হু হু লা লা আহা শত সৌরভে গৌরবে
এই শিশির ভেজা রক্তিম সূর্যের আভাসে
এ প্রজন্মের মাতৃগর্ভে প্রত্যয় ভরা কণ্ঠে
গড়তে শিখেছি বাংলা বলা বাংলা বলা।।
কত ভূমিষ্ঠ শিশুর পদচরণ আলো পৃথিবী
আলোকিত বিশ্ব করবে বলে একতাই প্রগতি
ভাষার সম্মান রক্ষাতে দিল আত্মহুতি-তাদের
পবিত্র রক্তবিনিময়ে পেয়েছি মাতৃভাষা বাংলা।।
একুশ মানে রফিক সফিক আর নাম জানা
তোমাদের জানাই লক্ষ কোটি ফুলেল শ্রদ্ধা
বাংলা মুখে পটে কৃষ্ণচূড়া শাপলা পদ্ম হাসে
আরো হাসে গো দোয়েল শালিক টিয়া ময়না।।
আকাশ বয় রোদলা বৃষ্টি বাতাস বয় মৃদূশিশি
সবুজ সোনালী মাঠের ফসল দুলে নবান্নে হাসি
তাই তো পেলাম আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষার মর্যদা
তোদের প্রতিদান ভুলবে না বাংলা মায়ের সন্তানরা।।
এই কবিতা গতকাল দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে
লেখার তারিখঃ০১/০২/১৪
=========================
Comments (6)
এক সময় গ্রামে গঞ্জে পুতুল নাচ এবং যাত্রাপালা খুব জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু দিন দিন এই সব, বিশেষ করে যাত্রাপালার মেয়েদের ওপর শরীফ মাতব্বরদের মতো অমানুষের দৃষ্টি পড়ে, তারা ঐ সব মেয়েদের প্রভাব খাটিয়ে ভোগ করতে চাইতো। তাই দিন দিন আমাদের সংস্কৃতি থেকে এই সব উঠে যাচ্ছে।
শরীফ মাতব্বর আলেয়ার আলো দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিল কিন্তু বাস্তব আলো দেখে হিংস্র হয়ে উঠে মিথ্যা শিকারের পিছু সময় নষ্ট করেছে বলে কিংবা তার কামনা চরিতার্থ করতে না পেরে।
কমলার মাধ্যমে এই গল্পে শরীফ মাতব্বরদের মতো অমানুষের চরিত্র উন্মোচন করে দেয়া হয়েছে। সাবলীল ধারা বর্ণনা আর কাহিনী বিন্যাসের মাধ্যমে খুব ভালো একটা গল্প আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ সোহাগ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ঘাস ফুল। সুন্দরভাবে আমার গল্পের মূল বক্তব্যটাকে মন্তব্য আকারে প্রকাশ করার জন্য।
আমার ছোট বেলা কেটেছে গ্রামে। পুতুলনাচ, যাত্রাপালা এগুলো নিয়ে ছোটবেলায় আশেপাশের মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ দেখেছি, এখন আর তা দেখতে পাই না। কেন এই ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে গেল, কোথায়ই বা গেল- এই প্রশ্নগুলো নিজের কাছেই করেছি নিজে। যা কিছু উত্তর পেয়েছি সেটাই বলতে চেয়েছি গল্পে। আপনার চোখ এড়ায়নি সেটা।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
অসাধারন লেখা ।এক নিশ্বাসে পড়া শেষ করলাম ।আশা করি এটিও নির্বাচিত হবে ।
ধন্যবাদ শাহ ইমরান হাসান।
গল্পের বুনন চমতকার! খুব ভাল লেগেছে সোহাগ ভাই।
শুভকামনা। আশা করি ২৮ তারিখে আবার দেখা হবে।
ইনশাল্লাহ, দেখা হবে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।