণনার ধরণটাও বেশ ভালো। কিছু কিছু যায়গায় শব্দ বৃত্তের বাইরে চলে গেছে।

    কিন্তু গল্পে তৃতীয় প্যরার পর গল্পটা আসলে হারিয়ে গেছে। পাঠক গতিহারা হয়ে গেছে। এইরকম ভাল শব্দ যার হাতে আছে তার পথ হারা হওয়াটা ঠিক না।

    সুচনা ভাল হয়েছে বলা যায়। আশাকরছি নক্ষত্র আপনার কাছ থেকে ভাল কিছু লেখা পাবে।

    • - সৌরভ শাওন

      নক্ষত্রে রেজিস্টার করেই কিছু একটা লেখার তাগিদ অনুভব করি। একনাগাড়ে মনের কথাগুলো টুকে ফেলি। তাতে বোধহয় গল্প খেই হারিয়ে ফেলেছে।

      পরের বার গল্প গতিসূত্রে নিজেকে আবদ্ধ রাখবে বলে বিশ্বাস করি। শব্দগুলোকেও বৃত্তবন্দী করার চেষ্টা থাকবে।

      নক্ষত্রকে ভালো কিছু দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম।

      আর সময় করে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ব্লগার। শুভকামনা রইলো।

    - নুসরাত জাহান আজমী

    দারুন কিছু শব্দ নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছিল একটা সুন্দর গল্প। তবে পাশা ভাইয়ার সাথে আমিও একমত, তৃতীয় প্যরার পর গল্পটা আসলে হারিয়ে গেছে। 
    আমার কাছে তো মনে হল, প্রথম তিন প্যারা একটা গল্প, পরের তিন প্যারা একটা গল্প। যাই হোক, শুরুটা বেশ ভালো করেছেন। পরবর্তীতে খুব ভালো গল্প পাচ্ছি বুঝা যাচ্ছে। ভালো থাকুন। 
    বেশি উপদেশ দিয়া ফেললে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন। কারন আমিও তেমন কিছু জানিনা। শিখতেসি কেবল।
    নক্ষত্র ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

    • - নুসরাত জাহান আজমী

      খাইচে... উক্কে, আইসেন... নো সমস্যা...

    Load more comments...