সুনীল আকাশ দেখে খোকা
ভাবছে বসে একা
কে বানাল এ রঙমহল
সপ্তবর্ণে লেখা!
কে বানাল চন্দ্র সূর্য
দিবস এবং রাতি
দিনের কালে সূর্য জ্বলে
রাতে চাঁন্দের বাতি।
কেমন করে রংধনু হয়
মেঘ ভেঙে হয় বৃষ্টি
রৌদ্র মেঘের লুকোচুরি
কী অপরূপ সৃষ্টি!
আকাশ গাঙে নিত্য দিবস
চলছে কত খেলা
আদমসুরত উল্কা আরও
গ্রহ-তারার মেলা।
কখনও বা ফুল বাগিচায়
নানান বর্ণের ফুল
ফুলের বনে গুঞ্জরনে
ভ্রমর হয় আকুল।
কখনও বা নীল আকাশে
তারাদের ঝিলমিল
চাঁদ-পূর্ণিমা জোছনা বিলোয়
শান্তি অনাবিল।
কার নামে ওই পাখিরা সব
নিত্য কূজন করে
মায়ের কোলে অবোধ শিশু
ডাকে মধুর স্বরে।
কেমন করে মেঘের বাদল
হাওয়ায় হাওয়ায় চলে
ভাবছে খোকা কার কাছে সে
মনের কথা বলে?
হঠাৎ খোকার ভাবনা এলো
কে সেই রাজার রাজা?
কার ইশারায় ঘটছে সকল
দিচ্ছে মধুর সাজা!
Comments (14)
ভাল লেগেছে গল্পটি।
মোমেনের অন্তর্দহহ ফুটে উঠেছে সমাপ্তিতে। সমাজের চিত্র, ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
সমাজের বাস্তব চিত্র।
লেখাটা আমি নিয়ে নিলাম।
কৈ নেন পাশা ভাই?
বেশ সহজ সরল ভাষায় লেখা গল্পটা ভালো লাগলো শেরিফ। গল্পটাতে মোমেন চরিত্রদের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে মানুষের জীবনের উত্থান পতনের কথা, হতদরিদ্র মানুষের কথা, উঁচু তলার মানুষের কথা, ভালোবাসার কথা। সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো। নিষ্ঠুর শহুরে জীবনে গরীবদের প্রতি পদে পদে লাঞ্ছিত হতে হয়। কীটের মতো জীবন যাপন করতে হয়। ভাঙা গড়ার সংসারটা বড়ই আজব। নিষ্ঠার সাথে আগালে এখন যে গরীব, দুই দিন পর হয়তো সে-ই বড় লোক হয়ে যাবে। মোমেনের বেলায় তাই হয়েছে। রুমানা মোমেনকে ভালোবাসে কিনা জানা হয় নাই। তবে মোমেন রুমানাকে যে ভালোবাসে সেটা বুঝা গেছে। কিন্তু রুমানাকে বলার মতো অবস্থা ছিল না বলে, তার প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। যখন সময় হল, তখন রুমানাকে খুঁজে ফিরছে মোমেন। এটাই নিয়তি, এটাই বাস্তবতা, এটাই জীবন। জীবনে সব কিছু একবারে ক্লিক করে করে। আজ মোমেনের ভাগ্যের চাকা হয়তো ঘুরেছে, সে এখন উঁচু তলার লোক, কিন্তু তার ভালোবাসার চাকাটা ঘুরলো না। ধন্যবাদ শেরিফ।
বাহ কি সুন্দরভাবে আপনি বর্ণনা করলেন। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ