Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

কারিম গাজী

৮ বছর আগে

গল্প: মৃন্ময়ী ও আমার মিথ্যে প্রেমের ইতিকথা।

পর্ব ২

আমি চুল গুলো এখনো হালকা ভেজা এলোচুলে হেটে চলেছি মেডামের বাসা থেকে রাস্তায় এসে পরেছি মনে নেই।,আমার ভাল কয়েকজন বন্ধু ছিল,সুখু দুখে তাদের সাথে পথ হেটেছি। অনেককে শান্তনা দিয়েছি অনেকের বাচার আশা জুগিয়েছি,আমি নিজেকেই আশা দিতে পারছি না,মানুষ যা সহজে বলা যায় তা নিজে এত সহজে মানা যায় না বহুবার শুনেছি আজ বাস্তব প্রমাণ পাচ্ছি।
আজ প্রথম মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আমি একা,কেউ পাশে নেই যদিও সবাই ছিল।সাদকান পিছন থেকে কাদে হাত রেখে প্রশ্ন  করে  কি হইছে?
আমি কিছু বললাম না আমি জানি সে আগেই জানতে পেরেছে
আমার ভাল বন্ধুদের মধ্যে সে ছিল একজন।
রোমেন তোকে মৃন্ময়ী ডাকছে যা কথা বলে আয়,আমাকে সে মৃন্ময়ীরর কাছে নিয়ে গেল টেনে হিচরে।
মৃন্ময়ীরর চোখে আমি তাকাতে পারছি না রাগে,
মৃন্ময়ী সকল নিরবতা ভেংগে জিজ্ঞেস করল কি হইছে তোমার?
আমি জানি না।
তুমি এসব পাগলামি কেন কর?তুমি আমি আলাদা ধর্মের তাহলে আমাদের মাঝে কখনো সম্ভব তুমি বল,তুমি আমি এখন মেট্রিক পরিক্ষা দিব সমবয়সী সেটাতো তোমাকে বুঝতে হবে।
আমি জানি না আমি তোমাকে ভালবাসি এটাই জানি।
আমার বিয়ের কথা চলতেছে শুনছো?
আমি হয়ত ইন্টার পরিক্ষা দিতে পারবো না,তাহলে কি লাভ এসব করে
তুমি অবুঝ হয়ে নিজেকে কাদাবে আর কিছু না।
তুমি ভালবাসবে না এই কথা বললেই পার, বাজে গল্প আমাকে শুনিয়ো না।
আমি রাগে চলে গেলাম।

অনেকদিন দেখা হয় নি মৃন্ময়ীর সাথে,কারন আমি প্রাইভেটের শিডিউল পালটে নিয়েছি।
দিন যাচ্ছে ভালবাসা বেড়ে যাচ্ছে তাই তাকে আবার প্রোপোজ করবো ভাবছি ১৪ ফেব্রুয়ারি কে বেছে নিয়েছিলাম আমি জানতাম সে দিনে সব প্রেমিক প্রেমিকারা মনে কথা সহজেই বলে দিতে পারে।
আমি রোহিকে ফোন করে জানতে পারলাম তাদের প্রাইভেট সকাল দশটায় ।

১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠার প্রয়োজন ছিল না কারন সেই দিন আমি চোখের পাতা এক করতে পারি নি।
আট টায় ফোন দিলাম সাদকান কে,দোস্ত কই তুই?
এই মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম,কেন
তুই তাড়াতাড়ি মেডামের বাসার সামনে আয়,আমি সেখানেই আছি,কিছু টাকা আসিস  আমার হাত একদম খালি।
আচ্ছা,আসতেছি তুই খাড়া।
আমি বসে আছি সাদকানের
আশায়,ফুল হাতে সাদমানের এগিয়ে আসছে,
দোস্ত তুই কিভাবে জানিস আমার ফুল লাগবে,ফুল এনে ভালই করছিস হাতে টাকা নাই।
হইছে থাম,কোথায় যাবি এখন।
আমাদের ইংলিশ স্যারের বাসায় সামনের গলিতে।
চল,হাটা শুরু করছি কোনদিকে নজর নেই।
৫ মিনিটেই স্যারের বাসার সামনে এসে পড়লাম,কপাল টা অনেক খারাপ এই মাত্র মৃন্ময়ী আর রোহি স্যারের বাসায় ডুকে গেল।
প্রায় ১ ঘন্টা অপেক্ষার পর সে আসতেছে মন টা অন্যরকম অনুভুতি কাজ করেছে
ভয় আর ভয়।এমন হয় নি কখনো,আমি শুধু ভয়ে ছিলাম সে আমাকে আবার ফিরিয়ে দিবে মিথ্যে দোহাই দিয়ে।
আমি এগিয়ে গেলাম তাকে ফুল দিয়ে প্রস্তাব করতে,আমি আগেও জানি সে আমাকে ফুরিয়ে দিবে,ফুল গুলো হয়ত হাতে নিবে না।
মৃন্ময়ী তোমার সাথে কিছু কথা আছে,
আমার হাতে ফুল দেখেই সে না বোঝে ফেলার মত মেয়ে সে ছিল না।
কি করছো রোমেন?
আমি তোমাকে ভালবাসি ফুলের প্রতিকে তোমার হাতে আমার অতীত,ভবিষ্যৎ,বর্তমান তোমার হাতে তুলে দিলাম যা করার ইচ্ছা তুমি করতে পার।
হাতে সে ফুলগুলো নিল,আমাকে কিছু না বলেই হাটা শুরু করল মৃন্ময়ী আর রোহি।
আমাকে কিছু একটা বলে যাও মৃন্ময়ী।
কাল পরীক্ষার হলে এস কথা হবে,তুমি ফুল দেয়ার সময় আমার এক বোন দেখে ফেলেছে আমি যাই কাল কথা হবে।
আমাদের দুজনের এস,এস,সি পরিক্ষা চলছে ২১ তারিখে পরবর্তী পরিক্ষা তাই অনেক দিন আশা আর নিরাশার মাঝে কাটিয়েছি।কি ভয়ংকর সে অভিজ্ঞতা বলা যায় না,লেখাপড়া তো দুরের থাক,খাওয়া টা যে খেতে হবে সেটাও ভুলে গিয়েছিলাম।
বিশ তারিখ রাতে একটু ঘুমিয়েছিলাম,শান্তনা ছিল মনে কাল হয়ত কিছু একটা হবে আমার।আমি নিজেকে শান্তনা দিতে দিতে কয়েকটা দিন পাড় করেছি।

চলবে...................
০ Likes ০ Comments ০ Share ৪৬৭ Views