ধর্ষণের শিকার হয়ে সম্ভ্রম হারানো নারী ধর্ষিত হচ্ছে বার বার অবলীলায়। আস্তা কুঁড়ে নিক্ষেপ করে, না হয় হসপিটালের বারান্দায়, আর না হয় অন্ধ আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে, নিজের সতীত্ব হরণের নীলছবির গল্প শুনিয়ে।
‘যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না’ বলে শপথের পরেও নির্দ্বিধায় সত্য মিথ্যার বেচাকেনা হয় ইনসাফের সর্বোচ্চ আদালতেও। মনুষ্যত্বের পারদ ক্রমান্বয়ে ধাবিত হচ্ছে নিম্নমুখী। পশুত্ব নিজ অবস্থানে দাঁড়িয়ে মনুষ্যত্বের নিম্নমুখীতায় লজ্জায় মুখ অবনত করে।
আগুনে ঝলসানো ধর্মগ্রন্থের বাণী চিৎকার করে কেঁদে উঠে। ধর্ম ব্যবসায়ীর দৃষ্টি তখনো লাভ লোকসানের হিসাবের খাতায় মগ্ন। লাভের অংকটা আরও একটু কিভাবে বাড়ানো যায়। ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারায় চলে বানরের পিঠা ভাগাভাগির খেলা।
দুই দফায় জলপাই রঙের শাসন আর আগে এবং মধ্যখানে পুতুলের শাসন শেষে নূর হোসেনের বীর্যে জন্ম নেয়া শিশু গণতন্ত্রে আশান্বিত হলাম। মাত্র তেইশ বছর পেড়িয়ে সেই শিশু আজ শত বর্ষের বৃদ্ধার চাইতেও বৃদ্ধা। অবহেলা, নির্যাতন আর অপুষ্টিতে ভোগে মৃত্যুর প্রহর গুণছে।
লাল সবুজ পতাকাটা আজ শুধুই লাল, রক্তাক্ত লাল। অবারিত সবুজ হতেও আজ ফিনকী দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসে।
শহীদ মিনারের বেদিতে বীরের শব দেহে আজ দানবের পদাঘাত। তাদের দ্বিতীয়বার হত্যা করে উলঙ্গ নৃত্য করে হায়েনার দল সেখানে।
রাজনীতির নোংরা কীট বুদ্ধি বিক্রেতাদের লড়াই চলে টক শোতে। সভা সেমিনারসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, পারলে সাড়ে তিন হাত মাটির নিচেও। নির্বাচনী হাওয়ায় খোলস পাল্টায় বিষাক্ত সরীসৃপগুলো। অমানুষগুলো মানুষের ভুমিকায় অভিনয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখে অস্কার পাওয়ার মতো। নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে ফিরে যায় নিজস্ব ভুবনে, পরিচিত মুখে অপরিচিত রূপে।
ছিদ্রান্বেষীর মতো অন্যের দোষ খোঁজার আগে নিজের দোষগুলো যদি আমরা খুঁজে বের করে তা সমাধান করে নেই, তবে এই সব সমস্যার সমাধানও অনেক সহজ হয়ে যাবে। আমরা দেশের যেকোনো খারাপ জিনিসের জন্যই আঙ্গুল তুলি রাজনীতিবিদের দিকে। এটা আমাদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সামনে পিছনে দাঁড়িয়ে যে আমরাই তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি সেটা একবারও আমরা ভাবী না। আমরা সবাই নিজের পাছায় এক মন হাগু রেখে অন্যকে পাছা ধুতে বলি। আফসোস!
Comments (35)
দীরঘ প্রেমের কবিতা।
কদমের সাথে প্রেম,
প্রেম বৃষ্টি কিঙবা মেঘের সাথে।
আসলে সবাই নিজের সাথে প্রেম নিয়ে ব্যস্ত
জট খুললে বাকিটুক ও লিখে দিয়েন
খুব খুব ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ।
অনেকদিন পর দীর্ঘকবিতা পড়লাম।
অনেক না হলেও মোটামুটি দীর্ঘ। বেশ ভালো লেগেছে আনমনা। এটা কবে লিখেছিলে?
ইদানীং লিখনি তা বোঝা যাচ্ছে। তবে আমি চাই তুমি চেষ্টা কর। দেখি কেমন হয়!
শুভেচ্ছা জেনো। ভালো থেকো দাদা
লিখেছি বছর গড়ায়নি।
চেষ্টা করছি। দোয়া করবেন দাদা