Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ভূতের আছড়

১০ বছর আগে

ক্ষতিকর অসুস্থ্য সম্পর্ককে না বলুন

কেস স্টাডি একঃ সাম্প্রতি পত্রিকায় দেখলাম প্রবাসী স্বামীর বৌ এর সাথে ২০ বছর বয়সের এক যুবকের সম্পর্ক স্বামী দেশে এসে এদের ক্ষতিকর সম্পর্ক থেকে নিভৃত করতে না পেরে ছেলেটিকে হত্যা করে নিজে যেয়ে থানায় ধরা দেয়।

কেস স্টাডি দুইঃ একজন নারী দুজন পুরুষকে বিয়ে করেছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাঁরা পারিবারিক ভাবে আইন আদালতের শরনাপন্ন হয়েছে।
এভাবে অভিনব রকম নানান খবর থাকে প্রতিদিনের দৈনিকগুলোতে। যার মধ্যে অধিকাংশ থাকে পরকিয়া প্রেম সহ বিবিধ রকম অসম সম্পর্কের খবর।

 যা  আসলে সুস্থ্য মস্তিষ্কে চিন্তা করলে একটি সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্রই ফুটে উঠে। যা দ্রুত গতিতে ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পরছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সমাজ এগিয়ে চলছে অধঃপতনের দিকে। এসব খবর পড়ে শুধু শিহরে উঠলেই হয়না যা কোমল মতি শিশু কিশোরদের ব্রেনে একটি ভুল মেসেজও পৌঁছে যায়। যা দ্বারা তাঁরা প্রভাবিত হলেও হতে পারে। আবার তাদের সংবাদ পত্র পড়তে না দেয়াও উচিত নয়। সব মিলিয়ে আশঙ্কা দিন দিন বেরেই চলছে। নিজেকে ভাগ্যবান বলে দাবী করি এ কারণে যে  এখনি বয়সের ভালো একটা অংশ অতিবাহিত করে ফেলেছি। আরো দেরিতে পৃথিবীতে আসলে এই আশঙ্কায় যে আমাকে গ্রাস করতো না তা বলা যায়না। এখনি মাঝে মাঝে নদীর তীর খুঁজে পেতে কষ্ট হয়। পুরো নদীর পাড় কুয়াসায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে।
পত্রিকার ঐসব খবর এক শ্রেণীর বিকৃত রুচির মানুষ খুঁজে খুঁজে পড়ে বেশ আনন্দ লাভ করে ।
হয়তো এই রুচিবানরাই এসব ঘটনার বাস্তব নায়কও হয়ে যান নিজের অজান্তে।

আসলে এতক্ষন যা বললাম তা মূল লেখার অবতাড়না মাত্র। এবার আসল লেখায় প্রবেশ করি।  আমরা যদি একটু আমাদের সামাজিক জীবনের দিকে নিবিড় ভাবে তাকাই। এই খবরগুলো শুধু পত্রিকায় পাতায় গুটি কয়েক ঘটনা ঠাই পায় তা নয় বাস্তবের চিত্র এর চেয়ে মারাত্বক। অনেকে দেখি বেশ সাবলীল ভাবেই বলেন মাছের রাজা তেলাপিয়া , প্রেমের রাজা পরকিয়া। এগুলো শুধু ফেসবুকিয় অসুস্থ্য প্রবণতা হলেও বাস্তবিক ভাবেও তাঁরা কিন্ত এতে মাদকের মত প্রভাবিত হয়ে পরছে নিজের অজান্তে। এই পরকিয়াকে একটি মানসিক ব্যাধি হিসেবে দেখা যায়। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে অনেক সময় নিজের সন্তান পর্যন্ত নিজে মেরে ফেলেছে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত পুরুষরা  প্রবাসী পত্নীদের দিকে একটু সুনজর বেশি দেয়। কারণ এতে দুটা লাভ এক অর্থ দুই অবাধ যৌনতা। ইদাং এই প্রবাসী বিষয়ে একটি বিষয় উঠে এসেছে জুনিয়র ছেলেদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন। এক্ষত্রে ছেলেটির চেয়ে মেয়েটির দোষ বেশি, কারণ একটি জুনিয়র ছেলে কখনো একটি সিনিয়র মেয়েকে প্রোপোজ করতে সাহস পায়না।

প্রবাসীদের আরো একটি সমস্যা আছে। একটি ছেলে বিদেশে যেয়ে নিজে আর্থকভাবে স্বাবলম্বি হতে যে সময় লাগে তাতে মাথার তালু কিছুটা বের হয়ে যায়। এরপর দেশে এসে পাত্রী খোঁজা শুরু করে। কিছু আহম্মক পিতা মাতা বিদেশী ছেলে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে পারেনা নিজেই বিয়ে করে ফেলে। নিজের ১৭ বছরের মেয়েকে তুলে দিচ্ছে পিতার চেয়ে বয়সে অল্প ছোট শ্রদ্ধাজনের হাতে। ফলশ্রুতিতে গঠিত হয় অপরিণত সংসার যেখানে মিলের চেয়ে অমিল বেশি। এরপর বৌকে নিয়ে যায় প্রবাসে। আসলে অধিকাংশ প্রবাসীরা খুব কঠোর পরিশ্রম করে। খুব কম বাংলাদেশিরা আছে আমার মত ভাদাইম্মা। তাই এরা ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে পারলে ডাইনিং টেবিলেই নাক ডাকা শুরু করে। আর ওদিকে বৌ বেচারা সারাদিন বাসায় সিরিয়াল দেখছে টুকটাক কাজ করেছে এতে সে কিন্ত ক্লান্ত নয়। সকালে স্বামীর ঘুম ভাংলো আর বৌর ঘুম আসলো। আর তখন বৌ এর মনে একটু দুষ্ট চিন্তা আসলে দায়ী কে? এভাবে কিছু অঘটন ঘটছেও ইতমধ্যে। আসলে স্বামী বেচারা কাজ করতে করতে রোবট হয়ে গেছে তাঁর ঘরে একটি মানূষ আছে তাকে একটু সময় দেয়া দরকার একটু মনযোগ দরকার এটা তাঁর চিন্তায়ই আসেনা। কারণ তিনি একজন যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

এখানে মূল উপজীব্য হচ্ছে প্রবাসী পাত্রদের দিকে এভাবে আবেগে হামলে পরা যুক্তযুক্ত নয়। যদিও এই হামলে পরার প্রবণতা এখন অনেক কম।


প্রবাসী ছাড়াও অহরহ চলছে এসব ঘটনা। ধর্ম ও বিজ্ঞান নারীকে একধিক পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কের অনুমতি দেয়না। কারণ এতে শারীরিক ঝুকি অনেকগুন বেশি। অথচ আন্তর্জাতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে একটি নারী তাঁর জীবনে চারজন পুরুষের সঙ্গ লাভ করে। যদিও এই সমীক্ষাটি আমাদের দেশের ক্ষেত্রে কতটা যুক্তিযুক্ত সে প্রশ্ন রয়েই গেলো।

 
অন্যদিকে একজন পুরুষ তাঁর জীবনে নয় জন নারীর সান্নিধ্য লাভ করে। এরপরেও নারী পুরুষ উভয়ই চরিত্রবান যতক্ষনে হাতে নাতে ধরা না পরে। আপনি আমি যে চারজনের মধ্যে কত নাম্বার ভাগ্যবান আল্লাহই জানে। এজন্যই এখন বিয়ের ক্ষেত্রে একটা ছেলের একটি কথাই চিন্তা করা উচিৎ। যে অনেকের ঘরে বৌ নাই আমার ঘরে আছে এটাই বিরাট সাফাল্য। তা না হলে দুঃখের আর শেষ থাকবেনা। তেমনি মেয়েদের ক্ষেত্রেও, যে অনেকের বিয়েই হয়না আমার একটি স্বামী
আছে এটাই বিরাট সাফাল্য। এর বাইরে কিছু চেয়ে লাভ নেই। কারণ সময়টি হচ্ছে এমন,  কেউই বুকে হাত বলতে পারছে না আমি সাধু। এজন্য বিয়ের আগের প্রেম প্রণয়ের বিষয় চিন্তা করলে আপনার আর এ পথে অগ্রসর হতে হবেনা। আর এসব খোঁজ নেয়াই বোকামি। বরং চিন্তা করুন যে পিছনের যা হয়েছে সব মাফ এখন বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সুন্দর হলেই হয়।

এই সেদিন একজন বলছিলেন মেয়ে ভার্সিটিতে পড়ে দেখতে এক কথায় অপরূপা ভদ্র মার্জিত ভালো ঘরের মেয়ে। বিয়ের কথা ঠিক হলো। এর মধ্যেই খোঁজ নিয়ে জানা গেলো মেয়ে ছোট্ট একটি ভুল করেছে। তা হচ্ছে তাঁর কোচিং এর শিক্ষকের সাথে কিছুদিন প্রেম করে তাকে গোপনের বিয়ে করেছে। এই বিয়ে হচ্ছে জাস্ট শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা স্বীকৃতি নেয়া মাত্র। দু বছর পর এসে মনে হয়েছে ছেলেটি তাঁর জন্য উপযুক্ত নয়, আবার তাঁরা নিজেদের সমঝোতায় ডিভোর্স নেয়।

 বাবা মা কিছুই জানেনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষক এবং ছাত্রী দুজনেই তাদের যৌবনকে লোকচক্ষুর অন্তরালে চরিতার্থ বা উপভোগ করেছে। তাহলে এখন সামাজিক ভাবে এরা দুজনে যাকে বিয়ে করবে, তাঁর সাথে করবে নৈতিক প্রতারনা জৈবিক প্রতারনা। আর প্রতারনার উপর ভিত্তি করে কোনো ভালো কিছু রচিত হতে পারেনা।
   
এখানে মূল উপজীব্য  উপযুক্ত বয়স হলে ছেলে মেয়েদের বিয়ে না দেয়ার ফল ।

বসন্ত যে ভাবে কারো কাছে জিজ্ঞেস করে অনুমতি নিয়ে আসেনা। তেমনি যৌবনও বাবা মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করে আসেনা।  

এখন কথা হচ্ছে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটা নারীর জানালা দিয়েই বাইরে তাকানোই পাপ। অন্যদিকে একজন পুরুষ ৯ জন নারীর সাথে গোপন অভিসার চালালে কোনো দোষ নেই, কারণ তিনি সাইনবোর্ড হিসেবে একজনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন সন্তান উৎপাদন ও সামাজিকতা রক্ষার জন্য।
 বর্তমান অবস্থা একটু অন্যরকম। বর্তমান অসম প্রণয়গুলোতে পুরুষের চেয়ে নারীদের ভূমিকা বেশি মনে হচ্ছে। এবং এতে নারীদের একক দোষ দেয়ার সুযোগ নেই। দায়ী আমাদের পশ্চাত্য প্রভাবিত শিক্ষা ব্যবস্থা, ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব।

ধরুন একটি মেয়ে ইউরোপে জন্ম গ্রহণ করলো। সে  ১৮ বছর বয়স পার হওয়ার সাথে সাথে সে একটি ছেলেকে বন্ধু হিসেবে জুটিয়ে ফেলে এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে মেশামেশা শুরু করে দেয়। সেখানে কেউই বাঁধা দেয়ার সুযোগ রাখেনা। এতে করে তাঁর যৌবন প্রাপ্তির পরিযর্চা শুরু করে দিতে পারে বা দিচ্ছে।  স্কুলেও এভাবে তাদেরকে যৌনতা বিষয়ক পূর্নাঙ্গ ধারণা দিয়ে তৈরি করে থাকে। এতে করে তাদের মধ্যে বয়সের তেমন পার্থাক্য থাকে না। একটা ব্যাল্যান্স থাকে। অর্থাত দুজনেই সদ্য যৌবনের সনদ প্রাপ্ত। ঠিক এই বিষয়টির যদি উল্টো দিক যদি দেখি।

 আমাদের দেশে কর্পোরেট শিক্ষা ব্যবস্থা ও আর্থ সামাজিক অবস্থানে একটি ছেলেকে স্টাবলিস্ট হয়ে বিয়ে করতে গেলে দেখা যায় তাঁর বয়স ৩৪/৩৫ পার হয়ে যায় কখনো আরো বেশি। অথচ এই সময়টি একটি পুরুষের যৌবনের সেই দীপ্ততা থাকেনা অনেকটা ভাটা পরে। এবার দেখুন এই ৩৫ উর্দ্ধো মানুষটি বিয়ে করছে ১৭/১৮ বছরের একটি মেয়েকে যার কিনা যৌবন শুরু হলো। গানের সুরে বললে তোমার হলো শুরু আমার হলো সারা। ভুলে গেলে চলবে না যে বিয়ে হচ্ছে একটি শারীরিক মানসিক আত্নিক প্রয়োজনীয় বিষয়। সেখানে এই যে তাঁরতম্যে তা নিশ্চয়ই সম্পর্কের অবনতি ছাড়া আর কিছু ঘটায় না। যেখানে মেয়েটি  ঘাস ফুলে উঁড়ে উড়ে  রঙ্গিন স্বপ্নে রোজ নতুন বাসর সাজায় সেখানে বয়সের ভারে ক্লান্ত পেশার চাপে শ্রান্ত ছেলেটি নাক ডেকে ঘুমিয়ে পরে। তাহলে!!

 জৈবিক চাহিদা তো ক্লান্ত হয় না। তাই একটি সময় ইচ্ছার বিরোদ্ধে জেগে উঠে মনের হায়নারা। আর এভাবেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলে জড়িয়ে  যাচ্ছে একটি পবিত্র মন। তবে কি এটা ঠিক? অবশ্যই না। আসলে অন্যায় কখনো প্রশান্তি দেয়না। বরং জীবনকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়।  

উপসংহারঃ মানুষ ধর্মের দুর্গ থেকে যখনি বের হয়ে এসেছে তখনি পতিত হয়েছে। তাই ধর্মীয় অনুশাসনই পারে আমাদের সামাজিক স্থিরতা আনতে। যার রিজিক তিনিই নিয়ে এসেছেন তাহলে কেনো স্টাবলিস্ট হয়ে বিয়ে করতে হবে। স্টাবলিস্ট চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যত আমরা পশ্চিমাদের ফলো করবো তত নিজরা সামাজিক মানবিক অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাবো। লিভ টুগেদার চালু হয়ে যাবে। কারণ তাঁরা আমাদের সুস্থ্য সমাজ কখনো কামনা করেনা। তাই এখনি সচেতন হলে কমবে পরকীয়ার মত রোগ। বারবে সামাজিক সম্প্রীতি।

* লেখাটি কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। এটি আমার নিজেস্ব মতামত। কেউ গায়ে টেনে ঝগড়া করতে চাইলে আমি সময় দিতে পারবো না।আগের মত হাতে সময় নাই। তবে পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে আলোচনা করলে অল্প শরিক হতে পারি।
* কোনো চরিত্র কারো সাথে কাকতালিয় ভাবে মিলে গেলে আগ্রিম দুঃখ প্রকাশ।
* বেশি ক্ষেপে গেলে ইনবক্সে গালি দিতে পারেন।
* পুলাপান পড়লে থাপ্পড় দিমু এখানে বাপ চাচার বয়সীরা আছে।

 

১ Likes ৬ Comments ০ Share ৬৯২ Views

Comments (6)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    পথের শেষ নেই। আমরা জানিনা আমাদের গন্তবঃ কোথায়। যতদিন আমরা বেচে থাকব আমাদের পথ চলতেই হবে।

    • - শোয়েব হাসান রাজীব

      The woods are lovely, dark and deep.

      But i have promises to keep,

      And miles to go before i sleep,

      And miles to go before i sleep.

       

    - নীল সাধু

    শুভেচ্ছা শোয়েব।

    ভালো লিখছেন। অনেক ভাবনার সাথে আমি সহমত জানাই।

    সুন্দর থাকুন।

    - ঘাস ফুল

    পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে। আমরা যেহেতু পথিক, তাই এই পথ সৃষ্টি চলতে থাকবে কাল থেকে কালান্তরে। লেখাটা ভাবনার অবকাশ করে দিয়েছে। শুভেচ্ছা জানবেন শোয়েব। 

    • - শোয়েব হাসান রাজীব

      many thanks @gash ful...

    Load more comments...