লিখিতে বসেছি ছড়া,
মাথায় আমার ছন্দ আসে না-
পড়িয়াছে মনে কড়া।
ভাবিয়া ভাবিয়া দিশকুল আমি হারাই নিজের মাঝে,
সকালে বসিয়া সাদা খাতা নিয়ে উঠিলাম সেই সাঁঝে।
ব্যাকুল মনে অবাক হইয়া ভাবিলাম কি করি,
মাকে দেখি, তেড়ে আসিছেন, হাতে নিয়া এক ছড়ি।
"সারা দিন শুধু বসে বসে তুই করলি কিসের কাজ?
বাপের ঘাড়ে বসিয়া থাকিতে সামান্য লাগেনা লাজ?"
আমার মাকে বলি,
"তোমার ছেলে হইবে কবি, দেখিবে জগত সারা।
কবিতা পড়িয়া, মা'র দেখি, সব চুল গুলো হল খাড়া।
"হায়রে প্যাদার বাপ!!!
তোমার ব্যাটারে জন্ম দিয়া করিয়াছি আমি পাপ।"
আব্বা দেখি হ্যাস্ত-ন্যাস্ত
দৌড়ে ঘরে এলেন,
"কি হল? কি হল? কোথায়, কি হল?
কি হল আমার হেলেন?"
"হেলেন? তোমার মাথার ছেরি
দেখো তোমার পোলা,
বসে বসে কি কবিতা লিখে
ঘাড়ে নিয়ে সেই ঝোলা।
"আরে ওয়াহ ওয়াহ, ছেলে যে আমার অনেক বড় কবি।
একদিন তুই বিশ্ব মাতাবি, পেপারে ছাপাবে ছবি।"
আব্বার সেই কথাগুলো আজ আমার মনে পড়ে,
তাই তো এই কবিতা লিখিলাম, "কবিদের" এই ঘরে।
১৪ই জুলাই, ২০১৩
শহীদুল্লাহ কলা ভবন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
Comments (6)
কবিগন আপনার মন্তব্য মিস করবে। জানি না যা বললেন এর পিছনে আর কোন কারন আছে কিনা। শুভকামনা।
আমার মন্তব্য মিস করার মতো আমি এমন কেউ না ভাই। কারণ ছাড়া নাকি গাছের পাতাও নড়ে না। তাই কারণটা আমি লেখার মধ্যেই কিছুটা তুলে ধরেছি। শুভ কামনা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ আরিফ। ভালো থাকবেন।
প্রিয় ঘাসফুল,
সর্বদিক থেকে আমি এ একেবারে অ-কবি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে কবিতার উপর কিছু লিখে দেয়া কঠিন। আবার কবিরা স্বশরীরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে তো পরিস্থিতি আরো জঠিল। তাই বলে কবিদের সাথে দুয়েকটি কথা বলবো না হতে পারে না।
আসলে কাব্য নিয়ে তর্ক চলে না। তা বাঁশির মতন, শুধুই বাজবার, বোঝাবার নয়। আর তাই কখনও বুঝে কখনও বা একেবারে না বুঝেই তাঁর কবিতা নিয়ে চলতে থাকি আমরা।
তাছাড়া আমি অকপটে স্বীকার করতে বাধ্য- অনেক কবিতায় ভিতরের সংকেত বুঝতে বেগ পেতে হয় কিন্তু চমকপ্রদ চিত্রকল্প, মনের মধ্যে যে সব বিচিত্র ছবি ফোটে । তখন দুয়েকটা কথা লিখে দিয়ে দিই।
মাঝে মাঝে বেশী বলে ফেললে আগাম জামিনের আবেদন করি রাখি।
প্রিয় ঘাসফুল
মন্তব্য দেয়া বন্ধ করবেন না। কবিতা বহুমাত্রিক হতে পারে। কোন কোন কবিতা ব্যক্তিভেদে আলাদা ব্যবচ্ছেদ হতে পারে। আশা করি কবিরা এতে তেমন কিছু মনে করবেন না।
আপনার জন্য অবিরাম শুভকামনা।
একজন পাঠক কে যখন মন্তব্য করার কারনে বলা হয় আরও বুঝে মন্তব্য করুন তখন আমার লেখকের মানসিকতা নিয়ে শঙ্কা হয়। আমিও কম বুঝি। আগেও আপনার মন্তব্য বিষয়ক একটা পোস্টে বলেছিলাম- লেখকের মন্তব্য গ্রহণের মানসিকতা এবং মন্তব্যকারীর কোনো ভুল থাকলে বিনয়ের সাথে উত্তর দেয়া।
একজন লেখকের হাত বাধা থাকে নিজের লেখার উপর কিন্তু একজন পাঠক কি বুঝলেন বা কি মন্তব্য করলেন সেইটা অবশ্যই লেখকের মন মতোই হবে তা নয়। পাঠকের হাত বাধা নয়। (তবে যারা ইচ্ছা করে বিরক্তি কর বা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে তাদের কথা আলাদা। তাদের অবস্থানই একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন) হ্যা, লেখকের ভাব পাঠক নাও বুঝতে পারে সেক্ষেত্রে সেই পাঠকের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলার আগে লেখক হিসেবে আমার বুঝা উচিৎ আমার লেখা পাঠক বুঝেনি তাতে আমার ব্যর্থতা কতটুক। তারপর বিনয়ের সাথে প্রশ্ন করে মন্তব্যের হেতু জেনে নেয়া যায়। কারন আমার লেখা যে বুঝেনি সে কারো লেখা বুঝেনা, তার বোধশক্তি কম কিংবা নেই এইটা ধরে নেয়া রীতিমতো বোকামি।
সব বাদ। আপনার এমন বিরতি মেনে নেয়া হবেনা। কারো জন্য কেন আপনি বিরতি নেবেন। সেই একজনকে বিরতি দেন। মন্তব্য চালিয়ে যান, আমাদের দরকার আছে। সব মন্তব্য ১০০ভাগ ঠিক হবে তা নয়, ঠিক হবেই এইটা নিশ্চয়ই আপনিও মনে করেন না, আমি জানি । ঠিক সেভাবে আমরা কেউই যার যার জায়গায় ১০০ভাগ ঠিক নই। আমার অবুঝ পাঠকের অবুঝ মন্তব্য লাগবে। আর কারো কথা জানিনা আমার লাগবে।
আপনার এই বিরতির ছুটি-
একজন ব্লগার হিসেবে নামঞ্জুর করলাম।
একজন কবি হিসেবে (দাবি করছিনা) নামঞ্জুর করলাম।
একজন কাছের মানুষ হিসেবে নামঞ্জুর করলাম।
একজন মন্তব্যলোভী লেখক হিসেবে নামঞ্জুর করলাম।
একজন বন্ধু হিসেবে অধিকার থেকে নামঞ্জুর করলাম।
আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর আমার কিছু বলার থাকবেনা। কিন্তু আমি জানি আপনি আশাহত হন না। করেন ও না। এরপরও আপনার সিদ্ধান্তের উপর থাকবে পূর্ণ শ্রদ্ধা।
ভালো থাকবেন।
ঘাস ফুল এবার বিপদে