শিল্পী বিশির আহমেদের অনেক সাধের ময়না তার বাঁধন কেটে উড়ে গেছে অজানায়। বাংলা সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক বশির আহমেদ। গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্টজণিত সমস্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বশির আহমেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। পরিবার সূত্রে যানা যায় বশির আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। তবে তার শারীরিক অবস্থার খুব একটা অবনতি ছিল না। নিয়মিত চেকআপের ভেতরেই ছিলেন তিনি; কিন্তু রাতে হঠাতৎ করেই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ডাক্তারের কাছে নেবার প্রস্তুতি নিলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এই গুণী শিল্পী এবং য়াটের দশকে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ৭০-৮০ দশকে এদেশের চলচ্চিত্রে অগনিত হিট গানের কণ্ঠশিল্পী ছিলেন তিনি। বিটিভির প্রারম্ভিক সময়কাল থেকেই সঙ্গীত বিভাগের অন্যতম কর্মকর্তা থেকে শুরু করে একাধিক গানের অনুষ্ঠানের রূপকার ও পরিচালক ছিলেন তিনি। তার দুই সন্তান রাজা বশির ও হুমায়রা বশির দেশের দুই গুণী দুই শিল্পী।
তার গাওয়া কাজী জহিরের ময়নামতির ছবির বিখ্যাত গান ‘অনেক সাধের ময়না আমার বাঁধন কেটে যায়’ গানটি আজো মানুষের মুখে মুখে। এছাড়াও বশির আহমেদের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ যারে যাবি যদি যা পিঞ্জর খুলে দিয়েছি , আহা কিযে সুন্দর হারিয়েছে অন্তর, সবাই আমায় প্রেমিক বলে, ডেকোনা আমারে তুমি কাছে ডেকো না, সজনীগো ভালবেসে এত জ্বালা কেন বল না, ওগো প্রিয়তমা, আমাকে যদি গো তুমি এত বাস ভালো ইত্যাদি। একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন বশির আহমেদ। আজ সকালে মোহাম্মদপুর জহুরী মহল্লা জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হবে তার মরদেহ।
আর যে আমায় ডাকবে না সে সকাল দুপুর সাঝে- বলবে না আর মনের কথা .........গানের সুর ছড়িয়ে সঙ্গীত ভক্তদের মুগ্ধকরা শিল্পী বশির আহমদের আত্মার শান্তি ও রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
Comments (2)
একজন কথা বলে আর আরেক জন আশা বাধে। যে মেয়েটির সাথে কথা বলে সে টেলিফোনে অন্য জনের কথা বলেছে। ভালবাসা যখন গভীর সমুদ্রে ঠিক তখনি কালমেঘ বয়ে এলো তাদের মধ্যে।
শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা,,,,,,,,,,,,
ঠিক ধরেছেন মান্নান ভাই। গল্প লিখতে পারি না চেষ্টা করি, এলোমেলো হয়ে যায়। এটা প্রথম পর্ব এরপর আরেকটি পর্ব আছে সেখানেই ইতি। শুভনববর্ষ ১৪২১।
আমিনুল কি বলবো? বুঝতে পারছিনা।
গল্পের প্লট নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনা। বিষয় প্লট একটা হলেই হলো। কিন্তু কাব্যিক উপস্থাপনা দরকার। আপনি গল্পটা শুরু থেকেই চরম ভাবে তাহাহুড়ো করে ফেলায় হতাশ হয়েছি। সময় নেন। ধীরে সুস্থে পলিশ করেন। পরিশ্রম করছেন সেটা কাজে না লাগালে কিভাবে হয়? কিছু শব্দ যোগ করেন। দেখবেন অনেক সুন্দর গল্প হয়ে গেছে।
লিখতে থাকুন
পাশা ভাই আপনি বলেছেন আমি তাড়াহুড়া বেশি করেছি। আসলে আমার গল্প লেখায় ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি। এটা নাটকের মতো করার চেষ্টা করেছিলাম। কল্পনা কিংবা মনের কথা গুলো বন্ধনী দিয়ে আটকিয়ে দেইনি বলে মনে হয় আরও সমস্যা হয়েছে। যাই হোক চেষ্টা করছি কি করা যায়। গল্প লেখার জন্য আমার ধৈর্য্য তৈরী করতে হবে ভাই। দোয়া করবেন।
লিখা চলুক অবিরাম...
দোয়া করবেন মাসুম বাদল ভাই। চেষ্টা করতেছি গল্প লেখার। ধৈর্য্য কম...তাই সমস্যা করে ফেলি।