কল্পিত চিত্র
তোমার কপট মনের অটুট কপাট সপাটে বন্ধ করবে ভাবিনি। আমার গবেট মন একদিন লোপাট হয়েছে তোমার চটক ভালবাসায়। আমি প্রকট ব্যথা অনুভব করেছি হৃদয়ে, হোঁচট খেয়েছি বিশ্বাসের চৌকাটে। ভেবেছি একদিন কেউ ভালবাসার মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে তার মনের ফটক খুলবে। এমনি প্রত্যাশায় প্রাপ্তির রকেটে ভেসেছি, ফিরেছি বিরহের শকটে। শুন্য পকেটে ভেবেছি একদিন ঠিক পৌঁছে যাবো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। হতাশা তখনো পিছু হটেনি। কড়িকাঠ গুনছিলাম নিজের ভাগ্যকে উপহাস করে। দুর্ভাগ্যের কালিতে লেখা এই মলিন ললাট তাই জীবন বইয়ের মলাট অতিশয় নিষ্প্রভ। দিন গুজরান হচ্ছিল কোন রকমে। দেহ থেকে আত্মাটা চম্পট দিতে চাইছিল, লম্পট নই বলেই বিশ্বাসে আঁকড়ে ধরেছিল শেষতক। দিন ফিরেছিল। প্রত্যাশা মাফিক না হলেও আকাঙ্ক্ষার চাকা ট্রাফিক জ্যামে একেবারে আটকা পড়েনি। এ
কদিন তোমাকে পাবার প্রবল প্রত্যাশায় অকপটে তোমার তিরষ্কার উপেক্ষা করেছে। বিকট হাহাকারে হৃদয় ভেঙ্গেছে মট্ মট্ করে। চট করে সবকিছু সামলে নিজেকে তিল তিল করে গড়েছি তবুও মাথা থেকে তোমাকে পাবার উদ্ভট খেয়ালটা অপমানের দেয়াল ভেদ করে কেমন যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতো। ইচ্ছে ছিল একদিন বুকভরা আশা নিয়ে তোমার সামনে এসে সটান দাঁড়িয়ে যাবো। জানতাম আমার প্রতি তোমার কোন টান নেই, তাই মন নিয়ে টানাটানি করার আর কোন ইচ্ছে হয়নি। ওখানেই সব কিছুর ইতি টেনেছিলাম। কিন্তু কি আশ্চর্য! এতো কিছুর পরও তোমার প্রতি অদ্ভূত একটা টান অনুভব করি, তোমার প্রতি প্রচ্ছন্ন ভালবাসার টান। চিত্রকর নই তবুও আমার কাছে তা যেন অদৃশ্য তুলির টান। মনের তুলিতে সেই টানগুলোকে একত্রিত করে যখন একটা ভাবনা-চিত্র আঁকার চেষ্টা করি, তখন ক্যানভাসের গায়ে যে চিত্র ভেসে ওঠে- তা নিতান্তই এক দুখিনী নারীর ছবি। আমার মানসপটে কেন জানি তোমার সুখের কোন চিত্রই ফুটে ওঠেনা। অথচ মনে মনে তোমাকে আমি অহংকারের অলংকারে সুসজ্জিত এক সুখী নারী ছাড়া অন্যকিছুই ভাবিনা।