দুপুরে ঘুম থেকে উঠেই দেখি নীলদা দুইবার ফোন দিয়েছেন। সাথে সাথে ফোন ব্যাক না করে মুখ চোখ ধুয়ে ঘুম তাড়িয়ে ফোন ব্যাক করলাম।
-দাদা ফোন দিয়েছিলেন?
-হ্যাঁ।
-হুম বলেন।
-একটা দায়িত্ব নাও না।
-দায়িত্ব?
-হ্যাঁ। নক্ষত্র ব্লগে এখন তো অনেক ব্লগার।
-হুম।
-তুমি তাদের জন্মদিনের একটা লিস্ট কর।
আমি বললাম, উকে।
সেজন্যেই এই পোস্ট। প্রিয় ব্লগবাসী ব্লগারগণ আপনারা আপনাদের জন্ম তারিখটি কমেন্টে দিয়ে আমাকে হেল্প করুন। সবাইকে আগাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
Comments (76)
বাবলা ভাইকে দেখে আমি আক্ষরিক অর্থেই আনন্দিত। এক রাশ ভালো লাগা রইল। নক্ষত্র ব্লগে স্বাগতম।
পোষ্ট নিয়ে মন্তব্য করছি
বাবলা ভাইকে দেখে আমি আক্ষরিক অর্থেই আনন্দিত। এক রাশ ভালো লাগা রইল।
প্রিয় নীলদা,
প্রিয় মানুষগুলোকে ছাড়া থাকা যায় না বাঁচা যায় না। আপনার জন্য শুভেচ্ছা।
শ্রদ্ধা জানবেন।
স্বাগতম বাবলা ভাই। নক্ষত্রব্লগে আরেক নক্ষত্রের আগমনে মারাত্মক খুশি হলাম। প্রথম পোস্টের জন্য অভিনন্দন।
মৃণালিনী দেবির এই আত্মত্যাগের কথা জানা ছিল না বাবলা ভাই। পাত্রী হিসাবে রবি ঠাকুরের উপযুক্ত না হয়েও রবি ঠাকুরের সহধর্মিণী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। দেহের সৌন্দর্য আর শিক্ষার আলো ছাড়াই নিজ কৃতকর্মের দ্বারা এক সময় ঠিকই মৃণালিনী দেবী রবি ঠাকুরের উপযুক্ত হয়েছেন বটে। কিন্তু ইতিহাস তাকে স্বীকৃতি দেয় নাই দেখে খুব খারাপ লাগলো। মৃণালিনী দেবি নিজের গয়না গাঁটি বিক্রি না করলে, আজকের শান্তিনিকেতন হত কিনা জানি না। কিন্তু তারপরও কেন তাঁকে স্বীকৃতি দেয়া হল না সেটা নিয়ে ভাবতে গেলে অনেক কিছুই ভাবা যায়। ব্যাপারটা এমনও হতে পারে রবি ঠাকুর তার জীবনীতে মৃণালিনী দেবী সম্বন্ধে খুব কমই লিখেছেন বা শান্তি নিকেতনে মৃণালিনী দেবির দানের কথাও উনি হয়তো খুব একটা ঘটা করে কোথায় উল্লেখ করেন নাই, তাই হয়তো ব্যাপারটা নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায় নাই। আবার হতে পারে, মৃণালিনী দেবী রবি ঠাকুরের ঠিক উপযুক্ত ছিল না বলে, তাঁকে রবি ঠাকুরের সাথে সবায় খুব একটা জড়াতে চায় নাই। কারণ বিশ্ব কবির বউ তো এমন হতে পারে না। মানুষের মধ্যে হয়তো এই ধারণাটাও কাজ করে থাকতে পারে। বিয়েটা বাল্য বিবাহের মতো ছিল বলেই অনেকে এড়িয়ে যেতে পারেন। কারণ রবি ঠাকুরকে বাল্য বিবাহে মানায় না। মৃণালিনী দেবীদের আর্থিক সঙ্গতিও খুব একটা ভালো ছিল না। এটাও ক্ষুদ্র একটা কারণ হতে পারে। আর সর্বশেষ কারণ হতে পারে, মৃণালিনী দেবীর জন্ম স্থান বাংলাদেশে। কি দরকার অন্য দেশের কাউকে প্রমিনেন্ট করা। এগুলো সব নিজস্ব চিন্তা ভাবনা। কিন্তু আসল কারণ কি সেটা আমার নিজেরও জানতে ইচ্ছে করে। রবি ঠাকুর এবং মৃণালিনী দেবী সম্বন্ধে কিছু অজানা জিনিস জানলাম আপনার এই পোস্টের কল্যাণে। ধন্যবাদ বাবলা ভাই। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিবেন।
প্রিয় ঘাসফুল,
আগে আন্তরিক মন্তব্য দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার সংগ ছাড়া নিজের লেখাকে পরিপূর্ণ মনে হয় না। আপনি কাউকে খুশী করার জন্য কোন মন্তব্য করেন না বলেই আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বোধ।
শ্রদ্ধা জানবেন।
শুভেচ্ছা বাবলা ভাই। আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিয়ের ইতিহাস পুরোটা জানি।
আজকে এই পোষ্ট পড়ে জানলাম শান্তিনিকেতনের বিদ্যালয়টির বিষয়ে উনার অবদান।
খুব ব্যথিত হলাম জেনে যে বাংলাদেশের যশোরের সেই দরিদ্র পরিবারের অল্পশিক্ষিত সাদামাটা মৃণালিনীর আর্থিক, শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা র পরেও উনার অবদানের কিছুই উল্লেখ নেই জেনে বিস্ময় বোধ করছি। সঙ্গে বেদনা -
আপনার জন্য শুভকামনা এই পোষ্টের জন্য!
খুব ব্যথিত হলাম জেনে যে বাংলাদেশের যশোরের সেই দরিদ্র পরিবারের অল্পশিক্ষিত সাদামাটা মৃণালিনীর আর্থিক, শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা র পরেও উনার অবদানের কিছুই উল্লেখ নেই জেনে বিস্ময় বোধ করছি।
প্রিয় নীলদা,
বিষয়টি যথার্থ বলেছেন। ইতিহাস লেখার কাজ কবিগুরুর ছিলনা। তিনি বাঙালীজাতির সংস্কৃতিতে যে কোন যুগের সাথে তালমিলিয়ে চলার জন্য এ প্রতিষ্ঠান গড়ে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। বাকী কাজ ছিলো ইতিহাসবেত্তাদের তাঁরা কী কারণে যেন মৃণালিনী অধ্যায়টি বাদ দিয়ে গেলেন ঠিক বুঝতে পারিনি। বর্তমানে ভারতে মৃণালিনীর উপর প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। আগামীতে আরো অনেক তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার আশা রাখি।
আপনার জন্য অবিরাম শুভকামনা।