সমাজে কোন আদর্শিক মডেল খুঁজে পাচ্ছে সন্তানরা। না আদর্শবান হতে পারছি বাবা-মায়েরা, না পারছে আমাদের শিক্ষক সমাজ অথবা রাজনীতিবিদরা। সন্তানের কাছে সবার আগে আদর্শের মডেল হবেন বাবা-মা। তারপর শিক্ষক। কিন্তু সেই অর্থে সব বাবা-মা তা পারছে না। শিক্ষকরা নানান অপকর্মে জড়িয়ে নিজেরাই হয়ে পড়েছেন আদর্শহীন। একজন শিক্ষক যদি অপকৌশলে শতাধিক শিক্ষার্থীকে ক্রমাগতভাবে ধর্ষণ করে; তার কাছে কি পাবে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা? রাজনীতিতে তো আদর্শের লেশমাত্রও নেই। তাহলে কোথায় যাবে ওরা? ভালো কোনো খবর নেই তাদের সামনে। পত্রিকার পাতা উল্টালে, টিভি চ্যানেলের খবর দেখলে খুন-খারাপি, ধর্ষণ আর লুটতরাজের খবরগুলো যেভাবে ফোকাস করা হয় ভালো উদ্যোগ ও সফলতার খবরগুলোকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় না। তাহলে তারা ভালো কাজে উৎসাহ পাবে কিভাবে? স্বপ্ন দেখবে কিভাবে?
আমাদের দেশে শিক্ষায়-বিনোদনমূলক শিশু-কিশোরদের উপযোগী অনুষ্ঠানের স্বল্পতা লক্ষণীয়। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে শিক্ষণীয় কিছু নেই। আকাশ সংস্কৃতির অপছায়া গ্রাস করছে কোমলমতি হৃদয়গুলোকে। ইন্ডিয়ার চ্যানেলগুলোতে দুই ধারার কূটকৌশল লক্ষণীয়। প্রথমটি হলো_ এরা অনুষ্ঠান আয়োজনে উদ্ভট চরিত্রায়ন করছে। পারিবারিক কহলবাদের কৌশল শেখাচ্ছে। নারী চরিত্রকে শয়তানের প্রতিচ্ছায়া হিসেবে উপস্থাপন করছে। ঘরোয়া দৃশ্যতে উদ্ভট সাজগোজ বিকৃত রুচি ও মানসিকতার সৃষ্টি করছে। এভাবে এসব চ্যানেলগুলো বাঙালির চিরায়ত পারিবারিক সম্পর্কের শেকড় নষ্ট করে দিতে চেষ্টা করছে। অপসংস্কৃতি আর বেলাল্লাপনার মাধ্যমে তারা আমাদের সন্তানদের জীবন থেকে সুন্দরতম স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দ্বিতীয়টি হলো_ তাদের পোশাকের বাজার সৃষ্টি করছে আমাদের দেশে। চটকদার পোশাকের আচানক ঢংঢাং দেখে আমাদের সন্তানরা এমনকি তাদের মায়েরা পর্যন্ত কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে দেশি পোশাকের মাধুর্যময়তা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক হানিফ সঙ্কেত যথার্থই বলেছেন_ ‘ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে থেকে মাংস কেড়ে নেয়া সম্ভব, কিন্তু হিন্দি বা ইন্ডিয়ান বাংলা সিরিয়াল দেখারত অবস্থায় বাঙালি নারীর কাছ থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোল কেড়ে নেয়া সম্ভব নয়।’ বাস্তবতা আসলে তাই। ছোট থেকে বড় পরিবারের সবাই ঝেঁকে বসেছে এসব অপসংস্কৃতির গড্ডালিকায়। ভারতে বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল দেখার সুযোগ নেই। আমাদের সরকার কেন পারে না এইসব চ্যানেল প্রচার বন্ধ করতে? এক খবরে জানা গেছে_ খোদ ভারতের জনগণ এসব অনুষ্ঠানের বিপক্ষে তাদের মতামত দিতে শুরু করেছে। আর আমরা তা গ্রহণ করছি_ কোন যুক্তিতে?
আমাদের দেশে শিক্ষায়-বিনোদনমূলক শিশু-কিশোরদের উপযোগী অনুষ্ঠানের স্বল্পতা লক্ষণীয়। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে শিক্ষণীয় কিছু নেই। আকাশ সংস্কৃতির অপছায়া গ্রাস করছে কোমলমতি হৃদয়গুলোকে। ইন্ডিয়ার চ্যানেলগুলোতে দুই ধারার কূটকৌশল লক্ষণীয়। প্রথমটি হলো_ এরা অনুষ্ঠান আয়োজনে উদ্ভট চরিত্রায়ন করছে। পারিবারিক কহলবাদের কৌশল শেখাচ্ছে। নারী চরিত্রকে শয়তানের প্রতিচ্ছায়া হিসেবে উপস্থাপন করছে। ঘরোয়া দৃশ্যতে উদ্ভট সাজগোজ বিকৃত রুচি ও মানসিকতার সৃষ্টি করছে। এভাবে এসব চ্যানেলগুলো বাঙালির চিরায়ত পারিবারিক সম্পর্কের শেকড় নষ্ট করে দিতে চেষ্টা করছে। অপসংস্কৃতি আর বেলাল্লাপনার মাধ্যমে তারা আমাদের সন্তানদের জীবন থেকে সুন্দরতম স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দ্বিতীয়টি হলো_ তাদের পোশাকের বাজার সৃষ্টি করছে আমাদের দেশে। চটকদার পোশাকের আচানক ঢংঢাং দেখে আমাদের সন্তানরা এমনকি তাদের মায়েরা পর্যন্ত কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে দেশি পোশাকের মাধুর্যময়তা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক হানিফ সঙ্কেত যথার্থই বলেছেন_ ‘ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে থেকে মাংস কেড়ে নেয়া সম্ভব, কিন্তু হিন্দি বা ইন্ডিয়ান বাংলা সিরিয়াল দেখারত অবস্থায় বাঙালি নারীর কাছ থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোল কেড়ে নেয়া সম্ভব নয়।’ বাস্তবতা আসলে তাই। ছোট থেকে বড় পরিবারের সবাই ঝেঁকে বসেছে এসব অপসংস্কৃতির গড্ডালিকায়। ভারতে বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল দেখার সুযোগ নেই। আমাদের সরকার কেন পারে না এইসব চ্যানেল প্রচার বন্ধ করতে? এক খবরে জানা গেছে_ খোদ ভারতের জনগণ এসব অনুষ্ঠানের বিপক্ষে তাদের মতামত দিতে শুরু করেছে। আর আমরা তা গ্রহণ করছি_ কোন যুক্তিতে?
Comments (4)
আজকের প্রথম আলোর প্রতিবেদন ৯১% দুর্ঘটনা ঘটে ড্রাইভারের ভুলে। আর ঢাকায় যারা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তাদের বেশিরভাগই পথচারী