মূল : লরেন্তঁ তিরার্দ ভাবান্তর : ইমরান ফিরদাউস
আশির দশকের শেষে হংকং-এর সিনেমা ফাইনালি যখন মার্কিন মুভি-মার্কেটে প্রবেশ করতঃ দর্শককূলকে তাদের সিনেমার জন্যে নিয়মিত বিরতিতে ছবিঘরে টেনে আনতে সক্ষম হয়,সে ক্ষণে সমালোচক ও পত্রিকাওয়ালারা দ্রুততা ও বিচক্ষণতার সাথে রায় দেন হংকং-এর ছবি মানেই বাণিজ্যিক মাসালা মুভি। অনতিবিলম্বে ওং কার-ওয়াইয়ের (জ.১৯৫৮,সাংহাই,চায়না) শুভ আগমনের ডংকা পুরা পরিস্থিতির ভোল পালটে দেয়। ওয়াই তাঁর ‘অ্যাকশন-ব্লকবাস্টার’ বুজুর্গ-নির্মাতাদের হাতে বহুল ব্যবহৃত টুলগুলি এস্তেমাল করে আলো/ছায়ার মায়ায় তৈরি করেন ব্যক্তিগত এবং আহা! স্বাদের পিওর কাব্যিক মুভি। যার পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে ন্যারেটিভ স্টোরিটেলিংএর প্রচলিত বিধির অমান্যতা আর প্রথাগত চৈনিক রীতি-আচারের প্রতি কড়া চ্যালেঞ্জ! ওয়াই যে কলিজার জোর দিয়া ‘হ্যাপী টুগেদার’-এ সমাকামিতা কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তা করবার মত বুকে বল তাঁর পথের সাথীদের জনা দু’য়েকের মাঝে থাকলেও শেলসম আঘাত হানতে পারেন নাই কেউই! ওয়াইয়ের কাজ পাকাভাবে আধুনিক ও পোক্তভাবে শৌর্যশালী; কু…ঝিক…ঝিক ঝিম ধরানো ‘চুংকিং এক্সপ্রেস’ থেকে সম্মোহনী জাদু আক্রান্ত ‘ইন দ্য মুড ফর লাভ’ – সর্বত্র ওয়াইয়ের আলেকবাজি জ্বলজ্বল করছে। ‘ইন দ্য মুড ফর লাভ’ দেখে আমার এক সমালোচক বন্ধু মুঠো বার্তায় জানিয়েছিলো – “মাইরি বলছি! গল্প ছাড়া একটা সিনেমা এমনভাবে খেলে দিলো! আমি তো মুগ্ধ!!” মন্তব্যেই ওয়াইয়ের পরিচয়…কী বলেন!
ওং কার-ওয়াই আপাদমস্তক এক প্রহেলিকায় মোড়া নাম। নিজেকে কবি(তা)র রহস্যময়তার ট্যাপেস্ট্রিতে সাজিয়ে রাখা ওয়াইয়ের স্বভাব ধর্ম। সর্বদা রোদ চশমায় ঢাকা চোখে ভূ-লোক দেখেন বলে এই মনচাষার ইমেজের মেজাজ তথাপি ফ্লাট নয় পরন্তু অনেক হাইপার টেক্সচুয়াল… সাংবাদিকদের সাথে আলাপের ক্ষেত্রে পরিমিতি বোধে প্রাজ্ঞ ওয়াইয়ের জবান কখনোই লাগামছাড়া হয় না,ছোট ছোট বাক্যে বলা উত্তরগুলি যেন ওয়াইয়ের রন্ধ্র প্রদেশের সিংহদ্বারে পায়চারি করে অতন্দ্র প্রহরীর মতন। ফলস্বরূপ,‘মুভিমেকার্স মাস্টার ক্লাস’ সংকলনের জন্য নেওয়া ওয়াইয়ের সাক্ষাৎকারটাই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ-এর আকার নিয়েছে। যাইহোক, ছায়াবাজ ওয়াইয়ের খেয়ালী উত্তরগুলি নানাবিধ প্রেক্ষিত হতে একই নিমিষে বিস্ময়কর ও ভাবনামূলক বটে…
আশির দশকের শেষে হংকং-এর সিনেমা ফাইনালি যখন মার্কিন মুভি-মার্কেটে প্রবেশ করতঃ দর্শককূলকে তাদের সিনেমার জন্যে নিয়মিত বিরতিতে ছবিঘরে টেনে আনতে সক্ষম হয়,সে ক্ষণে সমালোচক ও পত্রিকাওয়ালারা দ্রুততা ও বিচক্ষণতার সাথে রায় দেন হংকং-এর ছবি মানেই বাণিজ্যিক মাসালা মুভি। অনতিবিলম্বে ওং কার-ওয়াইয়ের (জ.১৯৫৮,সাংহাই,চায়না) শুভ আগমনের ডংকা পুরা পরিস্থিতির ভোল পালটে দেয়। ওয়াই তাঁর ‘অ্যাকশন-ব্লকবাস্টার’ বুজুর্গ-নির্মাতাদের হাতে বহুল ব্যবহৃত টুলগুলি এস্তেমাল করে আলো/ছায়ার মায়ায় তৈরি করেন ব্যক্তিগত এবং আহা! স্বাদের পিওর কাব্যিক মুভি। যার পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে ন্যারেটিভ স্টোরিটেলিংএর প্রচলিত বিধির অমান্যতা আর প্রথাগত চৈনিক রীতি-আচারের প্রতি কড়া চ্যালেঞ্জ! ওয়াই যে কলিজার জোর দিয়া ‘হ্যাপী টুগেদার’-এ সমাকামিতা কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তা করবার মত বুকে বল তাঁর পথের সাথীদের জনা দু’য়েকের মাঝে থাকলেও শেলসম আঘাত হানতে পারেন নাই কেউই! ওয়াইয়ের কাজ পাকাভাবে আধুনিক ও পোক্তভাবে শৌর্যশালী; কু…ঝিক…ঝিক ঝিম ধরানো ‘চুংকিং এক্সপ্রেস’ থেকে সম্মোহনী জাদু আক্রান্ত ‘ইন দ্য মুড ফর লাভ’ – সর্বত্র ওয়াইয়ের আলেকবাজি জ্বলজ্বল করছে। ‘ইন দ্য মুড ফর লাভ’ দেখে আমার এক সমালোচক বন্ধু মুঠো বার্তায় জানিয়েছিলো – “মাইরি বলছি! গল্প ছাড়া একটা সিনেমা এমনভাবে খেলে দিলো! আমি তো মুগ্ধ!!” মন্তব্যেই ওয়াইয়ের পরিচয়…কী বলেন!
ওং কার-ওয়াই আপাদমস্তক এক প্রহেলিকায় মোড়া নাম। নিজেকে কবি(তা)র রহস্যময়তার ট্যাপেস্ট্রিতে সাজিয়ে রাখা ওয়াইয়ের স্বভাব ধর্ম। সর্বদা রোদ চশমায় ঢাকা চোখে ভূ-লোক দেখেন বলে এই মনচাষার ইমেজের মেজাজ তথাপি ফ্লাট নয় পরন্তু অনেক হাইপার টেক্সচুয়াল… সাংবাদিকদের সাথে আলাপের ক্ষেত্রে পরিমিতি বোধে প্রাজ্ঞ ওয়াইয়ের জবান কখনোই লাগামছাড়া হয় না,ছোট ছোট বাক্যে বলা উত্তরগুলি যেন ওয়াইয়ের রন্ধ্র প্রদেশের সিংহদ্বারে পায়চারি করে অতন্দ্র প্রহরীর মতন। ফলস্বরূপ,‘মুভিমেকার্স মাস্টার ক্লাস’ সংকলনের জন্য নেওয়া ওয়াইয়ের সাক্ষাৎকারটাই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ-এর আকার নিয়েছে। যাইহোক, ছায়াবাজ ওয়াইয়ের খেয়ালী উত্তরগুলি নানাবিধ প্রেক্ষিত হতে একই নিমিষে বিস্ময়কর ও ভাবনামূলক বটে…