ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প -
এসেই তোমাকে আংটিটা পরিয়ে দেবো।
আগে ফিরে তো আসো।
ছেলে লোকাল বাসে ওঠে। মেয়ে চেখের জল ফ্যালে। নাকের জল ফ্যালে। ঢাকার রাস্তায় বড়ো জ্যাম। সময়মত ফিরে আসতে পারবে তো?
দিন চলে যায়। ছেলে আসে না। ভিডিও কল করা উচিৎ। নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ে কাস্টোমার কেয়ারে কল দেয়।
বলুন ম্যাম
আর কত সময় লাগবে নেটওয়ার্ক আসতে ?
এইতো আর কটা দিন ম্যাম। এরপরেই আপনার এলাকায় থ্রিজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাবে।
বাসার করিডোরে বসে মেয়ে হুহু করে কাঁদে। কাঁদতে কাঁদতে বিকাল হয়ে যায়। নাশতার টেবিলে মা এক ছেলের ছবি দেখায় মেয়েকে।
দ্যাখ! বিবিএ করা ছেলে। বাবার প্লেন আছে। লোকাল বাসে চড়ে না।
মেয়ে রেগে মেগে উঠে চলে যায়। রাতে খাবার টেবিলে তার বাবা খ্যাঁক খ্যাঁক করে। আর কত সময় অপেক্ষা করবেন? ঢাকার জ্যামের শেষ আছে? আবার রাজনৈতিক অবস্থা খারাপ। এদিকে সেই বিবিএ করা ছেলে প্লেনে উঠে সিটবেল্ট বাঁধছে।
মেয়ে কথা বলে না। রুমে ঢুকে দরজা লাগায়। ছেলের মোবাইলে কল ঢুকছেই না। ছেলে এয়ারটেল ব্যবহার করে। এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক অনেকটাই দুর্বল। দূরে ঠেলে দ্যায়।
কাছে এসো কাছে এসো।
মেয়ে নিয়মিত ক্লোজআপ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে। সকালে মর্নিং ওয়াক করতে যায়।
একদিন বাইরে বেরিয়েই দ্যাখে ছেলে দাঁড়ানো।
ছেলেকে চেনা যাচ্ছে না। হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ।
কি হয়েছে?
জামাত শিবির মেরেছে। আমার ক্ষতি হয়নি। ঢাকা মেডিকেলে ছিলাম। আংটিটা হারিয়ে গ্যাছে।
মেয়ে কাঁদে। আংটির জন্যে নাকি ছেলের জন্যে বোঝা যায় না।
তবে আংটিটা হারিয়ে গেলেও ভালোবাসা নাকি আগের মতই আছে। ছেলে বলে। মেয়ে আরো কাঁদে। তারপর বিয়ে হয় কি না সেটা জানিনা। এমন অনেক প্রেমই শেষমেশ বিয়ে পর্যন্ত যায় না। না গেলে নাই। আমার কি?
(এই বস্তা পচা অ্যাড দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গ্যাছি। একদম বিরক্ত। নতুন কিছু করা দরকার।)
Comments (17)
বাহ দারুন কবি ভাই,
মাঘের মৌনতা ভাঙে,পানকৌড়ির ডুবসাঁতারে!
বাহঃ চমৎকার লাইন!!!
দাদু পাজামা বোঝে কিন্তু জিন্স প্যান্ট বোঝে না
হা-ডু-ডু বোঝে, লেগ স্পিন বোঝে না
ভাটিয়ালী বোঝে কিন্তু মেটালিকা বোঝে না
দুধ বোঝে,কফি বোঝে না।
আমার বেশ ভাল লেগেছে।
তিনি বলেন, অতীতকে কেন হেলা কর
আমরা এসেছিই অতীত থাকি।
ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা।
ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রাণীত
নিখুঁত এবং অসাধারণ একটি পুরণাঙ্গ কবিতা...
ধন্যবাদ মাসুম বাদল ভাই
ছোটবেলা যখন প্রথম কচুর তরকারী খেলাম তখন আমার গলা চুলকাতে শুরু করল। আমি আমার দাদুকে জিজ্ঞেস করলাম ওটা কিসের তরকারী ছিল যে আমার গলা চুলকাতে শুরু করল। দাদু বললেন, এটার নাম মানকচু তবে যারা ঝগড়া করে শুধু তাদেরই গলা চুলকায়। ব্যাপারটা তখনই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। মনে মনে প্রশ্ন জাগল, আমি যদি ঝগড়া করি তা এই কচু সেটা বুঝবে কি করে? তারপর গলা চুলকানোর কারণ খুঁজে বের করলাম। ঠিক এমনি ভাবে এক সময় আমার অনিদ্রা হয়েছিল আর দাদু আমাকে এমন এমন কারণ আর সমাধান দিতেন যা আমার খুব হাসি পেত। পরে বুঝলাম এটা এক ধরণের জেনারেশন গ্যাপ। তাই পরবর্তীতে এগুলো নিয়ে একটা কবিতা লিখতে চেষ্টা করলাম।