আমি “ব্লগ” নামটির সাথে প্রথম পরিচয় হই সেই ২০০৯ইং সালে। "প্রথম আলো" ব্লগের মাধ্যমে। তার আগে অবশ্য ব্লগ এর কথা শুনেছি, যেমন- সামু , আমার ব্লগ ইত্যাদির কথা। কিন্তু কোন দিন ঐ সব ব্লগে যাওয়া হয়ে উঠেনি। প্রথম আলো ব্লগ যখন প্রথম চালু হলো, তখন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতায় "প্রথম আলো ব্লগ" এর 'এড' দিত। সেই এড পড়ে একদিন ব্লগে প্রবেশ করলাম, নাম রেজিষ্ট্রি করালাম এবং ৪ জুন, ২০০৯ইং তারিখে প্রথম পোষ্ট দিলাম। সেই পোষ্টটি ছিল, ব্লগে বাংলায় না লিখতে পারার অসুবিধার কথা প্রসংগে। পোষ্ট দেয়ার সাথে সাথে আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার "সুজন" মন্তব্যের ঘরে আমার বাংলা না লিখতে পারার সব সমস্যার সমাধান করে দিল। আমি তখন খুব সহজেই বাংলায় লিখতে পারলাম এবং ঐ দিনই আমার জীবনের প্রথম লেখা (তার আগে কোনদিন কোন লেখা কোন প্রিণ্ট মিডিয়ায় বা ভার্চুয়াল মিডিয়ায় লিখিনি) "আমার বাবা এবং মুক্তিযুদ্ধ" নামক একটি লিখা পোষ্ট দিলাম। এবং আমার ব্লগ জগত শুরু হলো।
সেই যে শুরু, তারপর কত কত বন্ধু হলো। লুবনা (মেঘবতী), নিষাদ, নিলাকাশ, পুরাতন, অলিউর রহমান , চিন্তা, কবির সোহেল, অপদেবতা, তানহা, সাইফুজ্জামান খালেদ, লোকমান, মাহবুব মোর্শেদ, মাহমুদ, মুকুট, ত্রিভূজ, প্রিন্সেস এ্যালেনা, ফাতেমা আবেদীন নাজলা, আ.শ.ম আরশাদ, আনন্দময়ী, শেখ নজরুল, জেড.এইচ.সৈকত, নীলসাধু, শুমিন শাওন, দেবদাস, তাসনিমা নূর, আজমান আন্দালীব, সাবরিনা সুলতানা, টেক পাগল, সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র, এস.এম. পাশা, কামালউদ্দিন, কালপুরুষ, আফরোজ আজাদ, তমা, চারুমান্নান, মিলন, নাছরীন জোবায়ের, নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী, আইরিন সুলতানা, লোকমান, স্কাই, না মানুষ, আনন্দময়ী, দুঃখ, সজল শর্মা, রিসাত, শেলী রহমান, ইথার, ধুমকেতু মানব, শামান সাত্ত্বিক, লীনা ফেরদৌস, হঠাৎ বৃষ্টি, জুবায়ের হোসেন, পথিক, সুমন, মৌসুমী দত্ত, শেরিফ আল সায়ার,অবনি অনার্য, রিমন, কারিম ভাই, রকিব হাসান, সিমি, নিরব পথিক (দুলাল ভাই, মুহিত কামাল, মুরুব্বী, সৌম্য, হাবিবুল্লাহ সৌরভ, মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, আবু তৈয়ব,নিশীতা, পুনপুনি, দখিনো হাওয়া, নীল কাব্য, সীমানা পেরিয়ে, পারভজ রবিন, বাংলার গান,নাইয়া, কে.এস.আরেফিন, নীমফুল, জাকির বেপারী,…..………………আরো যে কত কত প্রিয় মানুষ। সবাই মিলে একটা ভার্চুয়াল পরিবারের মত হয়ে গিয়েছিলাম। দিন রাত লেখালেখি আর মন্তব্যের ঝড় উঠত। সেইসব সুবুদ্ধিপ্রনোদিত মন্তব্যে আমার মত নতুন লেখিয়েদের লেখার হাত ভাল হতো। এসব স্বনামধন্য লেখিয়েদের ভাল ভাল লেখা পড়তে যা ভাল লাগত, তা বলে বুঝানো যাবে না।
আর প্রথম আলো ব্লগের প্রথম ব্লগ সঞ্চালক ছিলেন মাহবুব মোর্শেদ ভাই। অত্যন্ত প্রানবন্ত একজন মানুষ ছিলেন। তারপর এলেন সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র। তিনিও খুব ভাল মানুষ ছিলেন এবং তাদের লেখার হাতও খুব ভাল ছিল।
তারপর এক সময় “প্রথম আলো” ব্লগে কালবৈশাখী ঝড় এল। সব এলোমেলো হয়ে গেল। সব প্রিয় মানুষগুলো একে একে হারিয়ে যেতে লাগল এবং এক সময় হারিয়েও গেল।
নক্ষত্র ব্লগের এডমিন সাহেবকে বিশেষ অনুরোধ, আসুন না, সেই সব প্রিয় ব্লগারদের সাথে ফোনে বা ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে তাদেরকে আবার “নক্ষত্র ব্লগে” নিয়ে আসি। আবার প্রানবন্ত করে তুলি এই ব্লগটিকে। আবার শুরু হোক লেখালেখি আর সেই লেখার বিপরীতে মন্তব্যের ঝড়।
সবাই ভাল থাকুন। আর এ লেখার ব্যপারে আমারে পেদানী দিতে চাইলে দিবার অনুমতি প্রদান করা হলো। পেদানী খাওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত, এতে নক্ষত্র ব্লগ কোন ভাবেই দ্বায়ী হবে না।
Comments (33)
নন্দিনী সিরিজের প্রতিটা কবিতাতেই আপনি ভিন্নতা এনেছেন। দারুণ একটা আইডিয়া দক্ষতার সাথে লিখে যাচ্ছেন। এই পর্বও বেশ লিখেছেন। নন্দিনীর জন্য জীবনটা যেন কিছুটা থেমে আছে। কাছে আসেলেই হয়তো আবার আগের মতো ভালোবাসার ছোঁয়ায় জীবনটা সচল হয়ে উঠবে উৎফুল্লতায়। ভালো লাগলো নন্দিনীর জন্য ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভালো থাকবেন ঝড়।
কোজাগরি শব্দের অর্থটা কী ঝড়?
অশেষ ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ঘাস ফুল আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন।
কোজাগরি : এটা একটা পূর্ণিমার নাম,আর্শ্বিন মাসের পূর্ণিমাতে হিন্দুদের লক্ষীপূজা হয় যা কোজাগরি ব্রত বা কোজাগরি
পূর্ণিমা ব্রত বলা হয়ে থাকে । অন্যভাবে বললে বলা যায় কোজাগরি কথাটির অর্থ হল, কে জেগে রয়েছে? কোজাগরি পূর্ণিমায় রাত জেগে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করা হয়। প্রচলিত ধারণা মতে রাতের বেলা ঘরে ঘরে আসেন লক্ষ্মীদেবী. যার পুজো-অর্চনায় তিনি তুষ্ট হন, সুখ ও সমৃদ্ধির বরদান দিয়ে যান তাঁকেই।
আশা করি একটু হলেও বুঝাতে পারছি।
ভাল লেগেছে কবিতা।
নন্দিনি ফিরে আসুক
ধন্যবাদ আপু
সুন্দর হয়েছে কবিতা
ধন্যবাদ আলমগীর ভাই