Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মো: সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়া

৮ বছর আগে লিখেছেন

পজিটিভ চিন্তার দ্বারা পজিটিভ রেজাল্ট হয়।

(১)
Geographic Channel এ অনেক আগে একটি ফিচার দেখেছিলাম। আফ্রিকার জঙ্গলের উপজাতীয়রা সকলে মিলে একটি গাছের কাছে যায়। তারপর সকলে মিলে সেই গাছটিকে অভিশাপ দিতে থাকে। এর ফলে, সত্যি সত্যি সেই গাছটি এক সময় মরে যায়।
(২)
আপনি নিজে একটু তেতুলের কথা চিন্তা করুনতো। মন থেকে চিন্তাটা আনুন। গাছপাকা তেতুল খোসা ছাড়িয়ে একটি বাটিতে নিলেন। এবার তার সাথে লবন ও মরিচ মিশিয়ে ভালভাবে মাখুন। এবার আঙ্গুলে নিয়ে মুখে দিন---এটুকু মন থেকে যদি চিন্তা করে থাকেন, তাহলে খেয়াল করে দেখুন, আপনার মুখে লালা এসে গেছে।
(৩)
আপনি কোন বাচ্চাকে (স্কুলে পড়ুয়া) প্রতিদিন একবার করে বলতে থাকুন (যদিও ক্লাসে তার রোল নং ১, ৩ কিংবা ৫) "তুই একটা গাধা", "তুর মাথায় কিচ্ছু নাই", "তুই কিছুই পারিস না"--- ইত্যাদি নেগেটিভ কথা। বিশ্বাস করুন, ক'দিন পরে বা কয়েকমাস পরে দেখবেন, সেই ছেলে বা মেয়ের রেজাল্ট আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে।
---------উপরের উদাহরণ থেকে আমরা অনায়াসে বুঝতে পারছি, "আমরা চিন্তার দ্বারা পরিচালিত এবং নেগেটিভ চিন্তার দ্বারা নেগেটিভ রেজাল্ট হয়।"
তাহলে, আমরা যদি পজিটিভ চিন্তা করি, তাহলে অবশ্যই এর পজিটিভ রেজাল্ট হবে। এবার আপনি ৩ নং উদাহরনটির উল্টোটা আপনার বাচ্চার উপর প্রয়োগ করোন। আপনার বাচ্চা যদিও ভাল ছাত্রছাত্রী না, আপনার বাচ্চা যদিও মুখস্ত করতে পারে না, তবোও প্রতিদিন তাকে বলতে থাকুন,
"আরে...তুমিতো ভাল ছাত্র/ছাত্রী হয়ে যাচ্ছ"।
" মা,শাল্লাহ, তুমিতো খুব তাড়াতাড়ি মুখস্ত করতে পার"।
"তুমিতো এবার ভাল রেজাল্ট করবা"
------ইত্যাদি যত্ত রকম পজিটিভ কথা আছে, তাকে বলতে থাকুন। বিশ্বাস করুন, কয়েকমাস পরে দেখবেন, সে আপনা আপনি ভাল ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে যাচ্ছে।
যদি তেতুলের কথা বললে মুখে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - গোখরা নাগ

    emoticonsemoticonsemoticonsemoticonsemoticons

    - মাসুম বাদল

    অনেক অনেক ভাললাগা...

মো: সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়া

৮ বছর আগে লিখেছেন

" দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পাপ চিত্তের দূর্বলতা"।


কথাটি আমার নয়।
কোন এক মহাজ্ঞানীর বাণী।

তখন সবে এইচ.এস.সি তে ১ম বর্ষে " ঢাকা কলেজে" ভর্তি হয়েছি। কলেজের ২য় তলার Grography Department এর পাশের গ্যালারীতে প্রবেশের গেইটের উপরে এ বাণীটি লেখা ছিল। এরকম বাণী সব গ্যালারীর উপরেই ছিল। কিন্তু এই বাণীটি আমাকে খুব নাড়া দিত। যেদিনই Geography ক্লাস থাকত, সেদিন ক্লাস করতে গ্যালারীতে প্রবেশ করার আগে এ লেখাটি একবার করে পড়তাম। কিন্তু এর মর্মার্থ তেমন একটা বুঝতে পারিনি।

আগেই বলে রাখি, কলেজে পড়াকালীন আমার লেজ একটু লম্বা ছিল, তবে খারাপ দিকে নয়। হোস্টেলের দেয়ালিকা " দর্পণ" প্রকাশ করা, পথ নাটক করা, রোভার স্কাউট করা ইত্যাদির দিকে একটু বেশি ঝোঁক ছিল। পাশাপাশি পড়াশোনা। এসব কারনে ক্লাসের স্যারঁদের সাথে খাতিরটাও একটু বেশি ছিল।

তাই, একদিন ভূগোল ক্লাসে এক স্যারঁকে জিজ্ঞেস করে ফেললাম, "জীবনের সবচেয়ে বড় পাপ চিত্তের দূর্বলতা" র মর্মার্থ কি? স্যারঁও খুব সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন,

" নিজেকে নিজে দূর্বল ভাবা" - সবচেয়ে বড় পাপ।

কথাটি সেই ১৯৮৫ সালেই মগজে গেথে গিয়েছিল। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত শত বিপদ, দুঃখ, হতাশা যাই কিছু ই এসেছে, নিজেকে নিজে দূর্বল ভাবিনি। এ যে বড় পাপ।

এতগুলো কথা বলার কারন হলো, প্রায়ই দেখা যায়, ব্লগে, মুখোমুখি বই তে ( ফেসবুকে) অনেককেই ছোটখাট কারনে নিজেকে দূর্বল ভাবতে শুরু করে আর হতাশা ভরা স্টেটাস দেন ফেসবুকে। অথবা  ব্লগে/ নিজের ব্লগস্পটে বা নিজের লেখা কবিতায়, গল্পে হতাশার কথা ফুটিয়ে তুলেন করুনভাবে। যখনই কারো স্টেটাসে/লেখায় এমন " চিত্তের দূর্বলতা" ভরা লেখা পাই, তখন খুবই খারাপ লাগে। আর তখন তাদেরকে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - গোখরা নাগ

    চোখের জল সত্যিই আটকাতে পারলাম না... !!! 

     

    স্যাল্যুট... emoticons

মো: সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়া

৮ বছর আগে লিখেছেন

কাটাঁতারের বেড়ায় বন্দি "একুশের বইমেলা"।

অমর একুশে বইমেলা।
বাঙালীর প্রাণের মেলা।
কিন্তু,
আজ সেখানে শংকা, ভয় আর
সংশয়।
কখন আমি অভিজিৎ হয়ে যাই,
কখন আমি দীপন হয়ে যাই,
কিংবা,
কখন আমি হুমায়ুন আজাদ হয়ে যাই।
এই " হয়ে যাওয়া" তাদের মত হওয়া নয়।
এই " হয়ে যাওয়া" তাদের মত নিভে যাওয়া।

আমি ভয়ে থাকি,
আমার মেয়েরা ভয়ে থাকে,
আমার স্ত্রী ভয়ে বারে বারে ফোন দেয়,
" চলে এসো তাড়াতাড়ি"
" সন্ধ্যে নামার আগে"।

আজ,
প্রাণের বইমেলায় যেন প্রাণ নেই।
চারিদিকে ভয়, সংশয় আর
বুকের ভিতর অজানা আতংক।
" যেন কাটাঁতারের বেড়ায় বন্দি আমাদের প্রাণের বইমেলা"।

বাচ্চাদের হইহুল্লোর.......
বাশিঁর ভে,,,পু সূর,.......
কিশোরদের জটলা পাকিয়ে আড্ডা,.......
দলবেধেঁ দুষ্টু ছেলেমেয়ের কোরাশ গাওয়া,,,,,,,,,,,,,
আজ সবই যেন হারিয়ে গেছে।
আমাদের প্রাাণের বইমেলা থেকে।
যেন কাটাঁতারে বন্দি এই মেলা।

continue reading
Likes Comments
০ Shares

মো: সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়া

৮ বছর আগে লিখেছেন

মা' কে লেখা চিঠি।

মা।
  মা, তুমি কেমন আছ?
অফিসে যাবার পথে ঘর্মাক্ত হয়ে ক্লান্ত বেলায়, কিংবা শত ঝামেলায় অফিসের কাজে, কিংবা একাকী বিকেল বেলায়, কিংবা অনেক মানুষের ভিড়ে - সারাটি সময় তুমি থাক আমার মনের গভীরে।
বলে চলি,
" রাব্বিল হাম হুমা কামা রব্বায়ানি সগিরা"।
শুনেছি, যখন কোন মা, বাবারা না ফেরার দেশে চলে যায়, ওনাদের সাথে কথা বলার একমাত্র মাধ্যম এই দোয়া। তাহলে, নিশ্চয়ই তুমি প্রতিদিন আমার ডাক শুনতে পাও।
তাই না মা !
কিন্তু তোমার ডাকতো আর শুনতে পাই না, মা!
মাগো, তোমার কি মনে আছে?
তুমি বলতে, ' নিজের সংসারের জন্য কিছু জমা রাইখ , বাড়িতে এত্ত টাকাপয়সা ভাইঙ্গনা'। কিন্তু তোমার কথা শুনিনি। আজ যখন আমি আর্থিক সমস্যায়, কেউই আর আমাকে কাছে টানে না। জান, মা, বাবাও আজ জানি কেমন দূরে হয়ে গেছে। কেনযে, তোমার কথা শুনে, সেই সময় টাকার পাহাড় বানালাম না !
তবোও শান্তনা মা, এই ভেবে যে, তোমার সাথেতো কথা বলতে পারছি, দোয়ার মাধ্যমে। আর, তুমিও তা শুনতে পাচ্ছ। ভাগ্যিস দোয়া করতে পয়সা লাগে না, তা না হলে, আমার এমন কঠিন দিনে, হয়ত তোমাকেও 'কিনে কিনে' দোয়া পাঠাতে পারতাম না!
মা গো, তোমার যেমন সন্তানের চিন্তায় ঘুম আসত না, তেমনি হয়েছে আমারও। তবে, এটুকু বলতে পারি মা, তোমার নাতনী রা পৃথিবীর সেরা সন্তানই হবে। যে সন্তানের উপর বড়দের দোয়া আর মা, বাবার চেষ্টার সাথে দোয়া থাকে, আর সাথে থাকে হালাল কামাই- সেই সন্তান কি পৃথিবীর সেরা হবে না!
এই যে মা, আমরাতো হয়েছি।
মা গো, তুমি যে জান্নাতি, তা আমি জানি। যেদিন, তোমাকে আমি ও তোমার ছোট ছেলে,... continue reading
Likes Comments
০ Shares

মো: সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়া

৮ বছর আগে লিখেছেন

আপনার বাচ্চাকে কোথায় পড়াবেন ?

নতুন বছর শুরু হয়েছে।
অনেক বাবা, মা ' ই এই নতুন বছরে বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাবে।
তা খুবই ভাল। তবে আমার মতামত হলোঃ- (১) কত বৎসর বয়সে একটি বাচ্চাকে স্কুলে দেয়া উচিৎ?
(২) কোন্ স্কুলে ( বাংলা মিডিয়াম) দেয়া উচিৎ?
............. এ কথাগুলো কি আমরা বাবা মা' রা চিন্তা করেছি? আমার পরিচিত একজনের বাচ্চা সবেমাত্র ৪ বছরে পা দিল। সেই বাচ্চাটিকে এবার একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিল!!
আমি ভর্তি করাতে নিষেধ করাতে সেই পরিচিতের বউ বলল, " অমুকের বাচ্চাতো আরো ছোট থাকতেই তার বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাইছে"?..................
আমি যখন ঢাকা কলেজে (১৯৮৫) পড়ি, তখন একটি সেমিনারে আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার ( তখন তিনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন) বলেছিলেন,
" একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর বাচ্চাকেও যদি ইন্টারমিডিয়েটের ক্যালরিমিতি পড়ানো হয় এবং বুঝানো হয়, সে বুঝবে, কিন্তু এই যে ব্রেনের উপর একটা প্রেসার, সেই প্রেসারের ফল পরবর্তীতে নেগেটিভ হবে......"।
UNICEF এর হিসেব মতে, একটি বাচ্চাকে ছয় (৬) বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি করানো উচিৎ। তখন সেই বাচ্চা পড়াটাকে খেলার একটি অংশ হিসেবেই নিবে এবং মজা করে পড়বে।
সেই বাচ্চাকে পরবর্তীতে মা বাবাকে পড়ার জন্য চাপ দিতে হবে না। নিজের ইচ্ছাতেই পড়বে, স্কুলে যাবে।
প্রত্যেক বাংলা মিডিয়ামের বাচ্চাকেই সরকারী প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করানো উচিৎ। একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষককে ( যদিও সে অনার্স সহ মাস্টার্স পাস থাকে) বাধ্যতামূলকভাবে পূর্ণ এক বৎসর PTI থেকে ট্রেনিং নিতে হয়। সেই ট্রেনিংটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। সেই ট্রেনিং এ একটি বাচ্চাকে কিভাবে পড়াবে, তার মানসিক ও সামাজিক বিকাশ কিভাবে গড়ে তুলবে- এসব সকল বিষয় শিক্ষা দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণী... continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...