লেজ কাটা শিয়ালের গল্প সবার জানা্- চুড়ি করতে যেয়ে নিজের লেজ কেটে ফেলে সে । সবাই তাকে লেজকাটা শিয়াল বলবে এখন। যা খুবই অপমানের। কি করা যায়। সে উপায় বের করল তার দলে সবাইকে লেজ কাটার জন্য বলবে । জোড় প্রচারনা চালাবে। কিন্তু তার সে চেষ্টা কি সফল হয়েছিল ?
আরো একটা গল্প বলি তা হল এক গৃহ পালিত বলদের গল্প। যাকে কুলু ঘানি টানার জন্য তার সামনে একটা মুলা ঝুলিয়ে রাখত্। মুলা ধরার জন্য সে যত এগুতো মুলা সে ধরতে পারতনা। সকল চেষ্টাই সার। উল্টো ক্লান্ত হয়ে থেমে গেলে খেতে হতো মার।
এবার বলি সত্যিকারের এক লেজকাটার গল্প- এক যে ছিল সরকার। চুরি আর দুর্নিতী, হত্যা আর গুম করে জনগনের আস্থা হারিয়ে ৪টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা পরাজিত হল। পরাজয় ঢাকতে তারা প্রচার করল তারা সুষ্ট নির্বাচন করেছে তাই নির্বাচন তারা প্রভাব খাটায়নি। ফলে অপরপক্ষ জিতেছে। তার সুষ্ঠ নির্বাচনে সক্ষম। কাজেই অপর পক্ষ তাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে নির্বিঘ্নে যেতে পারে।
৪টি আসনে লেজ কেটে এখন অপর পক্ষের লেজ কাটার ব্যবস্থা আরকি। এ দাবি অপরপক্ষ মানল না। তারা তুলল নির্দলীয় সরকারের দাবি। এছাড়া তারা নির্বাচনে যাবেনা।
ফলে সরকার গৃহপালিত বিরোধীদল সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজেদের জোট থেকে গৃহপালিত মন্ত্রী আর উপদেষ্টা বানিয়ে লোক দেখানো নির্বাচন কালীন সরকার গঠন করল। দুটি জোট দেশে এখন। সরকারের জোট আর সরকার বিরোধী জোট। নির্বাচনকালী সরকারের বিপক্ষে সরাকার বিরোধীদের আন্দোলনে যখন দেশ গর্জে উঠেছে ঠিক তখনই শুরু হল গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, হত্যা গুম। বিরোধীদের প্রধানকে রাখা হল গৃহ বন্দী করে। এরপর সরকার গৃহ পালিত নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে শুরু করল নতুন নাটক। নির্বাচন নির্বাচন খেলা। গৃহ পালিত এক বলদকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করল সরকারী জোট। যাতে অংশ নিল না বিরোধী জোট। ফলে ভোটার শুন্য নির্বাচন হল।
এবার আসি গৃহপালিত বিরোধীদলে গল্পে। যা গৃহপালিত কুলুর বলদের সাথে মিলে যায়। গৃহ পালিত বিরোধীদল গঠনের লক্ষ্যে সরকার বলদটার গলায় মুলা ঝুলাল। মন্ত্রীত্বের মুলা আর বিরোধীদল বানানোর মুলা। সেই মুলার লোভ বলদটা দেৌড়াতে লাগল। মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে একটু তেরামি করতে যায় তখন পড়ে মার। মানে হতে হয় অসুস্থতার অযুহাতে বন্দি। ঘুমন্ত মামলা জাগানোর ভয়।
ভয়ে হোক মানকা চিপিতে পড়ে হোক বলদাটাকে সাথে নিয়ে সরকার ভোটার বিহিন নির্বাচন করল। যাতে আন্তর্জাতিক সমর্থন ছিল না। গ্রীনিজ বুকে স্থান পাওযার মত আসনে বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় সরকারের প্রার্থিরা নির্বাচিত হল। বলদটার উপর সরকারের একটু দয়া হল। বেশী প্রেসার দিয়ে ফেলেছি তাই একটু আদর করে তাকে উপদেষ্টা বানাল। তার দল থেকেও অনেক নির্বাচিত হয়েছিল তাদের থেকেও মন্ত্রী বানানো হল। আত্মপ্রকাশ করল দেশের ইতিহাসের প্রথম বিরোধী দলের যারা সরকারেও আছে মন্ত্রী হিসেবে আবার আছে বিরোধী হিসেবেও। গৃহ পালিত বলদ বিরোধী দল হিসেবে জাতি পেল পুরানো স্বৈরাচারকে নতুন রুপে।
লেজ কাটা আর গৃহপালিত বলদদের নিয়ে যে নাটক যে গল্প চলমান তার শেষ কোথায়?
Comments (0)
চমৎকার হয়েছে, ভালো লাগলো ।
দারুণ ছড়া হিম হিম
খাবো এবার আইসক্রিম।
শুভেচ্ছা সতত।