Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

চিরকুট

বিধাতার নিয়তি উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারোর কোন কালে ছিলনা এখনো নেই। তাইতো বিধাতার পাতা বলয়ে আটকে যেতে সময় লাগেনি। বিধাতার এই নিয়তি বড়ই রহস্যময়। তিনিই বিধান লিখেন তিনিই তা পড়ে শোনান। এর পক্ষে বলেন বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। সম্মুখে রঙ্গিন করে সুগন্ধী মাখিয়ে গন্ধম হাজির করেন। আবার কেউ ছুয়ে দিলেই তার হাত চেপে ধরেন, ঘাড় বাকিয়ে দিলেই টুটি চেপে ধরেন। বিধাতা কখনো নিষ্ঠুর কখনো খেয়ালী কখনোবা বিমাতা সুলভ আচরন করেন। রাগ, ক্ষোভ, তৃষ্ণা, গর্ব কিংবা অহং বোধ সবই তিনি নিজ হাতে রেখে দিয়ে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। এখানে বিধাতাকে বলতে ইচ্ছে করে একেমন স্বাধীনতা দিলে তুমি, কেমন করে ঘোষনা দিলে আমি স্বাধীন স্বত্বার অধিকারী অথচ আমার স্বাধীন চিন্তার করার অধিকার নেই,পথচলার অধিকার নেই। স্বাধীন ভাবে বৃক্ষ দেখার, ফুলের সুবাস নেওয়ার অধিকার নেই, পাওয়ার আনন্দ কিংবা না পাওয়ার হতাশায় ডুবে যাওয়ার অধিকার নেই। তুমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়া মাত্রই তোমার কৃপান খড়গ আমার ধড়কে বিচ্ছিন্ন করার জন্য মুখিয়ে থাকে। শুনেছি তোমাকে প্রশ্ন করারও অধিকারও কারো নেই। কি অদ্ভুত স্বাধীনতা আর কি অদ্ভুত সৃস্টি। কেবল কিম্বুতকিমাকার কদাকার ভাব মুর্তি।

 তোমাকে আপন ভাবতে গিয়েও বার বার হোচট খাই। কত নিষ্টুর খেয়ালে আমাকে দাবার গুটি বানিয়ে চাল দিয়ে যাচ্ছো। তুমি আমার চলার পথের বাঁকে গন্ধম বৃক্ষ রোপন করে তাতে নিজ হাতে জল দিয়ে বড় করেছো। তাতে ভালবেসে আশ্রয় দিয়েছ, ফুল ফুটিয়ে ভুবন বিনাশী কুল নাশিনি মন প্রান মাতাল করা কুল হারা সুগন্ধী দিয়েছো। সেই সুবাসে ঘর থেকে, ঝোপ থেকে ঝাকে ঝাকে বাহির হয়ে আসে পথ হারাদের দল। আমিও বাদ যাইনি প্রভু।

আমি পাপে বিদ্ধ হয়ে বিধাতা। আমিও পথের খুজে ঘর ছেড়ে পথে নেমেছি, গন্ধম দেখেছি , নিয়েছি তোমার নিষিদ্ধ গন্ধমের স্বাদ। আমি বিমোহিত কি বিমুগ্ধ কিংবা তৃপ্ত কিনা তার তোমার চিন্তার বাইরে। তুমি শুধু শুদ্ধতার মাপকাঠিতে আমাকে অশুদ্ধ বলেই ক্ষান্ত দিয়েছে। কিন্তু আমিতো ক্ষান্ত দেইনি। আমি তোমার শেষ দেয়ার অপেক্ষায় মগ্ন। আমিও তোমার, তোমার সৃস্টি গন্ধমও তোমার, আমাকে শাস্তি কিংবা ক্ষমার করার ক্ষমতাও তোমার। আমার সকল ইচ্ছা অনিচ্ছা চিন্তার ক্ষমতাবানও তুমি। আমার দায়ও তুমি নিজ হাতে রেখেই দিয়ে। আমি তোমাতে নিবদ্ধ হয়েই আছি। অপেক্ষায় আছি এবার তুমি তোমার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাও।

নরকের দরোজা গুলো খুলে দাও বিধাতা। আমাকে প্রকান্ড করে সে নরকে নিবদ্ধ করো। আর কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে। আমিই হতে চাই তার প্রথম এবং শেষ বাসিন্দা। তবে যদি কোন দিন কথা বলার সুযোগ দাও সেদিনের জন্য তোমার চরনে একটা প্রশ্ন নিবদ্ধ করে গেলাম। আমাকে যদি নরকেই দিতে চাও তবে তোমার ইচ্ছাতেই তো দিতে পারো। তুমি সেই ক্ষমতাবান। তবে কেন গন্ধমের অযুহাত টেনে আনো। এখানে তোমার সীমাবদ্ধতা কোথায়?

০ Likes ২৫ Comments ০ Share ৪৯৯ Views

Comments (25)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    ভাবনাটা সুন্দর। লিখেছেনও বেশ গুছিয়ে। 

    শেষ প্যারায় অপরাধীরা নিশ্ব'টা কি নিঃস্ব হবে?? আমার যেন মনে হলো বানানটা ভুল টাইপ হয়ে গেছে। 

    সমস্তই সুন্দর। 

    • - আবু সাঈদ চৌধুরী

      আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধণ্যবাদ । বানানটা ভুল টাইপই হয়েছে । এজন্য দুঃখিত । ভালো থাকুন সবসময় ।

    - রুদ্র আমিন

    বিশ্বাস নেই বলেই এক মানুষ অন্য মানুষের থেকে দিনে দিনে দূরে চলে যাচ্ছি।

    • - আবু সাঈদ চৌধুরী

      বিশ্বাস তো উঠে যাচ্ছেই তার কারনও মানুষে মানুষে দূরত্ব । ধণ্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

    - ঘাস ফুল

    কবিতার বিষয়বস্তুর ওপর কবিতার নিচে নিজেই ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাতে আমার সহমত রইলো। ভারী সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো লাগলো ফ্ল্যাট বাড়ির সম্পর্কহীন জীবন গাঁথা। ভালো থাকবেন সাঈদ। 

    • - আবু সাঈদ চৌধুরী

      মন্তব্য দিয়ে ধণ্য করলেন । ধণ্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময় ।

    Load more comments...