মাঝে মাঝে কবিতা পাঠ করতে বেশ লাগে। যেমন এখন পাঠ করছি জীবনানন্দের দাশের একটি কবিতা।
একদিন এই দেহ ঘাস থেকে ধানের আঘ্রাণ থেকে এই বাংলায়
জেগেছিল; বাঙালী নারীর মুখ দেখে রূপ চিনেছিলো দেহ একদিন;
লাইন দুটি পড়ার পর মনে হল আমার জীবনের কথা কি? জীবনের স্বপ্নগুলো নিয়ে জেগেছিলাম এবং পেয়েছি সত্যিকারের বাঙালী নারীর মুখ।
এরপর লিখেছেন,
বাংলার পথে পথে হেঁটেছিলো গাংচিল শালিখের মতন স্বাধীন;
বাংলার জল দিয়ে ধূয়েছিল ঘাসের মতন স্ফুট দেহখানি তার;
হ্যাঁ খালি চোখে দেখলে জীবনটা অনেক স্বাধীন কিন্তু গভীরে গেলে মনে হয় বিষয়টা হয়ত এত সহজ নয়।
তারপর------
একদিন দেখেছিল ধূসর বকের সাথে ঘরে চলেআসে অন্ধকার
বাংলার; কাঁচা কাঠ জ্বলে ওঠে — নীল ধোঁয়া নরম মলিন
বাতাসে ভাসিয়া যায় কুয়াশার করুণ নদীর মতো ক্ষীণ;
ফেনসা ভাতের গন্ধে আম — মুকুলের গন্ধ মিশে যায় যেন বার — বার;
এই সব দেখেছিল রূপ যেই স্বপ্ন আনে — স্বপ্নে যেই রক্তাক্ততা আছে,
শিখেছিল, সেই সব একদিন বাংলার চন্দ্রমালা রূপসীর কাছে;
তারপর বেত বনে, জোনাকি ঝিঝির পথে হিজল আমের অন্ধকারে
ঘুরেছে সে সৌন্দর্যের নীল স্বপ্ন বুকে করে, — রূঢ় কোলাহলে গিয়ে তারে –
ঘুমন — কন্যারে সেই — জাগাতে যায়নিআর — হয়তো সে কন্যার হৃদয়
শঙ্খের মতন রুক্ষ, অথবা পদ্মের মতো —ঘুম তবু ভাঙিবার নয়।
কবিতা শেষ করার পরে বার বার মুখে আওড়াতে ইচ্ছে করছে,
শঙ্খের মতন রুক্ষ, অথবা পদ্মের মতো —ঘুম তবু ভাঙিবার নয়।
শঙ্খের মতন রুক্ষ, অথবা পদ্মের মতো —ঘুম তবু ভাঙিবার নয়।
শঙ্খের মতন রুক্ষ, অথবা পদ্মের মতো —ঘুম তবু ভাঙিবার নয়।
শঙ্খের মতন রুক্ষ, অথবা পদ্মের মতো —ঘুম তবু ভাঙিবার নয়।
Comments (0)
রাজ চন্দ্র বোসের উন্নত জীবনের নানান কাহিনী শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকবেন।