প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সংবাদ বিশ্লেষক গিয়াস কামাল চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছেন।ইন্না লিল্লাহে......রাজেউন দীর্ঘদিন রোগে ভোগের পর আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা দিকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি ২০১১ সালে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন যা তাঁর স্মৃতিশক্তি ও স্বাভাবিক জীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মৃত্যুৃকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর।
গিয়াস কামালের পৈত্রিক নিবাস ফেনী সদর উপজেলার শর্শদীতে হলেও তার জন্ম ১৯৩৯ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রামে। প্রাবন্ধিক মোতাহার হোসেন চৌধুরী ছিলেন তার চাচা। তার মা মুনীর আখতার খাতুন চৌধুরাণী ছিলেন কবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি নেয়ার পর সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করেন গিয়াস কামাল। ১৯৬৪ সালে ইত্তেফাক গ্রুপ থেকে প্রকাশিত 'ঢাকা টাইমস' পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। পরে ইংরেজি দৈনিক মর্নিং নিউজে কাজ করেন। স্বাধীনতার পর বাসসে যোগ দেন তিনি। শেষ জীবনে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
পেশায় সাংবাদিক হলেও গিয়াস কামাল চৌধুরী মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পকিস্তান আমলে গণতান্ত্রিক ও স্বায়ত্তশাসন অন্দোলনে অংশ নিয়ে বহুবার কারাবরণ করেন। তিনি ভয়েস অব আমেরিকার ঢাকা সংবাদদাতা হিসেবে বাংলাদেশে গ্রামে-গঞ্জে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা হিসেবেই তাকে বেশি চেনেন দেশবাসী। তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক মেয়াদে ডিইউজে, বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গিয়াস কামাল চৌধুরী বাংলাদেশের একজন কূটনীতিক হিসাবে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
গণমাধ্যম জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
Comments (0)
পৃথিবী একজন গুনী মানুষকে হারাল