কবিতা লিখতে চাই
এই বিশ্ব চরাচরে আমিও একজন মানুষ।
বিত্ত-বৈভব তেমন কিছু না থাকলেও
জীবকূলে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের দাবি এখনো ছাড়িনি।
এদেশে জন্ম নিয়ে যারা খুব কষ্টে আছেন,
নানা হতাশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন,
আমিও সেই দলেরই একজন।
আপনার যেমন পেটে ক্ষুধা আছে,
ক্ষুধার জ্বালা আছে, মনে ক্ষোভ আছে,
প্রতিবাদের ভাষা আছে, আমারও আছে।
ঐ যে দেখুন- রুগ্ন হাতে ভিক্ষার থালা যে ধরে আছে,
হাতে কলম ধরার বাসনা তার নেই।
শব্দ গাঁথার কোন উচ্ছাস তার নেই।
তাইতো বলি, আসুন একটা কবিতা লিখি।
মাত্র সামান্য কটা লাইন-
তাতে এই সমাজ হয়তো বদলাবে না,
ভিক্ষুকের হাত রাতারাতি শ্রমিকের হাত হয়ে যাবেনা,
চারিদিকের অনাচার, দুর্নীতি কমে যাবেনা;
তবু নিজের দায়বদ্ধতা এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবেনা।
নাহ্ পয়সার বিনিময়ে নয়,
বিবেকের তাড়নায় কিছু পংক্তি লিখতে চাই।
আমার প্রতিবাদের ভাষা যদি কবিতা হয়-
তবে রাজপথ হয়ে উঠুক আমার কবিতার খাতা;
লাল ইটের টুকরোগুলো হয়ে উঠুক প্রতিবাদী কলম,
আঁচড়ে আঁচড়ে লিখে যেতে চাই বুভুক্ষ মানুষের কথা,
শোষিত, বঞ্চিত মানুষের কথা।
এই কবিতা আমার সুপ্ত চেতনার কবিতা।
এই কবিতা কোন বইয়ে ছাপা হবেনা,
এই কবিতার কোন প্রচ্ছদ হবেনা,
এই কবিতার কোন প্রকাশক নেই।
এ শুধুই বুভুক্ষ ও প্রতিবাদী মানুষের পথলিপি।
দৈববশে এই কবিতা যদি কোনদিন বইয়ে ছাপা হয়,
দেখবেন- বইয়ের মলাটে জীর্ণ কুঁড়ে ঘরের ছবি,
বইয়ের পাতায় পাতায় দুঃস্থ মানুষের হাহাকার,
লাখো মানুষের করুণ মুখের প্রতিচ্ছবি।
হে দেশ- হে আমার কবিতার দেশ,
এসো রাজপথে কবিতার পতাকা ওড়াই,
প্রতিবাদে মুখরিত হই, প্রতিরোধে রক্তাক্ত হই,
প্রতিশোধে বুলেটবিদ্ধ হই, অবলীলায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করি;
তবুও সুযোগ পেলে দেয়ালে কিংবা রাজপথে,
জীবন্ত কিছু কবিতা লিখে যেতে চাই।
Comments (9)
তারমানে তুমি চিনু ভাবীর ঠ্যাঙানি ২৩ বছর ধইরা খাইতাছ? হাফসুস! বড়ই হাফসুস!
হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিল রে ...
চিনু ভাবী আইতাছে তোমারে শায়েস্তা করনের লাইগা। সময় থাকতে পগারপার হই....
তুমি কি খালি ঘাস কাটো, ফিরাইতে পারো না ?
এইবার কও দেহি তুমি ক্যাম্নে ২৩ বছর যাবত জেল খাটতাছ।
আজ প্যারোলে মুক্তি পাইছি।