বাসার সামনে একটি মাঠ... সবুজ ঘাসগুলো ছেটে রাখা হয় নিয়মিত। মাঠ না বলে সবুজ ঘাসের গালিচা বলা চলে। কিছুটা আয়তাকার... আসলে কলোনীর ছোট ছেলেমেয়েদের বিকেল বেলার হই হুল্লোর করার জন্যই এই মাঠটিকে বানানো হয়েছে।
এখন কেউ নেই মাঠে। সবাই যার যার বাসায়-হয় ঘুমে, না হয় টিভিতে সিরিয়াল দেখছে।পুরুষেরা বন্ধের দিন পেলে বেশীরভাগই ঘুমাতে পছন্দ করে। বারান্দার টবগুলোতে রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে। ওর নিজের কালেকশন। বোটানির স্টুডেন্ট হওয়াতে সেই কোথায় কোথায় ওকে গাছ সংগ্রহের জন্য যেতে হয়। একবার সবাই দল বেঁধে সীতাকুন্ড ইকো পার্কে গিয়ে সাপের সামনে পড়েছিল... ভাবলে এখনো শরীর হীম হয়ে আসে।
শায়লার জন্য ওর বাবা একটা দোলনা লাগিয়ে দিয়েছেন সিলিঙের সাথে। সেখানে গিয়ে বসে।
মৃদু দোল খেতে খেতে কিছুক্ষণ আগে পড়া কবিতার কয়েকটি লাইন মাথায় ব্রেনের ভিতর ঘুরতে থাকে...
...” সেদিন দেখলাম সেই ভালবাসাগুলো
কাকে যেন দিতে খুব ব্যস্ত তুমি,
যেগুলো তোমাকে আমি দিয়েছিলাম।...”
এই ‘তুমি’টা কে? ওর বাইশ বছরের জীবনে এখনো সেভাবে কোনো তুমিকে সে খুঁজে পায় নাই। আর সেজন্য ভালবাসাও দেয়া হয়ে উঠেনি... একই সাথে এর স্বরূপও জানা হয়নি। তবে উপলব্ধির গভীরে হৃদয় তোলপাড় করা একটা অনুভুতি ওকে অস্থির করে দেয় সময়সময়! তবে কি সেটাই ভালবাসা? কল্পনায় কে যেন আবছাভাবে ওর সামনে ধরা দেয়...কতবার স্কেচ করেছে... পাতার পর পাতা ভরিয়ে দিয়েছে,
কিন্তু একটা সম্পুর্ণ অবয়ব কখনো আনতে পারেনি... সে একজন খুব ভাল ছবি আঁকিয়ে হবার পরেও। অথচ যেকোনো কিছু একবার দেখেই হুবহু সেভাবে এঁকে দিতে ওর সমকক্ষ কেউ নেই।
তাহলে মনের সেই মানুষটিকে কেন সাদা-কালো কিংবা রঙ্গিন কাগজ ও রং তুলিতে আনতে পারছে না?
এখন কেউ নেই মাঠে। সবাই যার যার বাসায়-হয় ঘুমে, না হয় টিভিতে সিরিয়াল দেখছে।পুরুষেরা বন্ধের দিন পেলে বেশীরভাগই ঘুমাতে পছন্দ করে। বারান্দার টবগুলোতে রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে। ওর নিজের কালেকশন। বোটানির স্টুডেন্ট হওয়াতে সেই কোথায় কোথায় ওকে গাছ সংগ্রহের জন্য যেতে হয়। একবার সবাই দল বেঁধে সীতাকুন্ড ইকো পার্কে গিয়ে সাপের সামনে পড়েছিল... ভাবলে এখনো শরীর হীম হয়ে আসে।
শায়লার জন্য ওর বাবা একটা দোলনা লাগিয়ে দিয়েছেন সিলিঙের সাথে। সেখানে গিয়ে বসে।
মৃদু দোল খেতে খেতে কিছুক্ষণ আগে পড়া কবিতার কয়েকটি লাইন মাথায় ব্রেনের ভিতর ঘুরতে থাকে...
...” সেদিন দেখলাম সেই ভালবাসাগুলো
কাকে যেন দিতে খুব ব্যস্ত তুমি,
যেগুলো তোমাকে আমি দিয়েছিলাম।...”
এই ‘তুমি’টা কে? ওর বাইশ বছরের জীবনে এখনো সেভাবে কোনো তুমিকে সে খুঁজে পায় নাই। আর সেজন্য ভালবাসাও দেয়া হয়ে উঠেনি... একই সাথে এর স্বরূপও জানা হয়নি। তবে উপলব্ধির গভীরে হৃদয় তোলপাড় করা একটা অনুভুতি ওকে অস্থির করে দেয় সময়সময়! তবে কি সেটাই ভালবাসা? কল্পনায় কে যেন আবছাভাবে ওর সামনে ধরা দেয়...কতবার স্কেচ করেছে... পাতার পর পাতা ভরিয়ে দিয়েছে,
কিন্তু একটা সম্পুর্ণ অবয়ব কখনো আনতে পারেনি... সে একজন খুব ভাল ছবি আঁকিয়ে হবার পরেও। অথচ যেকোনো কিছু একবার দেখেই হুবহু সেভাবে এঁকে দিতে ওর সমকক্ষ কেউ নেই।
তাহলে মনের সেই মানুষটিকে কেন সাদা-কালো কিংবা রঙ্গিন কাগজ ও রং তুলিতে আনতে পারছে না?