প্রিয় বাড়ির অপ্রিয় কর্ত্রী,
কেমন আছেন?? দেখতাসিতো ভালোই আছেন। সেদিন যেমনে আমারে দৌড়ানি দিলেন, বুঝতে পারসি, আপনের মাজা ব্যাথা ভালো হইয়া গ্যাসে। আমি আর আপনাদের জ্বালা সহ্য করতে না পাইরা চিঠিখানা লেখতে বসলাম। আমার ছোট্ট থাবা দিয়া চিঠি লিখতে খুব সমস্যা হইতাসে। কিন্তু কিছু করার নাই, একটা ভাঙ্গা কলম আর ছিড়া বিরা কাগজ অনেক খুইজ্জা বাইর করসি। আচ্ছা, আপনে আমারে দেখলে এমনে দৌড়ানি দেন ক্যান?? ঐদিন, চুপি চুপি আপনের পাকঘরে ঢুকতেসিলাম। আপনে দেইখা ফালাইলেন। কি রান্না করসিলেন?? মাছ, মাংস কিছুই তো রান্না করেন নাই। তবুও বিলাই দেখলে দৌড়ানি দিতে মন চায়ই চায়। এইডা আমনেগো একটা বদ অভ্যাস।
আচ্ছা, কন তো, ঐদিন এমন মোটা একটা লাঠি কই পাইসিলেন?? পাকঘরের তাকের উপরে পাতিলের থাইক্কা একটু দুধ খাইতেসিলাম। দৌড়ানি তো দিসেনি, সাথে লাঠিটাও মারসিলেন। অইডা আমার গায়ের উপর পড়লে কি অবস্থাডা হইত?একবার চিন্তা করসেন? ভাগ্যিস খিচ্চা দৌড়ান মারসিলাম। মাঝখান দিয়া কি হইল? দুধ অনেক গরমের কারনে আমার ঠোঁটটা পুইরা গেলো। কিছুক্ষন পর দেখি আমনেগো কাজের মহিলা ঐ দুধগুলা ফালায়া দিল। নিজেরাও খাইতে পারলেন না, আমারেও খাইতে দিলেন না। পাকঘরের জানালার সানসিটে বইয়া অনেক চিন্তা কইরাও আমনেগো মতিগতি কিছু বুঝতে পারলাম না।
আর খাওন শেষে কাঁটা গুলা তো দেন, একটু ভালো জায়গায় দিতে পারেন না?? কাঁটার কথাই বা কি বলুম?? দেন তো পুরা চাবাইয়া চুবাইয়া এক্কেবারে ছাতু কইরা। বিলাইর কাম মাইনসে করলে বিলাই কি করব? কন তো??
আইজকা আর বেশি কিছু লিখলাম না। খালি ওয়ার্নিং দেয়ার লাইজ্ঞা এই চিঠিখানা লিখলাম। আমার কথাগুলা চিন্তাভাবনা করলে একটু শান্তি পামু।ভবিষ্যতে আমার খাওনের ব্যাপারে একটু ভাইব্বেন।
ইতি,
আমনেগো বাসার আশেপাশে ঘুরঘুর করা কালা বিলাই।
বিঃদ্রঃ প্রিয় বাড়ি কারন, এই বাড়িতেই আমাগো চাইর ভাইবোনের জন্ম হইসিল। আমিই টিক্কা আছি। এই বাড়ির মায়ায় আটকায়া গেসি, তাই আর অন্য কোনহানে যাই না।
Comments (50)
ধুর এইটা একটা জায়গা হইল। (আংগুর ফল টক)।
আর কইয়েন না। পুরাই ভুয়া।
দাদা কত মজা করেছেন
বিশাল মিস করেছি, সন্দেহ নেই ...